রাতের আমল
ঘুমানোর আগে আল্লাহর রাসূল ﷺ যা করতে বলেছেন:-
খাবার পাত্র, পানির পাত্র সবকিছুই উত্তমভাবে ঢেকে রাখা, পানির পাত্রের মুখ বন্ধ করে রাখা।
(তিরমিজি:১৮১২)
ঘুমাবার আগে ঘরের বাতি নিভিয়ে দেয়া এবং দরজা বন্ধ করা।
(আদাবুল মুফরাদ:১২৩৩)
বিছানা ঝেড়ে নেয়া।
(মিশকাত:২৩৮৪)
ওযূ করা।
(সহীহ তারগীব ৫৯৪, ৫৯৫)
কুরআনের আয়াত (দেখে হোক বা মুখস্থ হোক) তিলাওয়াত করা। রাসূলুল্লাহ ﷺ কিছু সূরা পড়তেন এবং উম্মতকেও পড়ার উৎসাহ দিয়েছেন; যেমনঃ সূরা সাজদাহ, সূরা মুলক। এছাড়াও প্রতিরাতে একশত আয়াত পড়ার ব্যাপারেও উৎসাহ দেয়া হয়েছে।
(মিশকাত:১২০১ ও ২১৫৫)
আয়াতুল কুরসি, সূরা বাকারার শেষ ২ আয়াত, সূরা কাফিরুন, সূরা ইখলাস, সূরা ফালাক্ব, সূরা নাস পড়া।
(বুখারি:২৩১১, ৪০০৮, ৫০১৭)
৩৩বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩বার আলহামদুলিল্লাহ, ৩৪বার আল্লাহু আকবার পড়া।
(বুখারী:৩৭০৫)
ডান কাত হয়ে শোয়া।
রাসূলুল্লাহ ﷺ যখন শয্যা গ্রহণ করতেন তখন ডান হাত ডান গালের নিচে রাখতেন এবং বলতেনঃ
رَبِّ قِنِي عَذَابَكَ يَوْمَ تَبْعَثُ عِبَادَكَ
“রাব্বি কিনী আযাবাকা ইয়াওমা তাব’আসু ইবা-দাক”
অর্থাৎ হে আমার প্রতিপালক! আপনি আমাকে বাঁচিয়ে দিন সে দিনের আযাব থেকে যেদিন আপনার বান্দাদের পুনরুথিত করা হবে।
(তিরমিজি:৩৩৯৮)
ঘুমানোর পূর্বে এই দোয়া পড়া-
اللَّهُمَّ بِاسْمِكَ أَمُوتُ وَأَحْيَا
“আল্লাহুম্মা বিসমিকা আমূতু ওয়া আহইয়া”
অর্থ্যাৎ হে আল্লাহ! তোমার নামেই মৃত্যুলাভ (নিদ্রা) করছি এবং তোমার নামেই জীবিত (জাগ্রত) হব।
(বুখারি:৬৩২৪)
ঘুম হতে জাগ্রত হয়ে এই দোয়া পাঠ-
الْحَمْدُ لِلَّهِ الَّذِي أَحْيَانًا بَعْدَمَا أَمَاتَنَا وَإِلَيْهِ النُّشُورُ
“আলহামদু লিল্লা-হিল্লাযী আহইয়ানা-বা’দা মা-আমা-তানা-ওয়া ইলায়হিন নুশূর”
অর্থ্যাৎ সকল প্রশংসা আল্লাহর! যিনি মৃত্যুর পর জীবন দিয়েছেন আর তাঁরই দিকে প্রত্যাবর্তন করতে হবে। (মুসলিমঃ৬৭৮০)
উপরিউক্ত আমলগুলো করলে শুধু সুন্নাহ অনুসরণ হবে তা নয়, বরং সোওয়াব তো হবেই পাশাপাশি বিভিন্ন অনিষ্ট থেকে আল্লাহ তা’য়ালা নিরাপদ রাখবেন। (বিভিন্ন অনিষ্ট মানে জ্বীনের আছর, বদনযর, তাবিজ সংক্রান্ত বিষয়াদি, আকস্মিক দুর্ঘটনা)
আল্লাহ আমল করার তাওফীক দিন।