আসুন প্রথমে ইতিহাস দিয়ে শুরু করি। হিব্রু বাইবেল তাওরাত, যা সমস্ত সম্পাদনার পরেও কিছুটা হলেও সংরক্ষিত, সেখানে সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে ‘আমরা’ (we) ব্যবহার করা হয়েছে, শুধুমাত্র আমাদের কুরআনেই নয়। আমি খ্রিস্টানদের কথা বলছি না, বলছি ইহুদীদের কথা। ইহুদীরা কি বিশ্বাস করে আল্লাহর পুত্র আছে?
না, তারা তা করে না। উযাইর আব্দুল্লাহ ইহুদীদের খুব ছোট একটি ভগ্নাংশ মাত্র, শুধুমাত্র ইহুদীদের আরব সম্প্রদায়। বেশির ভাগ ইহুদী বিশ্বাস করে না যে উযাইর আল্লাহর পুত্র। রাবাইদের সাথে আমার ওঠাবসা আছে, তাদের সাথে আমার কথা হয়। তাদের সাথে আমি ইব্রাহিম (আঃ) কে নিয়ে বিতর্ক করি।
ইহুদী পণ্ডিতদের বেশির ভাগই উযাইরকে আল্লাহর পুত্র মনে করে না। আরবদের খুব ছোট একটা অংশই শুধু উযাইরকে আল্লাহর পুত্র মনে করত। ইহুদীদের ঐতিহ্য কিন্তু আরব সম্প্রদায় থেকে অনেক বড়। এ ব্যাপারে আল্লাহ কিছু ইহুদীদের ইঙ্গিত করেছেন, সব ইহুদীদের নয়। খ্রিস্টানরা দাবি করে যে ঈশ্বরের পুত্র আছে। ইহুদীরা বলে, তাদের সৃষ্টিকর্তার কোন পুত্র নেই। কিন্তু ইহুদীদের কিতাবেও সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে ‘আমরা’ (we) ব্যবহৃত হয়েছে। আমি তাদের রাবাইকে জিজ্ঞেস করেছি, কেন তাদের কিতাবে সৃষ্টিকর্তার ক্ষেত্রে ‘আমরা’ (we) ব্যবহৃত হয়েছে। উত্তরে তিনি বলেছেন, অবশ্যই সৃষ্টিকর্তা রাজকীয়। তিনি তো প্রভু, তিনি রাজকীয়, রাজারা তো বহুবচনেই কথা বলেন।
শুধু যে রাজারাই বহুবচনে কথা বলেন তা না, এমনকি এখনকার রাষ্ট্রপতিরাও (president) বহুবচনে কথা বলেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতিও বহুবচনে কথা বলেন, যেমন – “আমাদের প্রশাসন এটা করেছে, ওটা করেছে….. ইত্যাদি, ইত্যাদি। আমরা নির্বাচনে জিতেছে, আমরা সক্ষম হয়েছি।” একজন রাষ্ট্রপতি কেন ‘আমরা’ (we) ব্যবহার করেন?
কারণ এখানে সমষ্টিগত ভাবে ‘আমরা’ (we) ব্যবহার করা হচ্ছে। এই বিষয়টি বুঝতে হলে, প্রথমত সর্বনামের প্রকারভেদ গুলো আমাদের বুঝতে হবে। এসব সর্বনামের মধ্যে রয়েছে উত্তম পুরুষ (first person) মধ্যম পুরুষ (second person) প্রথম/নাম পুরুষ। (third person) প্রথম পুরুষের মধ্যে আছে সে (পু:,স্ত্রী) এবং তারা।
মধ্যম পুরুষের্ তুমি, এবং উত্তম পুরুষে রয়েছে আমি এবং আমরা। আরবিতে মধ্যম পুরুষ আবার ছয় প্রকার। যেমন اَنْتَ (তুমি, পুংলিঙ্গ, একবচন) اَنْتُمَا (তোমরা দুজন,পুংলিঙ্গ, দ্বিবচন) اَنْتُمْ (তোমরা সবাই, পুংলিঙ্গ, বহুবচন,) اَنْتِ (তুমি, স্ত্রীলিঙ্গ, একবচন) اَنْتُمَا(তোমরা দুজন,স্ত্রীলিঙ্গ, দ্বিবচন ) اَنْتُنَّ (,তোমরা সবাই, স্ত্রীলিঙ্গ, বহুবচন)। আমরা ছয় প্রকারের মধ্যম পুরুষের পরিচয় পেলাম, আর আল্লাহ নিজের জন্য ব্যবহার করেছেন اَنْتَ – এক বচনে তুমি। আল্লাহ নিজের জন্য প্রথম/নাম পুরুষের ক্ষেত্রে কি ْهُم – তারা ব্যবহার করেছেন? না, তিনি কি মধ্যম পুরুষের ক্ষেত্রে ْاَنْتُم – তোমরা সবাই ব্যবহার করেছেন?
