কোলের উপরে কুরআন রেখে আদবের সাথে পড়তে কোন আপত্তি নেই ইনশাআল্লাহ।
سئل الشيخ ابن عثيمين رحمه الله عن وضع المصحف على الحجر وهو يتلو القرآن، هل يتنافى مع الأدب؟
فأجاب : ” لا “
কুরআন তিলাওয়াত অবস্থায় মুসহাফ (কুরআন) কোলে রাখা সম্পর্কে আল্লামা মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল উসাইমিন রাহ. কে জিজ্ঞেস করা হয় যে, এটি কি আদবের খেলাপ?
জবাবে তিনি বলেছেন: “না।” (উৎস: ইসলামকিউএ ইনফো)।
মসজিদের ফ্লোরের উপর কুরআন রাখা যাবে কিনা বা ভুলে রাখলে পাপ হবে কি
কুরআন মাটি থেকে একটু উপরে রাখা উত্তম। যেমন: রেহাল, টেবিল, চেয়ার, তাক, আলমারি, দেয়াল, দেয়ালের ছিদ্র, অন্য সাধারণ বইয়ের উপর ইত্যাদি।
এটি কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শের জন্য অধিক উপযোগী।
তবে যদি দরকার বশত: ــــযদি কুরআনকে অপমান করার উদ্দেশ্যে না থাকেـــــপবিত্র মাটির উপর কুরআন রাখা হয় তাহলে ইনশাআল্লাহ গুনাহ নেই। যেমন: যদি উঁচু স্থানে রাখার কোন ব্যবস্থা না থাকে অথচ তিলাওয়াতে সেজাদা দিতে হবে। তাহলে এ অবস্থায় পবিত্র মাটির উপর রাখা জায়েয আছে। দরকার বশত: পবিত্র মাটির উপর রাখা নিষেধ এমন কোন হাদিস পাওয়া যায় না। তবে নি:সন্দেহে কুরআনের প্রতি সম্মান প্রদর্শনার্থে মাটি থেকে উঁচুতে রাখা অধিক উত্তম। আল্লাহু আলাম
(বিন বায রহ. এর ফতোয়ার সারমর্ম)
হেলান দিয়ে বা শুয়ে মোবাইল দেখে কুরআন পাঠ করা যাবে কি?
এতে কি সওয়াবের কিছু কমতি হবে?
দাঁড়িয়ে, বসে, শুয়ে বা হেলান দিয়ে কুরআন পড়তে কোন অসুবিধা নেই। এমনকি হাঁটতে হাঁটতে পড়লেও কোন অসুবিধা নেই। চাই তা মুসহাফ হাতে নিয়ে হোক, ল্যাপটপ কিংবা মোবাইল থেকে হোক।
সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, আয়েশা রা. বলেন, রাসূল সা. আমার কোলে হেলান দিয়ে (অর্থাৎ কোলে মাথা রেখে) কুরআন তিলাওয়াত করতেন। সে সময় আমি ঋতুবতী অবস্থায় ছিলাম।” (সহীহ বুখারী, অধ্যায়, হায়েয, অনুচ্ছেদ: ঋতুস্রাব চলাকালীন সময় স্ত্রীর কোলে হেলান দিয়ে কুরআন তিলাওয়াত করা)
পড়াটাই মূল কথা। কী দেখে পড়ছেন সেটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। সুতরাং মুসহাফ দেখে হোক, মোবাইল হোক বা ল্যাপটপ দেখে পড়া হোক তাতে সওয়াবের মধ্যে কমবেশি হবে না ইনশাআল্লাহ।
হাঁটতে হাঁটতে, রান্না করতে করতে বা সাংসারিক কাজের মধ্যে থেকেও মুখস্থ তিলাওয়াত করতে পারেন। এতেও ইনশাআল্লাহ সওয়াব পাবেন।
আল্লাহ তাওফিক দান করুন।