স্ত্রী সহবাস কোন কোন সময় নিষিদ্ধ
রমযান মাসে দিনের বেলায় স্ত্রী-সহবাস করা হারাম। এছাড়া হজ্জ কিংবা উমরার ইহরাম অবস্থায় হারাম। এবং মহিলারা হায়েয বা নিফাস অবস্থায় থাকলে হারাম।
.এছাড়া ইসলামে সহবাসের নিষিদ্ধ কোনো সময় যেমন নেই, অনুরূপভাবে উত্তম সময়ও নেই। বরং দিবারাত্রে যে কোনো দিন যে কোনো সময় স্বামী স্ত্রীর যখনই সুযোগ হয়, তখনই সহবাস বৈধ।
আল্লাহ তাআলা বলেন,
فَإِذَا تَطَهَّرْنَ فَأْتُوهُنَّ مِنْ حَيْثُ أَمَرَكُمُ اللّهُ إِنَّ اللّهَ يُحِبُّ التَّوَّابِينَ وَيُحِبُّ الْمُتَطَهِّرِينَ
অতঃপর যখন তারা পবিত্র হয়, তখন তাদের নিকট ঠিক সেইভাবে গমন কর, যেভাবে আল্লাহ তোমাদেরকে আদেশ দিয়েছেন। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাপ্রার্থীগণকে এবং যারা পবিত্র থাকে, তাঁদেরকে পছন্দ করেন।
(সূরা বাকারা ২২২)
দুই. তবে কোনো আলেম বলেন, জুমআ’র দিন সহবাস করা মুসতাহাব। কেননা, রাসুলুল্লাহ ﷺ বলেছেন,
مَنْ اغْتَسَلَ يَوْمَ الْجُمُعَةِ غُسْلَ الْجَنَابَةِ ثُمَّ رَاحَ فَكَأَنَّمَا قَرَّبَ بَدَنَةً
যে ব্যক্তি জুমআ’র দিন জানাবাতের (গোসল ফরজ হলে যেভাবে গোসল করে) গোসলের ন্যায় গোসল করে এবং নামাজের জন্য আগমণ করে সে যেন একটি উট কুরবানী করল…।
বুখারী ৮৮১
উক্ত হাদিসের ব্যখ্যায় ইবনু হাযার আসকালানি রহ. বলেন,
وَقِيلَ: فِيهِ إِشَارَةٌ إِلَى الْجِمَاعِ يَوْمَ الْجُمُعَةِ لِيَغْتَسِلَ فِيهِ مِنَ الْجَنَابَةِ، وَالْحِكْمَةُ فِيهِ: أَنْ تَسْكُنَ نَفْسُهُ فِي الرَّوَاحِ إِلَى الصَّلَاةِ ، وَلَا تَمْتَدُّ عَيْنُهُ إِلَى شَيْءٍ يَرَاهُ
কেউ বলেন, এতে ইঙ্গিত রয়েছে জুমআ’র দিনে সহবাস করার প্রতি, যেন ওই দিন জানাবাতের গোসল করতে পারে। এর মাঝে রহস্য এই যে, সে প্রশান্ত মনে নামাজে যেতে পারবে এবং তার দৃষ্টি অন্য দিকে যাবে না।
ফাতহুল বারী ২/৩৬৬
এতেকাফ অবস্থায় সহবাস করা কি হারাম?
وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ ۗ تِلْكَ حُدُودُ اللَّهِ فَلَا تَقْرَبُوهَا ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَّقُونَ [٢:١٨٧]
আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর,ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য,যাতে তারা বাঁচতে পারে।
[সূরা বাকারা-১৮৭]