কুরবানী প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য

কুরবানি প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য: আপনাদের অনেক প্রশ্নের উত্তর চলে আসবে আশা করি।

কুরবানি ওয়াজিব (আবশ্যক) হওয়ার শর্ত

কুরবানি আদায় (সহিহ) হওয়ার শর্তসমূহ

কোন কোন অবস্থায় কুরবানি ওয়াজিব হবে?

উল্লেখ্য, এসব মাসয়ালার পক্ষে যথেষ্ট দলিল আছে। সেগুলো লিখলে পোস্ট বিশাল হয়ে যাবে। কারো আগ্রহ থাকলে বিজ্ঞ কোনো আলিম থেকে জেনে নিতে পারেন।1

কুরবানি ওয়াজিব হওয়ার জন্য কী পরিমাণ টাকা-পয়সা বা সম্পদ প্রয়োজন

জিলহজের ১০ তারিখ (অর্থাৎ, ঈদের দিন) সুবহে সাদিক (ফজর) থেকে জিলহজের ১২ তারিখ সূর্যাস্ত পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কোনও ব্যক্তি যদি তার বাসস্থান, ব্যবহারের দ্রব্য ইত্যাদি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র ব্যতীত সাড়ে সাত (৭.৫) ভরি স্বর্ণ অথবা সাড়ে বায়ান্ন (৫২.৫) ভরি রৌপ্য কিংবা সাড়ে বায়ান্ন ভরি রৌপ্যের সমমূল্যের সম্পদ বা সমপরিমাণ টাকার মালিক থাকে, তবে তার উপর কুরবানি ওয়াজিব।

বর্তমানে আলিমগণ সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপাকেই মূল স্ট্যান্ডার্ড ধরে হিসাব করেন।

অর্থাৎ, কারও কাছে থাকা স্বর্ণ, রৌপ্য ও টাকা সব মিলিয়ে যদি সাড়ে বায়ান্ন ভরি রুপার সমপরিমাণ মূল্য হয়, তবে তাকে কুরবানি দিতে হবে। আবার, কারও কাছে কোনো রুপা নেই, কিন্তু যে টাকা আছে, সেটি সাড়ে বায়ান্ন ভরির সমান, তাকেও কুরবানি দিতে হবে। আবার কারও কাছে যদি অতিরিক্ত টাকা বা রুপা না থাকে, কিন্তু সাড়ে সাত ভরি স্বর্ণ থাকে, তবে তাকেও কুরবানি দিতে হবে।

সোনা-রুপার অলঙ্কার, যে জমি বাৎসরিক খোরাকির জন্য প্রয়োজন হয় না, সে জমি এবং প্রয়োজনের অতিরিক্ত সবধরনের আসবাবপত্র এই হিসাবের মধ্যে শামিল হবে; এগুলোসহই হিসাব করতে হবে।2

কুরবানি সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কিছু মাসয়ালা

তথ্যসূত্র: মাসিক আল-কাউসার, মুফতি মেরাজ তাহসীন, মুফতি জিয়াউর রহমান ও ‘মাসায়েলে কুরবানি’ বই। দলিল আলেমদের থেকে জানুন। দালিলিক আলোচনা অনেক দীর্ঘ হয়ে যাবে।

কুরবানি করার আগেই কিছু বিষয় জেনে নিন

  1. তথ্যসূত্র: হানাফি মাযহাবের সুপ্রসিদ্ধ ফাতাওয়াগ্রন্থ ‘বাদায়িউস সনায়ি’সূত্রে ‘মাসায়েলে কুরবানি’ বই, যা বাংলাদেশের প্রখ্যাত মুফতি আবদুস সালাম চাঁটগামী হাফিযাহুল্লাহর তত্ত্বাবধানে সংকলিত ↩︎
  2. বাদায়িউস সনায়ি’: ৪/১৯৬; ফাতাওয়া তাতারখানিয়া: ১৭/৪০৫; আল মুহিতুল বুরহানি: ৮/৪৫৫ ↩︎
  3. ইমাম ইবনু আবিদিন, রাদ্দুল মুহতার: ৬/৩১৭ ↩︎
  4. ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৫৫৬৯; ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৪৯৯৭ ও ৪৯৯৮; ইমাম ইবনু কুদামা, আল-মুগনি: ১৩/৩৭৯ ↩︎
  5. ইমাম কাসানি, বাদায়িউস সনায়ি’: ৪/২২৫ ↩︎
  6. ইমাম ইবনু হাজার, ফাতহুল বারি: ১০/২১; ইমাম আইনি, উমদাতুল কারি: ২১/১৫৭; মাসিক আল কাউসার ↩︎
  7. ইমাম সারাখসি, আল-মাবসুত ↩︎
  8. ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ২৭৯৪; ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৫৫৬৫ ↩︎
  9. ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩১৭০; হাদিসটি সহিহ ↩︎
  10. ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৫৫৬৭ ↩︎
  11. ইমাম আইনি, শারহুল কানয: ২/২০৬; ইমাম ইবনুল হুমাম, ফাতহুল কাদির: ৮/৪৩৮ ↩︎
  12. ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৪৯৭৬; ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১৪৩৪৮ ↩︎
  13. ফাতাওয়া হিন্দিয়া: ৫/৩০০; আল-বাহরুর রায়িক: ৩/৭১ ↩︎

লিখেছেন

নুসুস টিম

কুরআন ও হাদিসের মূল পাঠকে নুসুস (text) বলা হয়। নুসুসের উপর ভিত্তি করেই আমরা লেখালেখি করি।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন
Exit mobile version