নারীদের উপর যাকাত ফরজ তাদের উপর কি কোরবানি ওয়াজিব
যে সব নারীদের উপর যাকাত ফরজ তাদের উপর কি কুরবানী ওয়াজিব?
আর একই পরিবারে স্বামীর ও স্ত্রীর আলাদা আলাদা সম্পদ থাকলে কি আলাদা আলাদা কোরবানী ওয়াজীব হবে বা দিতে হবে?
যদি উক্ত মহিলার নিকট কোরবানির দিন গুলাতে নেসাব পরিমান সম্পদ থাকে তাহলে তার উপর কোরবানি করা ওয়াজিব।
আর নামায পড়া ওয়াজিব। বলুনতো, যৌথ পরিবারে প্রাপ্ত বয়স্ক একজন নামায পড়লেই কি বাকি প্রাপ্ত বয়স্ক সবার নামায হয়ে যাবে? বাকিদের আর পড়তে হবে না?
নিশ্চয় জবাবে বলবেন, না, হবে না। কারণ, নামায এটি ইবাদত। আর ইবাদত মূলত প্রতিটি ব্যক্তির ব্যক্তিগত বিষয়। একজনের আদায়ের দ্বারা অন্যের আদায় হয় না।
কুরবানীও একটি ইবাদত। এটি প্রতিটি নিসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক ব্যক্তির উপর আবশ্যক হয়। যা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির আদায় করা আবশ্যক। পরিবারের প্রতিটি সদস্য প্রাপ্ত বয়স্ক এবং নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হলে প্রতিজনের উপরই কুরবানী আবশ্যক। সেই সাথে প্রতিজনেরই কুরবানী করতে হবে। একজনের কুরবানী করার দ্বারা বাকিদের কুরবানী আদায় হবে না।
হ্যাঁ, এমন হতে পারে যে, যৌথ পরিবারের সদস্যদের মাঝে ৫ জনের উপর কুরবানী করা আবশ্যক। এখন এ ৫জন মিলে একটি কুরবানীর গরুতে অংশ নিল। তাতে বাহ্যিকভাবে গরু একটি হলেও যেহেতু প্রতিজনের ভাগেই অন্তত এক ভাগ পড়ছে, তাই সবার ওয়াজিব কুরবানী আদায় হয়ে যাবে।
কিংবা কুরবানীর পশু কিনল একজন। আর বাকিদের কাছ থেকে অনুমতি নিয়ে উক্ত কুরবানী বাকিদের পক্ষ থেকে কুরবানী করে দিলে, সবার কুরবানী আদায় হবে। বাকিদের জানিয়ে তাদের অনুমতিক্রমে তাদের পক্ষ থেকে কুরবানীর নিয়তে জবাই না করলে বাকিদের কুরবানী আদায় হবে না।
আশা করি মাসআলাটি পরিস্কার বুঝতে পেরেছেন ইনশাআল্লাহ।
أَلَّا تَزِرُ وَازِرَةٌ وِزْرَ أُخْرَىٰ
কিতাবে এই আছে যে,কোন ব্যক্তি কারও বোঝা নিজে বহন করবে না।
[সূরা নাজম-৩৮]