পুণ্যবানদের প্রার্থনা

মুহাম্মাদ আল-মুখতার আশ-শানকিতি (হে আল্লাহ আপনি তার প্রতি সন্তুষ্ট হন) নামে একজন মহান আলেম একবার খুব গভীর একটি মন্তব্য করেছিলেন। তিনি বলেন, মানুষ আল্লাহ সম্পর্কে তাদের অজ্ঞতার কারণে এমন পর্যায়ে পৌঁছেছে যে তারা আর তাঁকে ডাকে না; তারা জানে না কিভাবে আল্লাহর সাথে ব্যক্তিগত কথোপকথন করতে হয়।

একটি ব্যক্তিগত দু’আ কেমন হতে পারে, আরবিতে যা মুনাজাত মনে পরিচিত এবং যার অর্থ ঘনিষ্ঠ কথোপকথন? মহান আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালা কিন্তু পরোয়া করেন না আপনার দু’আর ছন্দ কেমন, বা তা কেমন শোনায়, এমনকি কোন ভাষায় আপনি তাঁকে ডাকছেন। আপনার দু’আর ক্ষেত্রে এসব কোন কিছুই তেমন গুরুত্ব বহন করে না, যেমনটা বহন করে দু’আর ক্ষেত্রে আপনার আন্তরিকতা। একবার ইমাম আহমদকে (রহ.) জিজ্ঞেস করা হয়েছিল, আমাদের এবং আল্লাহর আরশের মধ্যে দূরত্ব কত? একটি বিশুদ্ধ হৃদয় থেকে একটি ধার্মিক প্রার্থনা – এই ছিল তার উত্তর। এভাবেই আমরা আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালার সাথে সংযোগ স্থাপন করি।

সর্বোৎকৃষ্ট দু’আগুলো হচ্ছে যেগুলো কুরআনে রয়েছে এবং যে দু’আগুলো রাসুল (ﷺ) আমাদের শিখিয়েছেন, যিনি তাঁর চারপাশের লোকদের উদ্বুদ্ধ করেছিলেন আন্তরিকতার সাথে আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালার কাছে প্রার্থনা করতে। আপনি যদি রাসুলের (ﷺ) এর সাহাবীদের দিকে দেখেন, তবে উপলব্ধি করবেন যে তারা মূলত এমন একটি প্রজন্ম যারা তাদের নিজস্ব উপায়ে ইয়াকিনের সাথে আল্লাহর সাথে সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম হয়েছিলেন।

‘পুণ্যবানদের প্রার্থনা’ – ৩০ পর্বের এই সিরিজটিতে ধার্মিক পূর্বসূরীদের বিশেষ করে সাহাবীদের দু’আগুলো সংকলন করা হয়েছে। এই সিরিজটি অনুসরণ করে আমরাও শিখে নিতে পারি সাহাবীদের মত কিভাবে প্রার্থনার মাধ্যমে আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালার সাথে সংযোগ স্থাপন করতে হয়। আপনার ব্যক্তিগত দু’আ জার্নালে এই দু’আগুলো সংরক্ষণ করে রাখতে পারেন, এবং গড়ে তুলতে পারেন আল্লাহ সুবহানাহু তা’য়ালার সাথে এক নিবিড় সম্পর্ক। আল্লাহ যেন আমাদের সবার দু’আগুলো কবুল করে নেন। আল্লাহুম্মা আমীন! আর হ্যাঁ, আপনার দু’আয় আমাকেও স্মরণ করতে ভূলবেন না যেন।

Back to top button
Islami Lecture