তোতলা ১ম পর্ব

তোতলানো ছেলে আমার একদম পছন্দ না মা। হোক সে কোরআনের হাফেজ, বিয়ে করবো না আমি।
সকাল থেকে রুবার এই এক কথা। ছেলে দেখে যাওয়ার পর থেকে নাওয়া খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছে সে। এমনকি পানি পর্যন্তও না। চলুন মূল ঘটনায় পদার্পণ করা যাক।
সকাল বেলা রুবাকে দেখতে আসার কথা ছিলো রুবার মায়ের পছন্দের এক ছেলের। মায়ের পছন্দ বলছি এই কারণে যে রুবার বাবা বেঁচে নেই। অবিভাবক বলতে কেবল মা আর বড় ভাই। বড় ভাই থাকে বিদেশে। সেও মোটামুটি পছন্দ করেছে ছেলেটাকে।

রুবার মা রেবেকা বেগম ছবি পাঠিয়ে বলেছে;
বাবা, দেখ্তো কেমন লাগে ছেলেটাকে?
রুবার ভাই জাহিদ এক গাল হেসে উত্তর দিয়েছিলো;
তুমি না মা! ছবি দেখে কি আর কাউকে চেনা যায় আজকাল!
আহা! কিরকম লাগছে সেটাই তো বল!
হুম, চেহারা সুরত তো মাশাল্লাহ ভালো। বলতে গেলে আমার থেকেও সুন্দর। তো এর বাড়ি কোথায়? কি করে?

ছেলেটার নাম আমরুল। মাদ্রাসার শিক্ষক। বাবা-মা কেউ বেঁচে নেই। কিন্তু কোরআনের হাফেজ। জানিসই তো হাফেজ ছেলের সাথেই মেয়ে বিয়ে দেওয়ার খুব ইচ্ছে আমার। ছেলেটা খুব ভালো রে। আমি লোক লাগিয়ে পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি। এমন ছেলে লাখেও একটা পাওয়া যাবে না। রুবার সাথে বেশ মানাবে!
উঁহু। তা না হয় বুঝলাম। কিন্তু মাদ্রাসার শিক্ষককে কি আর বিয়ে করবে রুবা? আর একে পেলে কোথায়? ঘটক লাগিয়েছো নাকি?

ঘটকা না রে। ঘটক না। বলতে পারিস আল্লাহ পাকই মিলিয়ে দিয়েছে। আমি যাচ্ছিলাম দাউদকান্দি, চোখের ডাক্তার দেখাতে। স্টেশনে পৌঁছাতে দেরি হয়ে গেল। ততক্ষণে ট্রেন ছেড়ে দিয়েছে। অগত্যা বসে থাকতে হলো দেড় ঘন্টা। টানা দেড় ঘন্টা পর বিকেলের ট্রেন এসে হাজির হলো। তাও আবার প্রচুর ভীড়, কোথাও একটা মাত্র ছিট নেই। এমনিতেই ক্লান্ত শরীর, তার উপর প্রচুর গরম। জানালার পাশে ছিট না পেলে এতদূর পথ যাই কি করে! যাক, মিনিট পাঁচেকের মধ্যে ছিটের ব্যবস্থা হয়ে গেল। আমাকে বসিয়ে দিয়ে হুজুর ধাঁচের একটা ছেলে সারাপথ দাড়িয়ে রইল। পথে অবশ্য কোনো প্রকার কথা হয়নি। কথা হয়েছে নামার পর। কারণ সেও যাচ্ছে চোখের ডাক্তারের কাছে চশমা পাল্টাতে। ছেলেটা যে এতো লাজুক, এতো ভদ্র, তুই বিশ্বাস করতে পারবি না…

ব্যস ব্যস হয়েছে মা। আমার ডিউটি আছে। বাকি বৃত্তান্ত পরে শুনবো। তোমার পছন্দ হয়েছে আমার আর কিছু বলার নেই।
রেবেকা বেগম বলে উঠলেন-
আলহামদুলিল্লাহ!

