হাশর দিবসে আপনি দেখলেন যে — আপনার আ’মলনামায় বিশটি হজ্বের সওয়াব, দুই কোটি টাকা দানের সওয়াব, অসংখ্য রাকায়াত তাহাজ্জুদ নামাজের সওয়াব। অথচ!আপনি তো জীবনে হজ্ব ফরজ না থাকায় কখনও হজ আদায় করেননি, আপনার সম্পদের পরিমাণ কখনও দুই কোটি টাকা ছিলোই না, খুব বেশিদিন আপনি তাহাজ্জুদ আদায় করেন নি।
রাসুল (সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন)
❝যদি কোন ব্যক্তি কাওকে জ্ঞানের কথা শিক্ষা দেয়, তাহলে ঐ ব্যক্তি কর্ম সম্পাদনকারীর (তাঁর কথা শুনে) সমপরিমাণ সওয়াব পাবে৷ এতে কর্ম সসম্পাদনকারীর পুরষ্কাতে কোনরুপ কমতি ঘটবে না৷❞
[সহিহ ইবনে মাজাহঃ২৪০]
অর্থাৎ! আপনি যে কোন সেমিনারে,কোন মজলিসে অথবা ব্যাক্তিগতভাবে কাউকে হজ্বের গুরুত্ব বুঝিয়েছিলেন অথবা দান করার ফজিলত আলোচনা করেছিলেন — তার পরিপ্রেক্ষিতে ঐ যে ব্যক্তিগুলো যতবার হজ্ব আদায় করেছিলো বা অনেক অর্থ দান করেছিলো সেই হজ্ব ও দান খয়রাতের সমপরিমাণ সওয়াব আপনার আ’মলনামায় যুক্ত হয়েছে।
আবার, আপনার কথা কিংবা পরামর্শের দ্বারা যদি কেউ কোনধরনের খারাপ কাজ করতে মোটিভেটেড হয়— তাহলে তার সমপরিমাণ পাপ আপনার আমলনামায় যুক্ত হবে৷ আপনার পরামর্শে যদি কেউ হারাম রিলেশনে যুক্ত হয়, কেও যদি আপনার দ্বারা ইন্সপায়ার্ড হয়ে হারাম টাকা উপার্জনের দিকে ঝুঁকে তারও সমপরিমাণ গুনাহ আপনি আপনার আ’মলনামায় দেখতে পাবেন৷
নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বলেন,
❝যদি কোনো ব্যক্তি কোনো ভালো পথে আহ্বান করে, তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পুরস্কারের সমপরিমাণ পুরস্কার সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পুরস্কারের কোনো ঘাটতি হবে না। আর যদি কোনো ব্যক্তি কোনো বিভ্রান্তির দিকে আহ্বান করে তবে যত মানুষ তার অনুসরণ করবে তাদের সকলের পাপের সমপরিমাণ পাপ সে ব্যক্তি লাভ করবে, তবে এতে অনুসরণকারীদের পাপের কোনো ঘাটতি হবে না।❞
[রিয়াদুস সালেহীন ২/৩৫৯-৬০]