যেসব স্থানে ইমামগণ নামায দ্রুত পড়াবেন
যেসব স্থানে ইমামগণ নামায দ্রুত পড়াবেন এবং দীর্ঘ করা হতে বিরত থাকবেন!
১. সফরের সময় মুসাফিরদের ইমাম!
২. স্টেশন মসজিদের ইমাম, যখন গাড়ি আসা বা ছাড়ার সময় হয়।
৩. বাজার মসজিদগুলোর ইমাম, বিশেষ করে হাটবারের দিন।
৪. হাসপাতাল মসজিদ বা নামাঘরের ইমাম।
৫. অফিস আদালতের মসজিদের ইমাম, যখন অফিস খোলা থাকে, এবং অফিসারগণ নামাযে শরীক হন।
৫. রাস্তার পাশের মসজিদের ইমাম, যখন সেখানে পথচারি বা মুসাফিরগণ নামায পড়েন।
কারণ, এসব স্থানে মুসল্লীগণ অস্থিরতা ও পেরেশানিতে থাকেন এবং তাদের দ্রুত যাওয়ার প্রয়োজন থাকে। আর মুসল্লীদের অবস্থা লক্ষ রেখে নামায পড়ানো সুন্নাত।
عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ : ” إِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِلنَّاسِ فَلْيُخَفِّفْ ؛ فَإِنَّ مِنْهُمُ الضَّعِيفَ، وَالسَّقِيمَ، وَالْكَبِيرَ، وَإِذَا صَلَّى أَحَدُكُمْ لِنَفْسِهِ فَلْيُطَوِّلْ مَا شَاءَ “.
٧٠٣
আবু হুরাইরা রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : যখন তোমাদের কেউ লোকদের নিয়ে নামায পড়বে, তখন হালকা করবে। কারণ, তাদের মাঝে দুর্বল, রুগ্ন, বয়োঃবৃদ্ধ রয়েছে। আর যখন শুধু নিজের জন্য পড়বে, তখন ইচ্ছেমত লম্বা করবে। (সহীহ বুখারী : ৭০৩)
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي قَتَادَةَ ، عَنْ أَبِيهِ قَالَ : قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ : ” إِنِّي لَأَقُومُ إِلَى الصَّلَاةِ وَأَنَا أُرِيدُ أَنْ أُطَوِّلَ فِيهَا، فَأَسْمَعُ بُكَاءَ الصَّبِيِّ فَأَتَجَوَّزُ ؛ كَرَاهِيَةَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمِّهِ “.. حكم الحديث: صحيح
হযরত আবু কাতাদাহ রাযি. হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমি নামাযে দাঁড়াই। আমি নামায দীর্ঘ করার ইচ্ছা করি, কিন্তু যখন আশপাশের ঘরগুলি থেকে বাচ্চাদের কান্নার আওয়াজ শুনি, তখন আমি সংক্ষেপ করে ফেলি। না-জানি তাদের মায়েদের জন্য কষ্টকর হয়ে যায়। ( সুনান আবু দাঊদ : ৭৮৯)
এ হাদীসগুলো নামায পড়াতে পরিস্থিতি ও মুসল্লীদের অবস্থার রেয়াত করতে উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে।
তবে অলস মুসল্লীদের রেয়াত করতে এখানে বলা হয়নি। কাজেই মুসল্লীদের অলসতা হেতু সুন্নাত লম্বা কেরাত ত্যাগ করা, নামাযে তাড়াতাড়ি করা ইমামের জন্য জায়িয হবে না।
উল্লেখ্য, দ্রুত পড়ার অর্থ তাড়াহুড়ো বা হুলুস্থূল করা নয়। বরং কেরাত অপেক্ষাকৃত ছোট পড়া ও গতিশীল করা। তাসবীহাত ৩ বা ৫ এর বেশি না পড়া গতিশীল করা। নামায সংক্ষেপ করেও পরিপূ্র্ণ সুন্নাত ও খুশুখুজুর সাথে পড়া যায়।