কিন্তু বিপত্তি দাড়ালো অন্য জায়গায়। সকাল পেরিয়ে দুপুরের কড়া রোদে ঘামে ভেজা শরীর নিয়ে হাজির হলো আমরুল। রুবা প্রথম দেখাতেই নাক সিটকালো। ঘামে ভেজা শরীরের সাথে লেপ্টে আছে শাদা পাঞ্জাবি। টুপির নিচ দিয়ে ঘামের ছোট ছোট নালার শাখাপ্রশাখা ছড়িয়ে গেছে নাক মুখ অব্দি। রুবার মা দ্রুত তাকে ঘরে নিয়ে এলেন। ফুল ভোল্টেজে ফ্যান ছেড়ে দিয়ে রুবাকে বললেন শরবত আনতে। রুবা শরবত এনে বসে রইলো টানা পনেরো মিনিট। এই পনেরো মিনিটে একটা টুঁ শব্দ পর্যন্ত করলো না আমরুল। রুবা যখন দেখলো ছেলে কোনো কথা বলছে না, মাথা নিচু করে রোবটের মতো বসে আছে তো আছেই। তখন বিরক্তির আর সিমা রইলো না। বিরক্তি না লুকিয়েই প্রশ্ন করলো রুবা;

কি আশ্চর্য! কথা না বলে এভাবে চুপ করে আছেন কেন? মেয়ে দেখতে আসলে ছেলেরাই প্রথম প্রশ্ন করে, জানেন না আপনি! আচ্ছা আমিই করছি৷ তো নাম কি যেন আপনার?
আ..আ…আম..!
ছেলের কথা শেষ না হতেই রুবা বলে উঠলো-

আম! মানুষের নাম আবার আম হয় নাকি? কখনো শুনি নাই তো। কে রাখছে এই অদ্ভুত নাম?
আ..আম না, আ..আমরুল!
আমরুল! ওহ আচ্ছা!

আমরুল মাথা তুলে তাকানোর শেষ সাহসটুকুও হারিয়ে ফেললো। নিজের এমন হাস্যকর নাম প্রকাশ করে প্রায়শই লজ্জার মুখোমুখি হয় সে। ছোটবেলায় কে যে আমরুল নাম রেখেছে! সম্ভবত তার দাদীই হবে। জামরুলের সাথে মিল রেখে আমরুল! কি বিদঘুটে নাম! তার দাদীর অবশ্য দোষ নেই, তিনি ছিলেন প্রাচীন পন্থী। আমরুলের চেহারা সুরত আমের মতোই নিটোল সুন্দর, এজন্যই বোধকরি এই নাম রেখেছেন। কিন্তু চেহারা যতোই সুন্দর হোক না কেন এ পর্যন্ত কেউই তাকে মেয়ে দিতে রাজি হয়নি। এ যুগে চালাকচতুর ছেলে ছাড়া কেউ মেয়ে দেওয়ার কথাও না। তার উপর আমরুল তোতলা। কিছু কিছু শব্দ তো উচ্চারণই করতে পারে না। আমরুলকে চুপ থাকতে দেখে রুবাই আবার প্রশ্ন করলো;

আচ্ছা, একটা কথা জিজ্ঞেস করি?
জি। ক.. ক.. কলুন।
আপনি কি সত্যি সত্যি তোতলা? নাকি মেয়ে দেখতে এসে নার্ভাস ফিল করছেন বলে তোলাচ্ছিলেন!

