Writing

নামধাম

আলী ইবনে আবি তালিবের (রাদিআল্লাহু আনহু) মা ও স্ত্রী দুজনেরই একই নাম ছিলো। এটা খুব বিরল ঘটনা। তাঁর মায়ের নাম ছিলো ফাতিমা বিনতে আসাদ (রাদিআল্লাহু আনহা), স্ত্রীর নাম ফাতিমা বিনতে মুহাম্মদ (রাদিআল্লাহু আনহা)। এমনকি তাঁর একজন মেয়ের নামও ছিলো ফাতিমা (রাহিমাহাল্লাহ)!

ফাতিমাকে (রা:) বিয়ে করার জন্য অনেক বড়ো বড়ো সাহাবী প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন আবু বকর ও উমর (রাদিআল্লাহু আনহুমা)। কিন্তু, নবিজী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রিয় দুই সাহাবীর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে মেয়েকে বিয়ে দেন আলীর (রা:) সাথে।

ফাতিমা (রা:) যতোদিন জীবিত ছিলেন, আলী (রা:) দ্বিতীয় বিয়ে করেননি। ফাতিমার (রা:) ইন্তেকালের পর তিনি বিভিন্ন সময়ে আটটি বিয়ে করেন; ফাতিমা (রা:) সহ তাঁর নয়জন স্ত্রী ছিলেন। তাই বলে নয়জন স্ত্রী একসাথে ছিলেন না, একসাথে সর্বোচ্চ চারজন। নয়জন স্ত্রীর পাশাপাশি আলীর (রা:) কয়েকজন দাসী ছিলেন। তাদের মাধ্যমেও তিনি বাবা হোন।

হযরত আলীর (রা:) মোট ৩৩ জন সন্তান ছিলেন। ১৪ জন পুত্র সন্তান, ১৯ জন কন্যা সন্তান। মজার ব্যাপার হলো, তিনি তাঁর কয়েকজন সন্তানের নাম রাখেন সাহাবীদের নামে। যেমন: আবু বকর, উমর, উসমান, খাদিজা, উম্মু সালামাহ, উম্মে আইমান।

নবিজীর (সা:) সাহাবীদের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ অন্যতম সেরা জুটি হলো তালহা ও যুবাইর (রাদিআল্লাহু আনহুমা)। যেখানেই তালহার (রা:) নাম আসে, তাঁর সাথে কোনো না কোনোভাবে যুবাইরের (রা:) নাম থাকেই। দুজনই দুনিয়ার বুকে জান্নাতের সুসংবাদপ্রাপ্ত সাহাবী।

দুই বন্ধুই আটটি বিয়ে করেন। তালহার (রা:) সন্তান ছিলো ১৫ জন, যুবাইরের (রা:) ২০ জন।

তালহা (রা:) তাঁর ছেলেদের নাম রাখতেন নবীদের নামে। যেমন: জাকারিয়া, ইউসুফ।

অন্যদিকে যুবাইর (রা:) তাঁর ছেলেদের নাম রাখতেন শহীদদের নামে। যেমন: হামজা, জাফর, মুসআব।

দুজন তো বন্ধু মানুষ, রসিকতার সম্পর্ক ছিলো। যুবাইর (রা:) তালহাকে (রা:) খোঁচা মেরে বলতেন, “তুমি তোমার ছেলেদের নাম রেখেছো নবীদের নামে; কিন্তু তারা তো কেউ নবী হতে পারবে না। আর আমি আমার ছেলেদের নাম রেখেছি শহীদদের নামে। আল্লাহ চাইলে তারা শহীদ হবে।”

লিখেছেন

Picture of আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

Show More

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Islami Lecture