আমি খুবই অসুস্থতার মধ্যে আছি,(অবিবাহিতা) গত চার বছর ধরে আমার অনিয়মিত পিরিয়ড হচ্ছে, লাস্ট ২ বছর হলো জানতে পেরেছি আমার PCOS (Polycystic ovary syndrome) যেটা হরমোনাল সমস্যা, এর কারণে আমার মেজাজ খিটমিটে, ওজন বেড়ে যাওয়া, চুল পড়ে যাওয়া,ফেসিয়াল হেয়ার হওয়া, ভালো না লাগা, ঘুম কম হওয়া, শরীর দূর্বল লাগা যা আমাকে অনেক দূর্বল করে দিচ্ছে,
এর জন্যে ডক্টর বলেছেন ওজন কমাতে, লাইফস্টাইল ঠিক করতে, শ্বাস এর ব্যায়াম করতে, এক্সারসাইজ করতে, কিন্তু এক্সারসাইজ করা আমার পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না কারণ আমি শরীরে শক্তি পাচ্ছি না, আর কিছু কিছু ইয়োগা রয়েছে যা PCOS এর জন্যে করতে বলা হয়েছে, তো আমি সেই গুলো করছিলাম, কিন্তু ইয়োগাতে কিছু কিছু পোজ আছে যেইগুলো আমার কাছে মনে হচ্ছে কোনো প্রাণীর আকার এর মত আবার হিন্দুরা সূর্যকে কেন্দ্র করে কিছু আসন ব্যায়াম করে,
যা আমি ভুলে ২/৩ দিন এর মত করেছিলাম, এরপর থেকে আমি যখন বুঝতে পেরেছি তখন আর করছি না, আর আমি এখন এইগুলো স্কিপ করে যাচ্ছি,যেগুলো আমার কাছে নরমাল মনে হচ্ছে সেইগুলা করছি, কিন্তু তাও আমার দ্বিধা লাগছে, আমি নরমাল গুলো আর শ্বাস এর ব্যায়াম করতে পারবো?
আমার কি করা উচিত?
ইয়োগা মূলত শারীরিক ও মানসিক সুস্থতার উদ্দেশ্যে ব্যায়ামের নামে হিন্দু ও বৌদ্ধ ঋষি-মনীষীদের ধর্মীয় শিরকি কার্যক্রম চর্চার সুপরিকল্পিত কার্যক্রম। ব্যায়ামের কথা বলে তারা সব ধর্মের মানুষকে এই জায়গায় একত্রিত করার চেষ্টা চালিয়েছে।
এই যোগ ব্যায়ামে নানা শিরকি বিষয় রয়েছে। তার একটি উদাহরণ হল নিম্নরূপ:
বলা হয়েছে, “সূর্য-নমস্কার (Surya-namashkara) বা (Sun-salutation) একটি উত্তম খালিহাতে ব্যায়াম। যে কোন ব্যায়াম বা খেলাধূলার পূর্বে কয়েকবার সূর্য-নমস্কার করে নিলে দেহ যথেষ্ট ব্যায়ামোপযোগী হয়ে ওঠে। রক্তের গতি ও দেহের তাপ যে কোন ব্যায়ামের পক্ষে উপযোগী করে তোলার জন্য পদ্ধতিটি বিশেষ কার্যকরি। তাই দু’-এক ক্ষেপ সূর্য-নমস্কার করে তারপর যোগাসন আরম্ভ করলে দ্রুত এবং ভালো ফল পাওয়া যায়।” [ ইয়োগা: সুদেহী মনের খোঁজে |২৫| সূর্য-নমস্কার – রণদীপম বসু] আরো সমস্যা আছে।
তাই বিধর্মীদের সাদৃশ্য অবলম্বন হতে পারে এমন আশঙ্কা থেকে ইয়োগা পদ্ধতি থেকে দূরে থাকাই নিরাপদ মনে করি। আল্লাহ ভালো জানেন।