এই প্রশ্ন শুনে লজ্জা এবং ভয়ে মুহুর্তেই কান এবং গালের দু’পাশে টকটকে লাল রঙ ধারণ করলো আমরুলের। তার নিচু মাথা আরো নিচু হয়ে গেল। রুবা অনেক কষ্টে হাসি চাপা দিয়ে রইলো। কেন জানি তার মনে হতে লাগলো; আমে পাক ধরেছে! যাক, এ মুহুর্তে তো আর হাসা যায় না। শুধু তাচ্ছিল্যের একটা দৃষ্টি নিয়ে তাকিয়ে রইলো সে। কিছুক্ষণ পর রুবা বলে উঠলো; আচ্ছা, এখন আপনি আসতে পারেন। অপরাধীরা যেমন পুলিশের জেরার হাত থেকে ছাড়া পেয়ে হন্তদন্ত করে ছুটে পালাতে চায়, ঠিক তেমনটাই ঘটলো আমরুলের ব্যাপারে। এটাকে ভদ্রসমাজ বোধকরি মেয়েদেখা না বলে ছেলেদেখা বলেই অবিহিত করবেন!
আমরুল দ্রুত গতিতে উঠে দাড়ালো। তড়িঘড়ি করে বের হতে গিয়ে দরজার সাথে খেল বিষম ধাক্কা। এবার আর হাসি চাপা দিয়ে রাখতে পারলো না রুবা। খিলখিল করে হাসতে লাগলো সে। রেবেকা বেগম রান্নাঘর থেকে ছুটে এলেন।

ওমা! একি বাবা! মাথায় লাগলো নাকি!
না.. আ..আ..আন্টি!
দেখি দেখি! ইশ! কপাল তো অনেকখানি ফুলে গেছে।

হবু শাশুড়ীর সাথেও পর্দা ফরজ। তাই আমরুল একটু দূরে সরে গেলো। রেবেকা বেগম বুঝতে পেরে আর দেখতে চাইলেন না। শুধু রুবার দিকে তাকিয়ে চোখ রাঙালেন। রুবার ঠোঁটে তখনও হাসির রেশ! ওর জন্যেই যে এভাবে যে ধাক্কা খেতে হয়েছে এটা তিনি বেশ ভালো করেই বুঝতে পারছেন। কি নাজুক একটা ছেলে! প্রতিবাদও করতে পারে না। হঠাৎ নিজের ছেলের কথা মনে পরলো রেবেকা বেগমের। কতোদিন সামন-সামনি দেখা হয় না, জ্বর দেখার অজুহাতে কপাল ছুঁয়ে দেখে না, মাথায় হাত বুলিয়ে আদর করা হয় না। সেসব কথা ভাবতে ভাবতে দু’ফোটা অশ্রু গাল বেয়ে নেমে আসলো। তিন বছর হয়ে হলো জাহিদ বিদেশে! এবার আসলে আর যেতে দিবে না বলে ঠিক করে রেখেছে রেবেকা।

রুবা আশ্চর্য দৃষ্টিতে তার মায়ের দিকে তাকালো এবার। সে ভাবছে; এই চোখের পানির অর্থ কি! এতো দরদ কেন এর প্রতি? মা কি তাহলে এই গাধা টাইপের ছেলেটার সাথে আমার বিয়ে দিতে মনস্থ করেছে!

কিছুতেই না মা। এ বিয়ে আমি করতে পারবো না।
কেন পারবি না? ছেলের কোন দোষটা পেলি তুই?
আর কতোবার বলবো! তোতলা ছেলে পছন্দ না আমার। ধ্যাত!

দ্রুত বেগে রুমের ভেতর চলে গেলো রুবা। কপাট লাগিয়ে দিয়ে বিছানায় শুয়ে পরলো। মাথায় রাগ চরে গেলে আর কোনো কিছুই ভালো লাগে না তার। ফোন হাতে নিয়ে রাফানকে ফোন করলো। রাফান হলো রুবার প্রেমিক। তবে বেশিদিন না, চারমাস হলো প্রেম তাদের। রুবা একই সাথে কলেজে এবং মহিলা মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে। সে জানে যে প্রেম করা হারাম। এজন্য রাফানের সাথে দেখা সাক্ষাৎ খুব কমই করে সে। করলেও বেশ পর্দা রক্ষা করেই প্রেম কার্য চালিয়ে যায়। এটাও যে নেক সুরেতে শয়তানের ধোঁকা সেটাও জানে রুবা। কিন্তু হলে কি হবে! শয়তান থেকে থেকে রুবাকে প্রেম করার দিকে প্ররোচনা দিতে থাকে।
প্রথম কল ধরলো না রাফান। দ্বিতীয় বার কল করতেই ধরলো। ধরেই বললো;

