সালাতুল হাজত বা প্রয়োজন পূরণ এর উদ্দেশ্যে সালাত আদায় সম্পর্কে সর্ব মোট চারটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে কিন্তু কোনটি সহীহ নয়।
মুহাদ্দিসগণ বলেন, চারটি হাদীসের মধ্যে একটিতে বিশেষ পদ্ধতিতে ১২ রাকাআত আদায় করার কথা বলা হয়েছে। কিন্তু সেটি মওযু বা বানোয়াট। আর দু রাকাআত আদায় করার কথা বলা হয়েছে বাকি ৩টি হাদীসে। কিন্তু সেগুলোর মধ্যে ১টি বানোয়াট (موضوع), একটি অত্যন্ত দুর্বল (ضعيف جداً) আর আরেকটি শুধু দুর্বল (ضعيف)।
তবে নামাযের মাধ্যমে আল্লাহর নিকট সাহায্য চাওয়ার কথা কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ বলেন:
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلَاةِ ۚ إِنَّ اللَّـهَ مَعَ الصَّابِرِينَ
“হে মুমিন গণ! তোমরা ধৈর্য্য ও নামাযের মাধ্যমে সাহায্য প্রার্থনা কর। নিশ্চিতই আল্লাহ ধৈর্য্যশীলদের সাথে রয়েছেন।” (সূরা বাকারা: ১৫৩)
আর তাই তো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যে কোন সমস্যা, ভয়ভীতি ও বিপদ অনুভব করলে সালাতে দাঁড়িয়ে যেতেন।
عن حذيفة بن اليمان رضى الله عنه قال : كان النبي صلى الله عليه وسلم «إذا حزبه أمر صلى» قال الشيخ الألباني: حديث حسن, ينظر: صحيح سنن أبي داود
সুতরাং যে কোন সমস্যা ও প্রয়োজনে আমরা সালাত আদায় করতে পারি এবং সালাতে সেজদা অবস্থায় নিজের প্রয়োজন তুলে ধরে আল্লাহর নিকট দুআ করতে পারি। কেননা, এটি দুআ কবুলের খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়। যেমন হাদীসে বর্ণিত হয়েছে-ইবনে আব্বাস রা. হতে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন,
أَلَا إِنِّي نُهِيتُ أَنْ أَقْرَأَ رَاكِعًا أَوْ سَاجِدًا، فَأَمَّا الرُّكُوعُ فَعَظِّمُوا فِيهِ الرَّبَّ، وَأَمَّا السُّجُودُ فَاجْتَهِدُوا فِي الدُّعَاءِ قَمِنٌ أَنْ يُسْتَجَابَ لَكُمْ
“তোমরা শুনে রেখ! আমাকে রুকু ও সেজদা অবস্থায় কুরআন পাঠ থেকে নিষেধ করা হয়েছে। রুকুতে তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের শ্রেষ্ঠত্ব ও মর্যাদা বর্ণনা কর। আর সিজদায় তোমরা বেশি করে দোয়া কর। তোমাদের জন্য দোয়া কবুল হওয়ার উপযুক্ত সময় এটাই।” (সুনান নাসাঈ হ/১১২০-সহীহ)
নামাযে পরেও একাকি হাত উঠিয়ে আল্লাহর নিকট দুআ করতে পারি। তাহলে আশা করা যায় তিনি চাওয়া-পাওয়া পুরণ করবেন। কারণ, নামাযেই রয়েছে সাফল্য, মুক্তি ও সমাধান।
আল্লাহু আলাম।