পালিয়ে বিয়ে করা জায়েজ হবে কিনা, বিয়ে একটা এবাদত নেক আমল কাজ। পালিয়ে তো মানুষ চুরিদারি করে বা খারাপ কাজ করে মানুষ পালায়, পলাপলি তো ভালো কাজে হয় না। ভালো কাজে পলাপলি করার তো কোন যুক্তি নেই, অতএব বিয়ে পালিয়ে করা উচিত নয়।
যদি বলেন যে বাবা-মা সন্তুষ্ট না বা তারা সম্মত না এজন্য পালিয়ে বিয়ে করতে হচ্ছে, তাহলে উত্তর হলো যে বাবা-মাকে সম্মত করে বিয়ে করবেন, যতদিন পর্যন্ত সেটা সম্ভব হচ্ছে না ততদিন পর্যন্ত বিয়ে যাতে করতে না হয় নিজেদেরকে কন্ট্রোল করবেন, বিশেষ করে কারো সাথে হারাম রিলেশন হয়ে গেলে সেখান থেকে সরে আসবেন, তার সাথে রিলেশন ছিন্ন করে ফেলবেন, কোন প্রকার যোগাযোগ করবেন না, আল্লাহর জন্য দূরত্ব বজায় রেখে চলবেন, এটাই তো পরীক্ষার ব্যাপার এবং এটাই তো আপনার জান্নাতে যাওয়ার জন্য পূর্ব শর্ত।
এতটুকু যদি আপনি স্যাক্রিফাইস না করেন বা এতটুকু যদি আপনি নিজেকে কন্ট্রোল করতে না পারেন। তাহলে সেক্ষেত্রে আপনার এইভাবে পালিয়ে বিয়ে করা, এটা আপনার জন্য তো জায়েজ হবে না বরং আপনি আল্লাহর কাছে জান্নাতের আশা করাও কঠিন যে আপনি নিজে গুনাহে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছেন বাঁচাতে পারছেন না।
হানাফী ফিক অনুযায়ী ছেলে এবং মেয়ে উভয় যদি প্রাপ্তবয়স্ক হয় তাহলে সেক্ষেত্রে তারা উভয় যদি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিয়ে করে, জায়েজ হবে। কিন্তু বাবা-মার অবাধ্য হওয়া গুনাহের কথা সেটি আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
অতএব চরিত্র হেফাজতের জন্য বিয়ের কথা যদি বলেন তাহলে আমি বলব যে, পরস্পর যোগাযোগ রাখবেন না যাতে চরিত্র হেফাজত করা সহজ হয়, আর যদি বাবা-মা সময় বিয়ে দিচ্ছেন না তারা ঘড়িমশি করছেন শরীইয়ী কোন ওজর ছাড়া, অযৌক্তিক ওজরে বা বরং শরিয়া পরিপন্থী কজ দেখিয়ে তারা বিয়ের বিলম্ব করছেন।
এমত অবস্থায় আপনারা নিজেরা বিরুদ্ধে গিয়ে নিজেদের চরিত্র কে হেফাজত করলেন এটা অবশ্যই জায়েজ আছে। বিশেষ করে আপনাকে থট অনুযায়ী সেটি করতে পারেন।
কিন্তু নরমালি বিয়েকে প্রকাশ্যে করা এবং ঘোষণা দিয়ে করা, সামাজিকভাবে করার জন্য নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নির্দেশনা রয়েছে বিধায়, সেটা একাকি লুকিয়ে ছাপিয়ে করার চাইতে অবশ্যই প্রকাশ্যে করার জন্য যা যা করা দরকার সেই পথে হাঁটাটা শরীয় সিদ্ধ এবং সেটাই হলো সুন্নাহ।