কি গো! ছেলে দেখা হলো?
হুম হয়েছে।
হাহাহা…! কি যে ছেলেরে বাবা! এক্কেবারে কচি খোকা। পথে দাড় করিয়েছিলাম বুঝেছো!
কিহ! কেন দাড় করালে? কিছু করোনি তো ওর সাথে?
করবো না আবার! বিয়ে করার সখ মিটিয়ে দিয়েছি একদম!
ছিহ! কি বলছো এসব! উনি আর যাই হোক আমাদের বাসায় মেহমান ছিলো। মেহমানের সাথে খারাপ ব্যবহার করা উচিত না সেটা জানো না তুমি? কি করেছো ওর সাথে, বলো!

খারাপ ব্যবহার করবো না তো কি? ইন্দুরের বাচ্চার সাহস কতবড় দেখেছো! আমার বউকে ছিনিয়ে নিতে চায় সে! এত বড় তার স্পর্ধা!
বউ! কে তোমার বউ!
হাহাহা… কেন! তুমিই তো আমার বউ!
চুপ করো। বিয়ে করার মুরোদ নেই, আর বউ বলে ডাকে। শুনো এসব ফালতু কথা আমার মতো মেয়েকে বলবা না। তুমি ওনার সাথে কি করেছো সেটা আগে বলো।
হাহাহা…! বলছি বলছি দাড়াও। শুনলে তুমি হাসতে হাসতে মারা যাবে। আমাকে দেখে কি যে ভয় পেয়েছিলো! আমি ওর জন্যই অপেক্ষা করছিলাম রাস্তায়। দেখা মাত্রই বললাম; এই যে ভায়া শুনেন! সে ধীরে ধীরে কাছে আসলো। এরপর হাত ধরে নিয়ে গেলাম শেখ রাসেল পার্কের আমগাছটার নিচে। বসিয়েই কষে মারলাম এক চর!
বলো কি!

হুম, কাহিনী এখানেই শেষ না। ছেলে তো তখন যারপরনাই হতভম্ব! কেন থাপ্পড় দিলাম সে প্রশ্নটাও করতে পারে না। কি যেন একটা বলতে গিয়ে শুধু তোতলাচ্ছিলো। আমি কি আর মারবো, হাসতে হাসতে অবস্থা শেষ। এরপর কি হলো শুনো। শুনলে তুমিও ঠিক থাকতে পারবে না…হাসতে হাসতে মরে যাবে….।
রুবা ফোন কেটে দিলো। কিছুতেই বুঝতে পারছে না কি করবে! সে তো এমন রাফানকে চায় নি! নিমিষেই সব কল্পনার ওলটপালট! যে ছেলে রাস্তায় একা পেয়ে নিরীহ একটা লোককে মারতে পারে, বিয়ের পর একাকী নিভৃতে বউকে সে যে মারবে না তার নিশ্চয়তা কি! ভীষণ খারাপ লাগছে রুবার। সেই সাথে আমরুলের প্রতি কিছুটা মায়াও বোধ হচ্ছে। বেচারা কেন যে আমায় দেখতে আসলো! ভাবলো সে; না আসলেই বরং ভালো হতো,এতোটা বেইজ্জতি হতে হতো না। হাজারো হোক শিক্ষক মানুষ!
কল কেটে দেওয়ার পর একটার পর একটা কল আসতে লাগলে রাফানের। বারবার কেটে দিচ্ছে রুবা। শেষমেশ ধরলো।

