কমন মিস্টেকস ইন রামাদান – উপবাস ভঙ্গ করার নিয়ম
আজ যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাই তা রোজা ভাঙার সাথে সম্পর্কিত। আমাদের রাসুল (সা.) ইফতার করতেন খেজুর দিয়ে, আর খেজুর না থাকলে পানি দিয়ে। এক্ষেত্রে যে ভুলটি আমি লক্ষ্য করেছি তা হলো অনেকে মনে করেন বেজোড় সংখ্যক খেজুর খাওয়া সুন্নত। প্রায়শই লোকেরা বলে থাকে একটা, তিনটা, বা পাঁচটা খেজুড় দিয়ে রোজা ভাঙ্গা সুন্নত, তারা মনে করে বেজোড় সংখ্যার একটি বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বস্তুত নবীর (সা.) সুন্নতে এমন কিছু পাওয়া যায় না যে তিনি বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেতেন।
আপনি চাইলে বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেতে পারেন, আল্লাহ বিতর অর্থাৎ বেজোড় সংখ্যা পছন্দ করেন। তবে নবীর (সা.) সুন্নতে স্পষ্ট করে এমন কিছু বলা নেই। তাই আপনি লোকদের পরামর্শ দিতে পারেন না বেজোড় সংখ্যক খেজুর খাওয়ার ব্যাপারে, বা বলতে পারেন না যে এটাই শ্রেয়। আমাদের রাসূল (সা.) এত বছর ধরে রোজা রেখেছেন, কিন্তু তিনি বেজোড় সংখ্যক খেজুর খেয়েছেন বলে জানা যায়নি।
ইফতারের সময় খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙ্গা সুন্নত, আর খেজুর না থাকলে পানি। কিছু উলামা উল্লেখ করেছেন খেজুর পাওয়া না গেলে, মিষ্টি জাতীয় ফল যেমন ডুমুর (তীন) দিয়ে রোজা ভাঙ্গা যেতে পারে। ইবনুল কাইয়ুম (রহ.) উল্লেখ করেছেন আঙ্গুর দিয়ে রোজা ভাঙ্গা যাবে। তবে সুন্নত হল খেজুর দিয়ে রোজা ভাঙ্গা, আর তা না পাওয়া গেলে পানি, কারণ এটা সুন্নতের কাছাকাছি।
আর যদি আযানের সময় হয়ে যায় এবং আপনার কাছে খেজুর বা এই জাতীয় কিছু না থাকে, তখন আপনি কি করবেন? ধরুন আপনি গাড়িতে আটকা পড়ে গেছেন, এবং রোজা ভাঙ্গার মতো আপনার গাড়িতে কোন খাবার বা পানীয় নেই। এক্ষেত্রে মানুষ যে ভুলটি করে তা হল অপেক্ষা করে, বস্তুত করণীয় হলো রোজা ভাঙ্গার নিয়ত করা, এবং যখনই সুযোগ পান রোজা ভাঙ্গা। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’য়ালা যেন আমাদের সবার কাছ থেকে কবুল করে নেন।
মূল: শাইখ ওয়ালীদ বাসাইউনি