যে আলেম যুবকদের বিয়ের ব্যবস্থা করতেন!

একজন আলেম দেখলেন তাঁর আশেপাশের অনেক যুবক অবিবাহিত। হাতে পর্যাপ্ত অর্থ না থাকায় বিয়ের বয়স পার হওয়া সত্ত্বেও তারা বিয়ে করতে পারছে না।
আমাদের যুগে যেমনটা হচ্ছে। ক্যারিয়ার গড়তে পারছে না বলে যেমন ২৫+ হওয়া সত্ত্বেও বেশিরভাগই অবিবাহিত, সেই যুগে এমন ছিলো।

সেই আলেম একটি উদ্যোগ নিলেন। তাঁর নিজের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা থাকায় তিনি মানুষের কাছ থেকে ঋণ নেয়া শুরু করলেন। সবমিলিয়ে ১ লক্ষ দিরহাম ঋণ নিলেন।

১ লক্ষ দিরহাম আমাদের সময়ের কয়েক কোটি টাকা!

তিনি বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে ঋণ নিয়ে সেসব যুবকদের বিয়ের ব্যবস্থা করেন। বিয়ের মোহরানা থেকে শুরু করে তারা যেন স্বাবলম্বী হতে পারে, সেজন্য তাদের হাতে অর্থ তুলে দেন।

এতো টাকা তিনি ঋণ নিলেন, এগুলো পরিশোধ করবেন কীভাবে?
তিনি গেলেন বাগদাদের খলিফা কাছে। খলিফা ছিলেন তখন আবু জাফর মনসুর; যিনি দ্বিতীয় আব্বাসী খলিফা।
খলিফাকে জানালেন,

“আমি ঋণগ্রস্ত, আমার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করুন।”

ঋণের পরিমাণ শুনে খলিফার চক্ষু চড়কগাছ। এতো ঋণ কীভাবে করলেন?
খলিফা জিজ্ঞেস করলেন, “আপনি এতো দানশীল ও মর্যাদাবান হওয়া সত্ত্বেও এতো ঋণগ্রস্ত হলেন কীভাবে?”
সেই আলেম যুবকদের বিয়ের ঘটনা খুলে বললেন।

এমন ভালো একটি কাজে এতো ঋণ করছেন দেখে আব্বাসী খলিফা আল-মনসুর সেই আলেমকে ১ লক্ষ ১০ হাজার দিরহাম গিফট দিলেন। ১ লক্ষ ঋণ পরিশোধের জন্য, ১০ হাজার দিলেন সেই আলেমকে এমন ভালো একটি কাজের উদ্যোগ নেবার জন্য।

সেই আলেম ছিলেন জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী যুবাইর ইবনুল আউয়াম রাদিয়াল্লাহু আনহুর নাতি হিশাম ইবনে উরওয়া রাহিমাহুল্লাহ।

সিয়ারুস সাহাবা: ১৪/২৮২

লিখেছেন

আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

Exit mobile version