যেই দরজাগুলো শয়তানকে আমাদের ঘরে আমন্ত্রণ জানায়
Table of Contents
অত্যধিক সামাজিক মেলামেশা:
আমাদের সোশ্যাল সার্কেল দ্বারা আমরা অনেক বেশি প্রভাবিত হই। আপনি আসলে কাদের সাথে মেলামেশা করছেন?
তারা কি:
ক. খাবারের মতো, আপনার তাদেরকে প্রয়োজন, অন্যথায় আপনি বাঁচতে পারবেন না?
খ. ওষুধের মতো, আপনার তাদেরকে প্রয়োজন, তবে সর্বদা নয়?
গ. রোগ এবং ভাইরাসের মতো, তারা আপনাকে অসুস্থ তোলে?
ঘ. বিষের মতো, তারা আপনাকে হত্যা করে?
অতিরিক্ত কথা বলা:
আমরা যদি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজেদের কথা রেকর্ড করি, তাহলে দেখব যে আমরা যা বলি তার ৫০% বা তার বেশি কথাই অপ্রয়োজনীয়। ৩ ধরনের কথোপকথন আছে:
ক. হালাল ও প্রয়োজনীয়
খ. হালাল কিন্তু অপ্রয়োজনীয়
গ. হারাম
অতিরিক্ত খাওয়া:
অতিরিক্ত খাওয়া অলসতার সৃষ্টি করে। যখন শয়তান আপনার অলসতার সুযোগ নিয়ে আপনার কানে ফিসফিস করবে, তখন আপনি আল্লাহর কাছে আশ্রয় নেওয়ার শক্তিও পাবেন না। সোম ও বৃহস্পতিবারের পাশাপাশি প্রতি ইসলামি মাসের ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখে রোজা রাখার অভ্যাস করুন। রোজা শয়তানের পথকে সংকুচিত করে।
অত্যধিক দেখা:
এমন জিনিসের দিকে তাকাবেন না যা আপনাকে আঘাত করবে। আমরা শুধু হারামের কথাই বলছি না, এমনকি অত্যধিক হালালও যখন আপনি দেখবেন, আপনি সেগুলো পেতে চাইবেন। আপনি আপনার চারপাশের সবকিছু পরিবর্তন করতে পারবেন না, তবে আপনি আপনার দৃষ্টি নিচু করতে পারেন। আপনার নির্বাচন করার ক্ষমতা আছে। আপনি যখন টিভি দেখছেন তখন আপনি রিমোট নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। আপনি যখন ইন্টারনেটে কিছু পড়েন এবং সার্ফ করেন তখনও আপনি নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন।
অত্যধিক শোনা
লিটমাস পরীক্ষা:
ক. এটা শুনলে কি আপনি আল্লাহর উত্তম বান্দা হবেন?
খ. এটা কি আপনাকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে?
রহমতের প্রভুর বান্দারা হলেন তারা –
وَٱلَّذِينَ لَا يَشۡهَدُونَ ٱلزُّورَ وَإِذَا مَرُّواْ بِٱللَّغۡوِ مَرُّواْ كِرَامًا
আর যারা মিথ্যার সাক্ষ্য হয় না এবং যখন তারা অনর্থক কথা-কর্মের পাশ দিয়ে চলে তখন সসম্মানে চলে যায়।
[সূরা আল ফুরকান:৭২]
অতিরিক্ত ঘুমানো:
প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ঘুম অলসতার সৃষ্টি করে; শয়তান আমাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য যে কৌশলগুলি ব্যবহার করে তার মধ্যে এটি একটি, কারণ আমরা যখন অলস থাকি, তখন আমরা আল্লাহর আনুগত্য করতে বা অবাধ্যতার বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারি না।
সকালে এবং সন্ধ্যায় আপনার সুরক্ষার জন্য এই দু’আটি পাঠ করুন:
اللَّهُمَّ إِنِّي أَعُوذُ بِكَ مِنْ الْهَمِّ وَالْحَزَنِ وَالْعَجْزِ وَالْكَسَلِ وَالْبُخْلِ وَالْجُبْنِ وَأضَلَعَ الدَّيْنِ وَ غَلَبَةِ الرِّجَالِ
মোটামুটি উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা ইন্নি আউজুবিকা মিনাল হাম্মি ওয়াল হাযানি, ওয়াল আঝযি ওয়াল কাসালি, ওয়াল বুখলি ওয়াল জুবনি, ওয়া দালাইদ্দাইনি ওয়া গালাবাতির রিজাল।’
(নাসাঈ)
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করছি চিন্তা-ভাবনা, অপারগতা, অলসতা, কৃপণতা এবং কাপুরুষতা থেকে। অধিক ঋণ থেকে এবং দুষ্টু লোকের প্রাধান্য থেকে।’
কাজেই আল্লার কাছে আশ্রয় চান, নইলে শয়তান আপনাকে পরাহভূত করবে।