পুরুষ কোথায় আটকায় নারী কোথায় আটকায়
এখনো কিছু লোক আটকা-আটকির ইস্যুতে আটকে আছে, যা অত্যন্ত দুঃখজনক! জ্ঞানী মানুষ ও বুদ্ধিমান মুমিন এমন অনর্থক কাজে ফেঁসে থাকতে পারে না। নারী হোক বা পুরুষ, যদি তাদের মধ্যে সবর শোকর ও তাকওয়া না থাকে, তখন কেউ তাদের আটকাতে পারবে না। এটাই এ বিষয়ে শেষ কথা।
কথা সেটা নয়।
কথা হলো আমরা সকলে ব্যক্তিগত ও জাতীয়ভাবে নানা সমস্যায় আটকে আছি। ছেলেরা মেয়েদের ফেতনায়, আর মেয়েরা ছেলেদের ফেতনায় আটকে আছে। কিশোর তরুণরা মোবাইল পর্ণ ও গেমিংয়ে আটকে আছে। অনেক বিবাহিত নারী-পুরুষ পরকীয়ায় আটকে আছে। আমাদের জাতি এক কঠিন গ্যাড়াকলে আটকে আছে এবং কঠিন সময় পার করছে! এ ভাবে নানাজন নানা সমস্যায় আটকে আছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো আমরা সকলেই কম ও বেশী নফসের জালে ও শয়তানের ফাঁদে আটকে আছি, যা আমারে জীবনের সবচেয়ে গুরুতর সমস্যা। শেখ সাদীর ভাষায় :
ع کہ ہستم اسیر کمند ہوا
‘আমি প্রবৃত্তির যিন্দানখানায় বন্দি’
তা নাহলে কোথাকার কার প্রেম ও বিচ্ছেদ নিয়ে আমরা অযথা ফেঁসে থাকবো কেন?
এসব জট কীভাবে খুলবে, এই আটকদশা থেকে আমরা কিভাবে মুক্তি পেতে পারি, আমাদের চিন্তা মনে হয় তা নিয়ে হওয়া উচিত। সেটাই আমাদের আলোচ্য বিষয় হওয়া বাঞ্চনীয়।
আসুন, আমরা সেটা নিয়ে ভাবি এবং ব্যক্তিগত ও জাতিয় মুক্তি অর্জনে সর্বাত্মক চেষ্টা করি এবং দুআ করি।
শেখ সাদী রহ. নফসের বন্দিখানা থেকে বের হওয়ার জন্য আল্লাহর কাছে মুনাজাত করেছিলেন। আমরাও সে মুনাজাত করতে পারি।
کریما ببخشاے بر حال ما : کہ ہستم اسیر کمند ہوا۔
نداریم غیر از تو فریادرس : توئی عاصیاں را خطا بخش وبس ۔
نگھدار ما را زراہ خطا: خطا در گذار وصوابم نما۔
হে মহানুভব মালিক, রহম করো মোরে এ দুর্দশায়,
বন্দি আমি নফসের কঠিন বন্দীখানায়!
তুমি বিনে নেই কেহ ফরিয়াদ শ্রবণকারী,
তুমিই তো অবাধ্যের পাপ মোচনকারী!
রক্ষা করো মোরে হে, ভ্রান্তপথ হতে,
ভুলগুলো ক্ষমা করে চালাও সোজা পথে!