বদনজর হচ্ছে হিংসুকের বিষাক্ত দৃষ্টি। অন্যের অর্জনে জ্বলন্ত ঈর্ষান্বিত লোকদের বিষাক্ত দৃষ্টি প্রায়শই মানুষের বড় ক্ষতি করে। এ জন্য মহানবী صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ তাঁর উম্মতদের বদনজর সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত যে রাসুল (সা.) বলেছেন, বদনজর লাগা একটি সত্য ব্যাপার। [আবু দাউদ:৩৮৭৯]
নিম্নোক্ত দোয়াসমূহ প্রতিদিন যেকোনো সময় পাঠ করবে :
১. প্রথমে দরুদ শরিফ যেমন : صَلَّى اللّٰهُ عَلَيٗهِ وَسَلَّم তিনবার
২. তারপর أَعُوْذُ بِاللّٰهِ مِنَ الشَّيْطٰانِ الرَّجِيْمِ একবার
৩. তারপর بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ একবার
৪. তারপর أَعُوذُ بِكَلِمَاتِ اللهِ التَّامَّةِ مِنْ شَرِّ مَا خَلَقَ তিনবার
৫. তারপর তিন কুল (সুরা ইখলাস, সুরা ফালাক, সুরা নাস) তিনবার
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْم
قُلْ هُوَ ٱللَّهُ أَحَدٌ * ٱللَّهُ ٱلصَّمَدُ* لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ * وَلَمْ يَكُن لَّهُۥ كُفُوًا أَحَدٌۢ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلنَّاسِ*مَلِكِ ٱلنَّاسِ*إِلَـٰهِ ٱلنَّاسِ*مِن شَرِّ ٱلْوَسْوَاسِ ٱلْخَنَّاسِ*ٱلَّذِى يُوَسْوِسُ فِى صُدُورِ ٱلنَّاسِ * مِنَ ٱلْجِنَّةِ وَٱلنَّاسِ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمٰنِ الرَّحِيْمِ
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ ٱلْفَلَقِ *مِن شَرِّ مَا خَلَقَ*وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ*وَمِن شَرِّ ٱلنَّفَّـٰثَـٰتِ فِى ٱلْعُقَدِ*وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
৬. তারপর فَاللَّهُ خَيْرٌ حَافِظًا وَهُوَ أَرْحَمُ الرَّاحِمِينَ তিনবার [সূরা ইউসূফ:64]
৭. তারপর إِنَّ اللَّهَ قَدْ أَحَاطَ بِكُلِّ شَيْءٍ عِلْمًا তিনবার [সূরা আত্ব-ত্বালাক্ব:12]
৮. তারপর দরুদ শরিফ যেমন : صَلَّى اللّٰهُ عَلَيٗهِ وَسَلَّم তিনবার
৯. তারপর উভয় হাতে দম করে সমস্ত শরীর মুছে দেবে। এতে ইন শাআল্লাহ রোগব্যাধি এবং শত্রু ও হিংসুকদের ক্ষতি থেকে নিরাপদ থাকবে।
বি দ্র : দোয়াগুলোর উচ্চারণ বাংলাতে দেওয়া হলো না। কারণ বাংলাতে উচ্চারণ করলে তা বিশুদ্ধ হবে না। এতে দোয়ার উপকার থেকে বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই বিশুদ্ধ উচ্চারণ পারে এমন কারো কাছ থেকে উচ্চারণ শিখে নেওয়া চাই ।
(সূত্র : ওযিফাতুস সালেকিন, মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা মাহমূদুল হাসান)
১০. আয়াতুল কুরসি, ১ বার —
اللّهُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ الْحَيُّ الْقَيُّومُ لاَ تَأْخُذُهُ سِنَةٌ وَلاَ نَوْمٌ لَّهُ مَا فِي السَّمَاوَاتِ وَمَا فِي الأَرْضِ مَن ذَا الَّذِي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إِلاَّ بِإِذْنِهِ يَعْلَمُ مَا بَيْنَ أَيْدِيهِمْ وَمَا خَلْفَهُمْ وَلاَ يُحِيطُونَ بِشَيْءٍ مِّنْ عِلْمِهِ إِلاَّ بِمَا شَاء وَسِعَ كُرْسِيُّهُ السَّمَاوَاتِ وَالأَرْضَ وَلاَ يَؤُودُهُ حِفْظُهُمَا وَهُوَ الْعَلِيُّ الْعَظِيم
اَللَّهُمَّ أَنْتَ رَبِّىْ لآ إِلهَ إلاَّ أَنْتَ خَلَقْتَنِىْ وَأَنَا عَبْدُكَ وَأَنَا عَلى عَهْدِكَ وَوَعْدِكَ مَا اسْتَطَعْتُ، أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّمَا صَنَعْتُ، أبُوْءُ لَكَ بِنِعْمَتِكَ عَلَىَّ وَأَبُوْءُ بِذَنْبِىْ فَاغْفِرْلِىْ، فَإِنَّهُ لاَيَغْفِرُ الذُّنُوْبَ إِلاَّ أَنْتَ
১১। তিন বার পড়বেন
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সন্ধ্যায় তিনবার বলবেন-
بِسْمِ اللَّهِ الَّذِى لاَ يَضُرُّ مَعَ اسْمِهِ شَىْءٌ فِى الأَرْضِ وَلاَ فِى السَّمَاءِ وَهُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ
সকাল হওয়া পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না। আর যে তা সকালে তিনবার বলবে সন্ধ্যা পর্যন্ত তার উপর হঠাৎ কোনো বিপদ আসবে না।’
(আবু দাউদ:৫০৯০,তিরমিজি: ৩৩৮৮,ইবনে মাজাহ:৩৮৬৯)