এই। কল কেটে দিলে কেন? কি সমস্যা তোমার?
তুমি যে এতো নিকৃষ্ট জানা ছিলো না আমার।
কি বললে তুমি?
ঠিকই বলেছি। রাস্তায় একা পেয়ে একটা নিরীহ মানুষের গায়ে হাত তুলতে লজ্জা করলো না তোমার?
বাহ! চমৎকার! ওই ছেলের প্রতি তো দেখছি বেশ দরদ জেগেছে তোমার মনে! পছন্দ করে ফেলেছো নাকি?
রুবা হ্যাঁ না কিছু না বলে চুপ করে রইলো।

কি হলো? কথা বলছো না যে? পছন্দ করে ফেলেছো কিনা জানতে চেয়েছি।

রুবা বলল;
হ্যাঁ করেছি। কোনো সমস্যা?
তার মানে? এতদিন যে আমার সাথে রিলেশন করলে এটা কি ছিলো?
জানি না। শুধু শুনে রেখো ওই ছেলেকেই বিয়ে করবো আমি। তোমার মতো ফালতু ছেলের দরকার নেই আমার।
কি বললে! আরেকবার বলো শুধু।
চেঁচিয়ে উঠলো রাফান।
ঠিকি শুনেছো। ওই তোতলাকেই বিয়ে করবো আমি। আর শুনো, রিলেশন কিন্তু তোমার সাথে করতে চাইনি। যা হয়েছে ভুলে যাও, আমি এটা নিয়ে হাজার বার তওবা করেছি।
তওবা! হাহাহা…।

বিদঘুটে ভঙ্গিতে হাসতে লাগলো রাফান। রুবার ইচ্ছে হলো ফোন কেটে দিতে। কিন্তু দিলো না সে, নিজেকে কন্ট্রোল করেই বলল;
যা হওয়ার হয়েছে, ভুলে যাও। দোহাই লাগে, ওর আর আমার মাঝে কখনো এসো না প্লিজ!…
চুপ কর! একটা কথাও বলবি না তুই। তোকে যদি না পাই তাহলে আর কারো হতে দিবো না মনে রাখিস। দেখি কে তোরে বিয়ে দেয়! ওই ছেলেকে আমি নিজের হাতে খুন করে ফেলবো। ওরে আমি…

জঘন্য ভাষায় সব গালি দিতে দিতে চিৎকার করতে লাগলো রাফান।
কল কেটে দিলে রুবা। তার ভীষণ কান্না পাচ্ছে। কেন যে রিলেশন করতে গেল; নিজেকে নিজে ধিক্কার দিতে লাগলো সে। তার নিজেকে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় হতভাগি মনে হতে লাগলো। বারবার মনে হতে লাগলো; কার কাছে যাবে সে!

ভাই থাকে বিদেশে, শক্ত কোনো অবিভাবকও নেই তার। যার ভরসায় সাচ্ছন্দ্যে কিছু করতে পারবে! আমরুলকে যে খুব একটা অপছন্দ করেছে রুবা সেটাও না, তোতলামিটা যদিও কষ্টের তবে কিছুদিন ট্রেনিং দেওয়ালে ঠিক করে নিতে পারবে বলে সে বিশ্বাস রাখে। কিন্তু যে রাফানকে সে পছন্দ করতো সে রাফান কি তাকে অন্য কারো সাথে বিয়ে করতে দিবে?

চলবে

লিখেছেন

আরিফ আব্দুল্লাহ

লালমনিরহাট সরকারি কলেজের বাংলা ডিপার্টমেন্ট অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছি।
আমার জীবন মরন সবকিছু স্রষ্টার জন্য

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

লালমনিরহাট সরকারি কলেজের বাংলা ডিপার্টমেন্ট অনার্স ৩য় বর্ষে পড়াশোনা করছি।
আমার জীবন মরন সবকিছু স্রষ্টার জন্য

Exit mobile version