না, মধ্যম পুরুষ এবং প্রথম/নাম পুরুষের ক্ষেত্রে তিনি একবচন ব্যবহার করেছেন। শুধুমাত্র কোন ক্ষেত্রে তিনি বহুবচন ব্যবহার করেছেন? উত্তম পুরুষের ক্ষেত্রে, এখানেই কেবল তিনি اَنَا (আমি) এবং ُنَحْن (আমরা) ব্যবহার করেছেন। এর দ্বারা যদি সত্যিই বহুবচন বোঝানো হতো, তাহলে মধ্যম পুরুষ এবং প্রথম/নাম পুরুষের ক্ষেত্রও এর ব্যবহার আপনি দেখতে পেতেন। কিন্তু তাকি দেখেছেন?
না, আপনি তা কেবল উত্তম পুরুষের ( first person) ক্ষেত্রে পাবেন। এ থেকে বোঝা যায়, আক্ষরিক ভাবে তা বহুবচন নয়, যদি তাই হত, প্রত্যেক পুরুষের ক্ষেত্রে তা প্রযোজ্য হতো। এটা হচ্ছে উত্তরের প্রথম ধাপ।
দ্বিতীয়ত, কুরআনে আল্লাহ নিজের প্রসঙ্গে ُنَحْن (আমরা) ব্যবহার করেছেন। আসুন দেখি, আল্লাহ কুরআনে বচন কিভাবে ব্যবহার করেছেন। যখন আল্লাহ ফর্মাল এবং বিশেষ কোন গোত্র বা দল থেকে তিনি নিজেকে দূরত্ব রাখতে চান, তখন কোরআনে َهُو শব্দটির ব্যবহার দেখতে পাবেন।
কারণ প্রথম/নাম পুরুষ (third person) হচ্ছে সবচেয়ে দূরবর্তী সর্বনাম। আমরা যেমন বলি, “সে ঐখানে।” এটা হচ্ছে تَبْعِدْ, বালাগাতে তাবঈদ আছে। আল্লাহ যখন নিজেকে দূরে রাখতে চান, তখন তিনি َهُو (সে) ব্যবহার করেন। তিনি কখন اَنْتَ (তুমি, পুংলিঙ্গ, একবচন) ব্যবহার করেন? যখন আল্লাহর বান্দা আল্লাহর সাথে কথা বলে তখন اَنْتَ ব্যবহৃত হয়।
أَنتَ مَوْلَىٰنَا فَٱنصُرْنَا عَلَى ٱلْقَوْمِ ٱلْكَٰفِرِينَ
তুমিই আমাদের প্রভু। সুতরাং কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে আমাদের কে সাহায্যে কর। [ ২:২৮৬]
إِنَّكَ أَنتَ ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ
নিশ্চয় তুমি তওবা কবুলকারী, দয়ালু। [২:১২৮]
যখন আল্লাহর বান্দা আল্লাহর সাথে কথা বলে, তখন সে আল্লাহর নিকটবর্তী হয়। কাজেই সে আল্লাহকে তখন َهُو না বলে اَنْتَ বলে। আল্লাহ আমাদের কে সুযোগ দিচ্ছেন তাঁকে اَنْتَ বলে সম্বোধন করার। তাহলে বাকি রইলো কি? اَنَا (আমি) এবং ُنَحْن (আমরা)। প্রথমে বলছি اَنَا (আমি) প্রসঙ্গে। কারণ প্রশ্নটা হচ্ছে, আল্লাহ কেন নিজের ব্যাপারে সব সময় اَنَا ব্যবহার করেন না? ব্যাপারটা একটু বুঝিয়ে বলি। ধরুন এক দেশে ছিল এক রাজা বা রাষ্ট্রপতি। তিনি বলছেন, ” আমরা কিছু নীতিমালা তৈরি করেছি, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি……. ইত্যাদি, ইত্যাদি।”
তার বক্তৃতার মাঝে কেউ একজন কথা বলে উঠলো। তখন রাষ্ট্রপতি বললেন, “এক্সকিউজ মি, আমি এখন কথা বলছি।” তিনি কিন্তু বলেননি, “এক্সকিউজ মি, আমরা এখন কথা বলছি।” যদিও তার বক্তৃতার পুরো অংশ জুড়েই ছিল, আমরা আমরা, আমরা……. কিন্তু তিনি যখন রাগান্বিত হলেন, তখন কি বললেন?
আমি। এই একই রাষ্ট্রপতি আবারো বলছেন, “আমরা কিছু নীতিমালা তৈরি করেছি, আমরা এটা অনুমোদন করেছি, ওটা সরবরাহ করেছি……” এমন সময় তার শিশু সন্তানটি হেঁটে গেল। এখন তিনি বললেন,”এদিকে আসো, আমি তোমাকে ভালোবাসি।” তিনি তো সব কিছুতেই আমরা বলছিলেন, হঠাৎ কি হল?
