শিশুকে দুবছরের বেশি সময় দুধপান করালে কি গুনাহ হবে
বাচ্চাকে দুই বছরের বেশি সময় বুকের দুধ খাওয়ালে কি পাপ হবে?
না খাওয়ালে কান্নাকাটি করে এবং সিন ক্রিয়েট করে।
বাচ্চাকে দুই বছর আমরা দুধ পান করাতে পারবো, আমাদের মায়েরা দুধ পান করাতে পারবেন। বুকের দুধ দুই বছরের বেশি যদি পান করানো হয়, তাহলে সেক্ষেত্রে সেটা গুনাহ হবে এটা জায়েজ হবে না।
এটাই হলো হানাফী ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া এবং এটি অধিকতর বিশুদ্ধতর মত। কারণ আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন
وَالْوَالِدَاتُ يُرْضِعْنَ أَوْلَادَهُنَّ حَوْلَيْنِ كَامِلَيْنِ ۖ لِمَنْ أَرَادَ أَن يُتِمَّ الرَّضَاعَةَ
আর সন্তানবতী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ন দু’বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে চায়।1
যে চায় যে তার সন্তানকে দুধ পান করানোর যে সময় আছে, এই সময়সীমাটাকে পরিপূর্ণ ইউজ করবে সে দুই বছর দুধ পান করাতে পারবে। অর্থাৎ সেই মা তার সন্তানকে দুই বছর দুধ পান করাতে পারবেন, যিনি তার সন্তানকে দুধ পান করানোর পরিপূর্ণ সময়টাতেই দুধ পান করাতে চান। এ আয়াত থেকে একেবারে পরিষ্কার বোঝা যায় যে দুধ পান করার পরিপূর্ণ টাইম হলো দুই বছর, এরপর আর তিনি দুধ পান করাতে পারবেন না।
বাচ্চাদের কান্নাকাটি যে ব্যাপারটি আছে, সেটিকে নিয়ন্ত্রণ করবার জন্য আগে থেকে অর্থাৎ দুই বছর আগে থেকেই নানাভাবে বাচ্চাদেরকে দুধ পান করানো থেকে দুধ দুধ ছাড়াতে হবে এবং সেটার জন্য মায়েদের যে সমস্ত পলিসি গুলো আছে, সে পলিসিগুলো তারা এপ্লাই করবেন অবলম্বন করবেন, ধরুন দুই মাস বা তিন মাস আগে থেকে যদি আপনি শুরু করেন তাহলে সেক্ষেত্রে দুই বছরে এসে সেটাকে কন্ট্রোল করা কঠিন কোন কাজ নয়।
আর এর বাইরে হাম্বলী ওলামায়ে কেরামের ফতোয়া রয়েছে এখানে ভিন্নতর তারা মনে করেন যে দুই বছরের পরেও যতদিন ইচ্ছা ততদিন মা বাচ্চাকে দুধ খাওয়াতে পারেন। যতদিন ইচ্ছা ততদিনের কথা তারা বলেন, এমনকি বড় হওয়ার পর দুধ পান করাতে পারবেন, এমন একটি মত হাম্বলী ওলামায়ে কেরামের রয়েছে।
সৌদি আরবের বর্তমান ওলামায়ে কেরাম তারা এই মতটি পোষণ করে থাকেন কিন্তু প্রথম উক্ত মত যেটি হানাফী ওলামায়ে কেরামের মত সেটি অধিকতর দলিলের দিক থেকে বিশুদ্ধ এবং শক্তিশালী।
অতএব দুই বছরের মধ্যে বাচ্চাকে দুধ পান করানো শেষ করতে হবে।
নবী (সাঃ) হাদিসে রয়েছে দুই বছরের পর কোন দুধ পান করানো চলবে না।
এই সমস্ত আয়াত এবং হাদিসের আলোকে দুই বছরের মধ্যে দুধ পান করানো সমাপ্ত করতে হবে।
- সূরা বাকারাঃ২৩৩ ↩︎