আকষ্মিক বিপদ, দুর্ঘটনার সংখ্যা যেন বেড়েই চলেছে। সোস্যাল মিডিয়া খুললেই বিভিন্ন দুর্ঘটনার খবরে ওয়াল ভরপুর। যেখানে যেমন থাকে রোড এক্সিডেন্ট এর খবর, ঠিক তেমনই থাকে ঝড় কিংবা অন্য কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগে আঘাতপ্রাপ্ত-নিহত হওয়ার খবর। একটি জীবন ক্ষণিকেই ধ্বংস হয়ে যেতে পারে একটি দুর্ঘটনায়। তাইতো বলা হয়— একটি দুর্ঘটনা সারা জীবনের কান্না।
মূলত দুর্ঘটনা হচ্ছে আল্লাহ প্রদত্ত আসমানী-জমিনি মুসিবতের প্রতিকী রুপ। এরুপ আসমানী-জমিনি মুসিবত থেকে বেঁচে থাকার জন্য আল্লাহর কাছে সাহায্য প্রার্থনা করার নির্দিষ্ট একটি দো’য়া এবং পদ্ধতি নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন।
দোয়াটি হলোঃ-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
উচ্চারণঃ- “বিসমিল্লাহিল্লাজি লা ইয়াদুররু মাআসমিহি শাইউন ফিল আরদি ওয়ালা ফিস সামায়ি ওয়া-হুয়াস সামিউল আলিম।” (সর্বোচ্চ চেষ্টা করবেন আরবি দেখে পড়তে। কেননা, অনেকাংশেই আরবি প্রতিলিপি বাংলায় প্রকাশ করা প্রায় অসম্ভব।)
অর্থাৎ— আমি আমার (দিন বা রাতের) সূচনা করছি ঐ আল্লাহর নামে যার নামের সঙ্গে আসমান জমিনের কোনো কিছু কোনো ধরণের ক্ষতি করতে পারে না। তিনি সর্বশ্রোতা ও সর্বাজ্ঞ।
বিশিষ্ট সাহাবি হজরত উসমান ইবনে আফফান (রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে ) থেকে বর্ণিত, নবী করিম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন—,
❝যে ব্যক্তি সকালে এ দোয়া তিনবার পাঠ করবে, সে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোনো আকষ্মিক দুর্ঘটনার শিকার হবে না। আর যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় এ দোয়া তিনবার পাঠ করবে সে সকাল পর্যন্ত কোনো আকষ্মিক দুর্ঘটনার শিকার হবে না।❞
[আবু দাউদ : ৫০৯০, তিরমিজি : ৩৩৮৮]
উপর্যুক্ত হাদিসে উক্ত দো’য়াটি সকাল ও সন্ধ্যা তিন বার করে পাঠ করতে বলা হয়েছে৷ বাস্তবতা হচ্ছে— স্বাভাবিক পদ্ধতিতে প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যায় তা পাঠ করা অনেকটাই অসম্ভব। স্বভাবগত একদিন মনে থাকলে অন্যদিন থাকবেনা। তবে—এই ক্ষেত্রে একটি ট্যাকনিকের অনুসরণ হতে পারে বেস্ট সল্যুশন। যেহেতু সকাল এবং সন্ধ্যায় পাঠ করতে বলা হয়েছে— সেহেতু সকালের নামাজ তথা ফজরের নামাজের পর এবং সন্ধ্যার নামাজ তথা মাগরিবের নামাজের আগে/পরে এই দোয়া পাঠ করা যেতে পারে। যার ফলে, সহজেই তা আমল করা যাবে।
আরও পড়ুন
আল্লাহ তায়ালা আমাদের সবাইকে ছোট বড় সকল ধরণের মুসবিত থেকে সর্বদা হেফাজত করুক, আমিন।