রোজা অবস্থায় গালিগালাজ, মিথ্যা, গীবত করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় কি
রোজা অবস্থায় গালমন্দ, মিথ্যা কথা, গীবত করলে রোজা ভঙ্গ হয়ে যায় কি?
রোযা থাকা অবস্থায় গালিগালাজ, মিথ্যা, গীবত ইত্যাদি করার কারণে রোযার অন্যতম ফযীলত থেকে বঞ্চিত হয়। অবশ্যই রোযার ফরয পূর্ণ হবে। তবে রোজা ভঙ্গ হবে না।
وَحَدَّثَنِي مُحَمَّدُ بْنُ رَافِعٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّزَّاقِ، أَخْبَرَنَا ابْنُ جُرَيْجٍ، أَخْبَرَنِي عَطَاءٌ، عَنْ أَبِي صَالِحٍ الزَّيَّاتِ، أَنَّهُ سَمِعَ أَبَا هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – يَقُولُ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم “ قَالَ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ كُلُّ عَمَلِ ابْنِ آدَمَ لَهُ إِلاَّ الصِّيَامَ فَإِنَّهُ لِي وَأَنَا أَجْزِي بِهِ وَالصِّيَامُ جُنَّةٌ فَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ يَوْمَئِذٍ وَلاَ يَسْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ . وَالَّذِي نَفْسُ مُحَمَّدٍ بِيَدِهِ لَخُلُوفُ فَمِ الصَّائِمِ أَطْيَبُ عِنْدَ اللَّهِ يَوْمَ الْقِيَامَةِ مِنْ رِيحِ الْمِسْكِ وَلِلصَّائِمِ فَرْحَتَانِ يَفْرَحُهُمَا إِذَا أَفْطَرَ فَرِحَ بِفِطْرِهِ وَإِذَا لَقِيَ رَبَّهُ فَرِحَ بِصَوْمِهِ ” .
আবূ হুরায়রাহ্ রাযিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “মানব সন্তানের প্রতিটি নেক কাজের সওয়াব দশ গুন থেকে সাতশ’ গুন পর্যন্ত বাড়িয়ে দেয়া হয়।” মহান আল্লাহ্ বলেন, “আদম সন্তানের যাবতীয় ‘আমাল তার নিজের জন্য কিন্ত সিয়াম বিশেষ করে আমার জন্যই রাখা হয়। আর আমি নিজেই এর প্রতিদান দিব।” সুতরাং যখন তোমাদের কারো সওমের দিন আসে সে যেন ঐ দিন অশ্লীল কথাবার্তা না বলে এবং অনর্থক শোরগোল না করে। যদি কেউ তাকে গালি দেয় অথবা তার সাথে বিবাদ করতে চায়, সে যেন বলে, “আমি একজন সিয়াম পালনকারী”। সে মহান আল্লাহ্র শপথ, যাঁর হাতে মুহাম্মাদের জীবন! সিয়াম পালনকারীদের মুখের দুর্গন্ধ ক্বিয়ামতের দিন আল্লাহ্র কাছে কস্তুরীর সুগন্ধির চেয়েও উত্তম হবে। আর সিয়াম পালনকারীদের জন্য দুটি আনন্দ রয়েছে। এর মাধ্যমে সে অনাবিল আনন্দ লাভ করে। একটি হল যখন সে ইফত্বার করে তখন ইফত্বারীর মাধ্যমে আনন্দ পায় আর দ্বিতীয়টি হলো যখন সে তার প্রভুর সাথে মিলিত হবে তখন সে তার সিয়ামের জন্য আনন্দিত হবে।”
[সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ২৫৯৬]
গীবত কবিরা গুনাহ। কোরআনে কারিমে এবং হাদিস শরিফে এর জঘন্য ও ভয়াবহতার কথা বলা হয়েছে। এটি শুধুমাত্র রোযার সময়ই নয় বরং সাধারণ সময়েও সবচেয়ে খারাপ কাজ এবং অভ্যাস।
আর পবিত্র রমজান মাসে রোজাদার অবস্থায় এর ভয়াবহতা আরও বেশি।
মুফাসসিরে মুজাহিদ (রহ.) বলেন, দুটি অভ্যাস আছে এমন সে ব্যক্তি তা পরিহার করবে এবং তার রোজা নিরাপদ থাকবে- গীবত ও মিথ্যা বলা।
সুনানে আবু দাউদের রেওয়ায়েতে এ শব্দ রয়েছে,
রোজাদার যেন কোনো অন্যায়-অপরাধে লিপ্ত না হয়।
[হাদিস: ৩৩৬৩ (১/৩২২)]