তীব্র ভালোবাসা, ও তীব্র রাগের সময় আল্লাহ নিজের ব্যাপারে اَنَا (আমি) ব্যবহার করেন। খেয়াল করে দেখুন, কখন কোরআনে اَنَا ব্যবহৃত হয়।
أَنَا ٱلتَّوَّابُ ٱلرَّحِيمُ
আমি তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু। [২:১৬০]
ক্ষমাশীলতা আল্লাহর ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।
فَإِنِّىٓ أُعَذِّبُهُۥ عَذَابًا لَّآ أُعَذِّبُهُۥٓ أَحَدًا مِّنَ ٱلْعَٰلَمِينَ
তখন তাকে নিশ্চয়ই এমন শাস্তিতে শাস্তি দেবো যেমন শাস্তি আমি বিশ্বজগতের অপর কাউকেও দেবো না।’’ [৫:১১৫]
এ কিসের অভিব্যক্তি? রাগের, তাই না? আল্লাহ আজ্জাওয়াজাল যখন ইবলিশের সাথে কথা বলেন তখন তিনি বলেন, إِذْ أَمَرْتُكَ – ‘আমি তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি’, তিনি বলেন নি, ‘আমরা তোমাকে নির্দেশ দিয়েছি’, এখানেও আল্লাহর রাগ প্রকাশ পেয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা’লা সবসময় নিজের ব্যাপারে اَنَا ব্যবহার করেন না, খুব বিশেষ কোনো ব্যাপার, যেমন রোজার মাস – যখন আপনার দোয়া কবুল হয়
وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِى عَنِّى فَإِنِّى قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ ٱلدَّاعِ إِذَا دَعَانِ فَلْيَسْتَجِيبُوا۟ لِى وَلْيُؤْمِنُوا۟ بِى لَعَلَّهُمْ يَرْشُدُونَ
আর আমার বান্দারা যখন তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে আমার ব্যাপারে বস্তুতঃ আমি রয়েছি সন্নিকটে। যারা প্রার্থনা করে, তাদের প্রার্থনা কবুল করে নেই, যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে। কাজেই আমার হুকুম মান্য করা এবং আমার প্রতি নিঃসংশয়ে বিশ্বাস করা তাদের একান্ত কর্তব্য। যাতে তারা সৎপথে আসতে পারে। [২:১৮৬]
এখানে সব জায়গাতেই আল্লাহ এক বচন এবং উত্তম পুরুষ ব্যবহার করেছেন, কারণ রামাদান হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ উপহার ও ভালোবাসা।
তাহলে এখন বাকি রইলো কি?
যে সর্বনাম কি নিয়ে এত জিজ্ঞাসা, সেটা কি? نَحْن (আমরা)। এই সর্বনামটি তখনই ব্যবহৃত হয়, যখন আল্লাহ রাজার ভূমিকায় কথা বলেন অত্যন্ত মহিমান্বিত ভাবে। একজন রাজা যখন বৃহৎ কোন নীতিমালা প্রণয়ন করেন, যখন তিনি আপনাকে অনেক উপহার দিতে চান, তখন গৌরবান্বিত ভাবে তা প্রকাশ করেন। আল্লাহ তা’লা যখন মহিমান্বিত ভাবে কুরআন নাযিল হবার কথা বলেন, যা মানব জাতির জন্য এক বিশেষ উপহার, তখন পবিত্র কুরআনে আপনি ُنَحْن সর্বনাম টির ব্যবহার দেখবেন।
إِنَّا نَحْنُ نَزَّلْنَا ٱلذِّكْرَ وَإِنَّا لَهُۥ لَحَٰفِظُونَ
আমরা স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমরাই এর সংরক্ষক। [১৫:৯]
مَآ أَنزَلْنَا عَلَيْكَ ٱلْقُرْءَانَ لِتَشْقَىٰٓ
আমরা এজন্য তোমার কাছে কুরআন অবতারণ করি নি যে তুমি বিপন্ন বোধ করবে। [২০:২]
দেখুন, ٱلْقُرْءَانَ لِتَشْقَىٰٓ এর ক্ষেত্রে أَنزَلْنَا ব্যবহৃত হয়েছে, যখন কুরআন নাজিলের ব্যাপারে আল্লাহ তার মহিমা প্রকাশ করছেন। কিন্তু বানী ইসরাইলীদের প্রতি তিনি অত্যন্ত রাগান্বিত হয়েছিলেন, কারণ তাদের উচিত ছিল কুরআনকে মেনে নেওয়া। তাই তাদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন,
