সহবাস করার শুরুতে, মাঝে ও শেষে কী কী দুআ পাঠ করতে হয়
স্বামী-স্ত্রী সহবাসের পূর্বের দুআ সহিহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়েছে। যেমন: ইবনে আব্বাস রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যখন তোমাদের কেউ তার স্ত্রী সহবাস করতে চায় সে যেন বলে,
” ﺑِﺴْﻢِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ، ﺍﻟﻠَّﻬُﻢَّ ﺟَﻨِّﺒْﻨَﺎ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ، ﻭَﺟَﻨِّﺐْ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻣَﺎ ﺭَﺯَﻗْﺘَﻨَﺎ ”
(বিসমিল্লাহ্। আল্লা-হুম্মা জান্নিবনাশ শায়ত্বানা ও জান্নিবিশ শায়ত্বানা মা রাযাক্বতানা।)
অর্থ: আল্লাহর নামে শুরু করছি। হে আল্লাহ, আমাদেরকে শয়তান হতে বাঁচান এবং আমাদেরকে যদি কোন সন্তান দেন তাকেও শয়তান হতে বাঁচান।” তাহলে এ মিলনে তাদের ভাগ্যে যদি কোন সন্তান হয় তবে শয়তান কখনো তার ক্ষতি করতে পারবে না।”
[বুখারি হা/ ৬৩৮৮ ও মুসলিম হা/ ১৪৩৪]
অন্য বর্ণনায় এসেছে, “তাহলে শয়তান তার কোন ক্ষতি করতে পারবে না এবং তার উপর কর্তৃত্ব চালাতে পারবে না।” [সহীহ বুখারী (ইফা), অধ্যায়: ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা, পরিচ্ছেদ: ১৯৯৩. ইবলিশ ও তার বাহিনীর বর্ণনা]
কিন্তু সহবাসের মাঝে বা সহবাসের পর বিশেষ কোনও দুআ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি। তাই নির্দিষ্ট কোনও দুআ নিয়ম করে পাঠ করা যাবে না। হ্যাঁ, কেউ যদি সহবাসের পর সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে মহান আল্লাহর কাছে নিজের মত করে দুআ করে ও আল্লাহর কাছে সন্তান চায় তাহলে তাতে কোনও আপত্তি নাই। তবে নির্দিষ্ট কোনও দুআ নির্দিষ্ট পদ্ধতিতে পড়া যাবে না। অন্যথায় তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে। কেননা তা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদিস বা সাহাবিদের আমল দ্বারা সাব্যস্ত হয়নি।
– কেউ কেউ সন্তান লাভের উদ্দেশ্যে সহবাসে বীর্যপাতের সময় অথবা সহবাসের পরে স্ত্রীর পেটে হাত রেখে নির্দিষ্ট দুআ পড়ার কথা বলে। যেমন: বীর্যপাতের সময় নিম্নোক্ত দুআ পাঠের কথা বলা হয়:
اَلْحَمْدُ لِلّٰهِ الَّذِي جَعَلَ مِنَ الْمَاءِ بَشَرًا
“সেই আল্লাহর সকল প্রশংসা যিনি পানি থেকে মানুষ সৃষ্টি করেছেন।”
মূলত: সূরা ফুরকানের ৫৫ নাম্বার আয়াতকে কিছুটা বিকৃত করে এ দুআটি বানানো হয়েছে। কিন্তু কুরআন-সুন্নায় স্ত্রী মিলনকালে বীর্যপাতের সময় এই দুআ পাঠ করার কথা কোথাও বর্ণিত হয়নি। অনুরূপভাবে সহবাসের পরে স্ত্রীর পেটে হাত রেখে বিশেষ কোনও দুআ পাঠের ব্যাপারেও কোনও নির্দেশনা আসেনি। সুতরাং তা অবশ্যই বর্জনীয়। অন্যথায় তা বিদআত হিসেবে গণ্য হবে।
আল্লাহু আলাম।