মহিলারা নাবালকের পিছনে তারাবীহ নামায জামাত আকারে পড়তে পারবে কিনা।
নির্ভরযোগ্য মতানুযায়ী নাবালকের পিছনে তারাবিহ নামায জামাত আকারে পড়া যাবে না। (খুলাসাতুল ফাতাওয়া, খণ্ড:১, পৃষ্ঠা:১৪৬)
রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
আবদুল্লাহ ইবনু মুহাম্মদ (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ অনুসরণ করার জন্যই ইমাম নির্ধারণ করা হয়। কাজেই তাঁর বিরুদ্ধাচরণ করবে না। তিনি যখন রুকু করেন তোমরাও রুকু করবে। তিনি যখন سَمِعَ اللَّهُ لِمَنْ حَمِدَهُ বলেন তখন তোমরা رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ বলবে। তিনি যখন সিজদা করবেন তোমরাও তখন সিজদা করবে। তিনি যখন বসে সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন, তখন তোমরাও সবাই বসে সালাত আদায় করবে। আর তোমরা সালাতে কাতার সোজা করে নিবে, কেননা কাতার সোজা করা সালাতের সৌন্দর্যের অন্তর্ভুক্ত।
[সহীহ বুখারী : ৭২২]
বলা বাহুল্য, প্রাপ্তবয়স্ক ও নাবালকের নামাজের নিয়ম এক নয়; বরং ভিন্ন। তাই নাবালক ছেলেরা প্রাপ্তবয়স্কদের নেতৃত্ব দিতে পারে না।
রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন
’আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। অধস্তন রাবী আবূ বকর (রহ.)-এর বর্ণনায় আছেঃ বেহুঁশ ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়।
[ইবন মাজাহ : ২০৪১]
হাদীসে বলা হয়েছে, নাবালেগ থেকে প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত কলম উঠিয়ে রাখা হয়। সুতরাং যার থেকে কলম তুলে বা উঠিয়ে রাখা হবে তার ইমামতি যেমন জায়েয নয়, তেমনি একজন পাগলের ইমামতিও জায়েয নয়।
বিখ্যাত তাবিয়ী মুজাহিদ রহ. বলেন,
لَا يَؤُمُّ غُلَامٌ حَتَّى يَحْتَلِمَ
অপ্রাপ্তবয়স্ক শিশুর বয়স না হওয়া পর্যন্ত ইমামতি করা যাবে না।
(মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৩৫০৬)