ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “এই দুয়ার অর্থ হচ্ছে, যেমন বসন্তকালে বৃষ্টির পানি দ্বারা জমীনের গাছ-পালা প্রাণ ফিরে পেয়ে সবুজ শ্যামল হয়ে উঠে, ঠিক তেমনিভাবে ক্বুরআন যেন দুয়াকারীর অন্তরে প্রাণ ফিরিয়ে আনে।”
হাদীসে বর্ণিত সুন্দর একটি দুআর অংশ বিশেষ
اللَّهُمَّ اجْعَلْ القُرْآنَ رَبِيْعَ قَلْبِي، وَنُوْرَ صَدْرِي، وَجَلاَءَ حُزْنِي، وَذَهَابَ هَمِّيْ
উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মাজআ’লাল ক্বুরআ-না রবীআ’ ক্বালবী, ওয়া নূরা ছদরী, ওয়া জালা-আ হুযনী, ওয়া যাহা-বা হাম্মী।
হে আল্লাহ! তুমি ক্বুরআনকে বানিয়ে দাও আমার হৃদয়ের বসন্ত, আমার বক্ষের নূর (জ্যোতি), আমার দুঃখের অপসারণকারী এবং দুঃশ্চিন্তার দূরকারী।
উৎসঃ মুসনাদে আহমাদঃ ১/৩৯১, নং-৩৭১,
শায়খ আলবানী রহি’মাহুল্লাহ তাঁর সিলসিলাতুল আহাদীসিস সহীহাহ গ্রন্থে ১/৩৩৭ একে সহীহ বলেছেন।
“ক্বুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত বানিয়ে দাও” কথাটির অর্থ কি?
ইমাম ইবনে তাইমিয়্যা রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “এই দুয়ার অর্থ হচ্ছে, যেমন বসন্তকালে বৃষ্টির পানি দ্বারা জমীনের গাছ-পালা প্রাণ ফিরে পেয়ে সবুজ শ্যামল হয়ে উঠে, ঠিক তেমনিভাবে ক্বুরআন যেন দুয়াকারীর অন্তরে প্রাণ ফিরিয়ে আনে।”
ইমাম আলী ক্বারী রহি’মাহুল্লাহ বলেন, “যেমন বসন্তকালে মৃত যমীনের মধ্য থেকে প্রাণের বিকাশের মাধ্যমে আল্লাহর দয়ার বহিঃপ্রকাশ ঘটে, তেমনিভাবে ক্বুরআন যেন দুয়াকারীর হৃদয়ের অন্ধকার ও কুফুরী দূর করে ঈমান ও ইলম আনয়নের মাধ্যমে আল্লাহর ক্বুদরতের বহিঃপ্রকাশ ঘটায়।”