রাজ্জাল ইবনে উনফুয়া

সাহাবীদের সাথে বসাবস্থায় রাসূলুল্লাহ ﷺ জানালেন যে, এখানে যারা আছেন, তাদের মধ্যে একজন জাহান্নামে যাবে!
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জাহান্নামের বর্ণনা দিয়ে বললেন, জাহান্নামে যাবার পর তার দাঁত হবে উহুদ পাহাড়ের মতো বড়ো!

সাহাবীরা বেশ আতঙ্কিত হলেন।

সাহাবীদের সবচেয়ে বড় গুণ হলো, এসব হাদীস শুনার পর তারা সবসময় নিজের ব্যাপারে ভাবতেন। তারা ভাবতেন, আমাকে যেন আল্লাহ হেফাজত করেন।

এমন না যে তারা খুঁজতেন, কে এমন হতে পারে?

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু সেদিন গুনে রাখেন ঐ বৈঠকে কারা কারা ছিলো।
তিনি দেখতে পেলেন সবাই ইন্তেকাল করেছে, শুধু জীবিত আছেন তিনি আর আরেকজন সাহাবী।
ঐ সাহাবী কুরআনের কিছু অংশ মুখস্থ করেন, নিয়মিত নামাজ পড়তেন, তাহাজ্জুদ পড়তেন।

আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহু বুঝতে পারলেন, তাদের দুজনের মধ্যে যেকোনো একজন ইসলাম ত্যাগ করবেন। তিনি নিজের ব্যাপারে অনেক বেশি সচেতন হলেন।

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইন্তেকাল করলে সেই আরেক সাহাবী, যিনি কিনা ইসলামের প্রতি খুব আন্তরিক ছিলেন, তিনি মুসাইলামা কাজ্জাবের আহ্বানে সাড়া দিয়ে ইসলাম ত্যাগ করেন!

এরকম একজন ‘আলেম সাহাবী‘ মুসাইলামার দলে যোগদান করলে অনেকেই অবাক হয়, মুসাইলামার দল আরো শক্তিশালী হয়।

একসময় যিনি ছিলেন সাহাবী, পরবর্তী যিনি ইসলাম ত্যাগ করেন, তাকে ইয়ামামার যুদ্ধে উমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর ভাই যায়িদ ইবনুল খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু হত্যা করেন।

তার নাম আর রাজ্জাল ইবনে উনফুয়া।

তারীখ আত-তাবারী: ৪/১০৬

লিখেছেন

আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

Exit mobile version