وَءَامِنُوا۟ بِمَآ أَنزَلْتُ مُصَدِّقًا لِّمَا مَعَكُمْ وَلَا تَكُونُوٓا۟ أَوَّلَ كَافِرٍۭ بِهِۦ
আর তোমরা সে গ্রন্থের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর, যা আমি অবতীর্ণ করেছি সত্যায়নকারী হিসেবে তোমাদের কাছে। [২:৪১]
আল্লাহ যখন খুব রাগান্বিত হন, তখনো তিনি اَنَا (আমি) সর্বনামটি ব্যবহার করেন, আর তাঁর মহিমা বোঝাতে ُنَحْن (আমরা) সর্বনাম টি ব্যবহার করেন।
كَانَ عَرْشُهُۥ عَلَى ٱلْمَآءِ
তাঁর আরশ ছিল পানির উপরে [১১:৭]
আল্লাহ ُنَحْن সর্বনামটি তখনই ব্যবহার করেন, যখন তিনি পানি প্রেরণ করেন। এ ভালোবাসা প্রসঙ্গে আলোচনা করব। “তিনি গাছ সৃষ্টি করেছেন, এটা করেছেন, ওটা করেছেন, এবং আমরা আসমান থেকে পানি প্রেরণ করেছি।” তিনি সর্বনাম পরিবর্তন করে বলেন আমরা, কারণ পানি আল্লার বিরাট নিয়ামত, এক বিশেষ মহিমান্বিত উপহার। কাজেই আমরা দেখতে পাচ্ছি, যখনই পানি প্রেরণের প্রসঙ্গ আসে, বেশির ভাগ সময় আল্লাহ তাঁর নিজের ব্যাপারে সর্বনাম পরিবর্তন করে ‘আমরা’ ব্যবহার করেন, তাঁর মহিমা বোঝানোর জন্য। কি অসাধারণ!
এখন আসছি প্রশ্নের শেষাংশে। আল্লাহর কিতাবের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো তাওহীদ বা একত্ববাদ।
لَيْسَ كَمِثْلِهِۦ شَىْءٌ
কিছুই তাঁর সদৃশ নয় [৪২:১১]
ٱللَّهُ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا هُوَ
আল্লাহ্ -- তিনি ছাড়া অন্য উপাস্য নেই [২:২৫৫]
اَلْوَاحِد ،اَلْاَحَد
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি। [১১২:৩]
এটাই ইসলামের একত্ববাদের ধারণা। তাহলে এ ধরনাকে তিনি কিভাবে অক্ষুণ্ণ রাখেন যখন তিনি ُنَحْن ব্যবহার করেন? এতকিছু ব্যাখ্যার পরও ُنَحْن সর্বনামটি বহুবচন, তাই না?
সমস্ত কোরআন জুড়ে যদি আপনি ُنَحْن এর ব্যবহার দেখেন, প্রত্যেক ক্ষেত্রে লক্ষ্য করুন, আল্লাহ যখনই নিশ্চিত হয়েছেন যে আপনি বুঝতে পেরেছেন আল্লাহ এক, ঠিক তার আগে বা পরে তিনি নিজে প্রসঙ্গে ُنَحْن ব্যবহার করেছেন।
إِنَّآ أَعْطَيْنَٰكَ ٱلْكَوْثَرَ
নিশ্চয়ই আমরা আপনাকে কাওসার দান করেছি। [১০৮:১]
পরবর্তী আয়াতে তিনি কি বলছেন?
فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَٱنْحَرْ
অতএব তোমার পালনকর্তার উদ্দেশ্যে নামায পড় এবং কোরবানী কর। [১০৮:২]
এখানে শুধু আল্লাহকে উপাসনা করার কথা বলা হয়েছে। দেখতে পাচ্ছেন সর্বনামটি পরিবর্তিত হয়েছে। যাতে আপনি কখনোই ভুলে না যান যে, আল্লাহ এক। প্রতি ক্ষেত্রেই তিনি তা করেন।
إِنَّآ أَنزَلْنَٰهُ فِى لَيْلَةِ ٱلْقَدْرِ
নিশ্চয়ই আমরা একে অবতীর্ণ করেছি লাইলাতুল কদ্বরে। [৯৭:১]
একটু পরেই তিনি আবার বলেন,
تَنَزَّلُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ وَٱلرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِم مِّن كُلِّ أَمْرٍ
সে রাতে ফেরেশতারা এবং রূহ (জিব্রাইল আ:) তাদের রবের অনুমতিক্রমে সকল সিদ্ধান্ত নিয়ে অবতরণ করে। [৯৭:৪]
তাদের রবের, একমাত্র রবের অনুমতিক্রমে, এবার পরিষ্কার তো?
পবিত্র কুরআনে সর্বনামের রূপান্তর এক অসাধারণ গবেষণার বিষয়।