আমি প্রতিদিন ফজরের সালাত পড়ার জন্য এলার্ম দিয়ে থাকি এবং আলহামদুলিল্লাহ নামাজও আদায় করতে পারি। কিন্তু যেহেতু গর্ভাবস্থায় অসুস্থতার কারণে ঘুমের ঔষধ খেতে হচ্ছে,রাতে ঘুম আসতে আসতে কখনো ১২:৩০ টা বা কখনো ১:০০টা বাজে। এখন সকালে ৫টায় উঠে নামাজ পড়ে হালকা একটু কুরআন পড়ে আবার ঘুমাতে ঘুমাতে প্রায় ১ ঘন্টা লেগে যায়,আর এই দিকে আবার ঘুম ভাঙ্গে সকাল ৯:৩০ টায়,আর এর পর থেকে মাথাটা প্রচুর ঘুরতে থাকে।পরিবারের সকলের কথা হচ্ছে, ঘুমের ঔষধ খাওয়ার পরও আমি পর্যাপ্ত ঘুমাচ্ছি না, আমার ঘুম কম হচ্ছে, ফজরের সালাতের জন্য যেনো এলার্ম না দেই, প্রয়োজনে সালাত কাজা পড়ে নিবো যদি ঘুম থেকে উঠতে না পারি।
যদি ইচ্ছাকৃত ভাবে এলার্ম না দিয়ে থাকি,আর ফজরের সালাতের জন্য উঠতে না পারি, তাহলে এতে কি আমি গুনাহগার হবো?
আল্লাহ আপনাকে সাহায্য করুন এবং সুস্থতা দান করুন। আমিন
لا باس طهور ان شاء الله
অতঃপর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ছিল, ইশার নামাজের পরে তিনি একান্ত জরুরি প্রয়োজন না হলে দুনিয়াবি কথাবার্তা বলতেন না বরং তাড়াতাড়ি ঘুমিয়ে যেতেন। আমাদের সকলের উচিত এই নিয়ম অনুসরণ করা। তাহলে ফজর নামাজ পড়তে মোটেও সমস্যা হওয়ার কথা নয়। কিন্তু দুর্ভাগ্য হলেও সত্য যে, বর্তমান যুগে মানুষ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে যাওয়ার কারণে নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
একথা স্বতঃসিদ্ধ যে, রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো স্বাস্থ্যের জন্য অত্যাধিক উপকারী। কিন্তু বর্তমান যুগে মানুষ কাজে-অকাজে বা নানা ব্যস্ততার অজুহাতে রাতে ঘুমাতে বিলম্ব করে ফেলে। যার ফলে শারীরিক, মানসিক, কর্মগত এবং ইবাদত-বন্দেগি সব ক্ষেত্রেই এর প্রভাব পরিলক্ষিত হয়।
কেউ রাত সাড়ে বারোটা বা একটার দিকে ঘুমালে ফজরের সালাতের জন্য ওঠা তার জন্য কষ্টসাধ্য হবে-এটা খুবই স্বাভাবিক বিশেষ করে শারীরিকভাবে অসুস্থ মানুষের জন্য তো বটেই।
যাহোক, আপনার এই অবস্থায় ইচ্ছাকৃতভাবে ফজর সালাত কাজা করা বৈধ হবে না। আপনাকে অবশ্যই যথাসময়ে উঠে সালাত আদায় করতে হবে। সালাত শেষ করে দ্রুতই আবার ঘুমিয়ে যেতে পারেন। ঘুম থেকে উঠে দিনের বেলায় সুবিধা জনক সময়ে যথাসম্ভব কুরআন তেলাওয়াত ও অন্যান্য নফল ইবাদত-বন্দেগি করতে পারেন।
আল্লাহ তৌফিক দান করুন।
আমিন।