দেখতে কালো ছিলেন বলে কোনো সাহাবী তাঁর সাথে মেয়ে বিয়ে দিতে রাজি ছিলেন না! এই নিয়ে তার প্রচণ্ড মন খারাপ।
একদিন তিনি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে গেলেন। সেখানে বেশ কয়েকজন সাহাবী উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বললেন, “ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার আশেপাশে যারা উপস্থিত আছে এবং যারা অনুপস্থিত, তাদের প্রত্যেকের নিকট আমি আমার বিয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছি। কিন্তু, তারা সবাই আমার কালো ও কুৎসিত চেহারার কারণে আমার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছেন। অথচ আমি বনু সুলাইমের একজন সম্মানিত ব্যক্তি!”
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের কাছো কতোটা প্রিয় ছিলেন এই ঘটনা তার একটি প্রমাণ। সাহাবী তার একান্ত ব্যক্তিগত সমস্যাটির জন্য পর্যন্ত তাঁর কাছে ছুটে যান। তিনি জানতেন, রাসূল নিশ্চয়ই একটি সমাধান দিবেন।
রাসূলুল্লাহ বললেন, “তুমি আমর ইবনে ওয়াহাবের কাছে যাও।”
আমর ইবনে ওয়াহাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর একজন সুন্দরী, গুণবতী মেয়ে ছিলো। সেই সাহাবী বিয়ের প্রস্তাব আমর ইবনুল ওয়াহাব রাদিয়াল্লাহু আনহুর বাড়ি নিয়ে গেলে বাড়ির লোকজন তার সাথে খারাপ ব্যবহার করে!
তিনি যখন ফিরে আসতে লাগলেন, তখন পেছন থেকে ডাক আসলো।
মা-বাবা রাজি না থাকা সত্ত্বেও মেয়ে রাজি। রাসূলের সুপারিশ সেই মেয়ে মেনে নিলেন।
সাহাবী এবার ভীষণ খুশি। অবশেষে তার বিয়ে হবে। স্ত্রীর জন্য কেনাকাটা করতে বাজারে গেলেন।
তখনই শুনলেন যুদ্ধের ডাক। বিয়ের কেনাকাটা বাদ দিয়ে কিনলেন যুদ্ধের সরঞ্জাম। মাথায় পাগড়ি পেঁচিয়ে বেরিয়ে পড়লেন ‘আল্লাহর রাস্তায়‘।
যুদ্ধে এমনভাবে সবার সাথে মিশে গেলেন, কেউ তাকে চিনতে পারলো না।
দীর্ঘদিনের প্রত্যাশার পর যখন বিয়ে ঠিক হলো, তিনি প্রত্যাশিত বিয়ে প্রত্যাখ্যান করে চলে গেলেন যুদ্ধে।
রাতটি হবার কথা ছিলো তার বাসর রাত। অথচ রাতটি হয় তার জীবনের শেষ রাত! আল্লাহর রাস্তায় নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে শাহাদাতের মর্যাদা লাভ করেন সা’দ আল আসওয়াদ রাদিয়াল্লাহু আনহু।