বিবাহের পর ইচ্ছায় বা অনইচ্ছায় স্ত্রীর দুধ পান করলে স্ত্রী হারাম হয়ে যাবে কি?
হারাম হলে কারন কি, অথবা হারাম না হলে তার কারন কি দলিল সহ জানাতে অনুরোধ করছি। প্রায় সকল আলেম এব্যাপারে একমত যে, স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। (জাওয়াহিরুল ফিকহ ৭/৪৬)। কেননা, স্ত্রীর দুধ তার সন্তানের জন্য নির্ধারিত। আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَالْوَالِدٰتُ یُرْضِعْنَ اَوْلَادَهُنَّ حَوْلَیْنِ كَامِلَیْنِ
মায়েরা তাদের সন্তানদের পূর্ণ দু বছর দুধ পান করাবে।
(সূরা বাকারা ২৩৩)
তবে স্ত্রীর স্তন চোষা, লেহন করা, মর্দন করা, চুমো দেয়া নিষেধ নয়। হাদিসে এসেছে,
كان رسول الله ﷺ يُلاعبُ أهله ، ويُقَبلُها
রাসূলুল্লাহ ﷺ তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে আলিঙ্গন, চুম্বন ইত্যাদি করতেন।
(যাদুল মা’আদ ৪/২৫৩)
সুতরাং স্ত্রীর স্তনে যদি দুধ থাকে তাহলে স্বামীকে সর্তক থাকতে হবে, যেন দুধ মুখে না আসে। যদি দুধ মুখে আসার আশঙ্কা থাকে সে ক্ষেত্রে চোষণ থেকে বিরত থাকা উচিত। তবে স্ত্রী হারাম হবেনা কেননা দুধ পানের নির্দিষ্ট সময় হলো দুই বসর এর পর দুধ পান করলে রাজায়াত সাব্যস্ত হবেনা
(মাহমূদিয়া কাদিম ১২/৩১০, শামী ১/৩১)
নিজের স্ত্রীর দুধ পান করলে স্ত্রী স্বামীর উপর হারাম হয়না। কারণ সর্বোচ্চ ২বছর বয়সে দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পর পান করলে হয়না। তাই স্বীয় স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা আপনার স্ত্রী আপনার উপর হারাম হয়ে যায়নি। কিন্তু স্ত্রী স্তনের দুধ পান করা একটি মারাত্মক গোনাহের কাজ। একাজ থেকে বিরত থাকুন।
১. সূরা বাক্বারা-২৩৩
২. সূরা আহকাফ-১৫
৩. ফাতওয়ায়ে শামী-৪/৩৯৭
৪. তাফসীরে মাযহারী-১/৩৫৬
৫. কেফায়াতুল মুফতী-৫/১৬২