যখন হাইস্কুলে পড়তাম তখন আমাদের বাসায় কঠোর একটা নিয়ম ছিল! নিয়মটা ছিল আমি এবং আমার বড় দুই ভাইয়ের উপর।
যখন আমার বড় দুই ভাই বিদেশ চলে যান তখন এই নিয়মটা এক মাএ আমার উপর ছিল!’
“কথায় আছে নজর যখন একজনের উপর তখন সেটার প্রয়োগ-ই আলাদা”।
নিয়মটা হলো মাগরিব নামাজের পড় দশ সেকেন্ডের জন্য বাহিরে থাকা যাবেনা!’
মাঝেমধ্যে মাগরিব নামাজ শেষ করে যখন দু-চার মিনিট লেট হতো তখন বাড়ির সামনে এসে চুপিচুপি দেখতাম আব্বার আওয়াজ শুনতে পাওয়া যায় কি-না যখন মনে হতো আব্বা এখনো আসেননি তখন একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলতাম যাক আল্লাহ বাঁচিয়েছেন।
বাসায় এসে আম্মাকে যে ভাবেই হোক বোঝাতাম!’
তারপর আর আব্বার কাছে বিচার যেত না।
আম্মার থেকে আব্বা একটু বেশি কঠোর মানুষ!’
মূল কথায় আসি…
থার্টি ফার্স্ট নাইট।যেটি কয়েক বছর আগেও ছিলনা আমাদের সবুজ শেমল দেশটিতে, কিন্তু তার প্রভাব বিস্তার চুয়েছে এখন প্রতিটা গ্রাম-গঞ্জেও।
প্রতিটা বাবা-মা যেন ঘুমন্ত!’
তার ছেলেটা কোথায় রাত কাটালো,ভার্সিটি পড়া মেয়েটা কোন বন্ধুর সাথে হোটেলে উঠলো সে গুলো যেন এখন একদমি সামান্য বিষয়ে রূপান্তরিত হলো।
যখন মেয়েটার বড় কোনো এক্সিডেন্ট হয়ে যায় তখন তারা ভাবে মান সম্মানের কথা!’অথচ যখন তারা জানতো আদরের মেয়েটির চার পাঁচটে ছেলে বন্ধু হয়ে গেছে তখন তাদের জবাব ছিল এক বয়সে এমন হয়-ই। এক্সিডেন্টের পড় তাদের হুঁশ ফিরে!
তখন তারা ভাবে আর হোস্টেলে রেখে মেয়ে পড়াবো না, একা বাসা থেকে বের হতে দিবো না,হাতে ফোন দিবো না,নানান কিছু।
তাই প্রতিটা অবিভাবকের প্রতি থাকবে বিনীত অনুরোধ আপনার সন্তানের খোঁজ রাখুন কি করছে কোন বন্ধুদের সাথে মিশছে সেদিকে খেয়াল রাখুন!
সন্তানদের প্রতি একটু কঠোর হতে শিখুন!
কিছু কিছু বাবা-মা হয় একদম সহজ সরল তাদের যে ভাবে বুঝানো হয় সে ভাবেই বুঝেন অতএব প্রিয় ভাই বোনদের উদ্দেশ্যে একটায় কথা বলবো আল্লাহকে ভয় করুন!!!
মৃত্যুর কথা একবার স্বরণ করুন,
আল্লাহর সামনে দাড়াবার কথা একটিবার ভাবুন!