কিছু টাকা মুদি দোকানে বিনিয়োগ করেছি এর যাকাত দিতে হবে কি
আমি কিছু টাকা বিনিয়োগ করেছি কনফেকশনারি দোকানে। একটি ফ্রিজ, একটি কফি মেকার কিনেছি। বাকি টাকা দিয়ে অন্যান্য জিনিস কিনেছি। যেমন: মিনারেল ওয়াটার, কোল্ড ড্রিংকস, সাবান, বিস্কুট এবং আরও বিভিন্ন পণ্য। এর যাকাত কিভাবে দিব?
দোকান ও দোকানের আসবাব-সামগ্রী তথা ফ্রিজ, কফি মেকার ইত্যাদি যাকাতের হিসাবে গণ্য হবে না। এগুলোতে কোন যাকাত নেই। তবে ব্যবসার পণ্য বা মালামাল তথা কোল্ড ড্রিংকস, সাবান, বিস্কুট ইত্যাদির যাকাত দিতে হবে যদি সেগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য যাকাতের নিসাব পরিমাণ তথা সর্বনিম্ন ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ বা ৫৯৫ গ্রাম রৌপ্যের মূল্য সমপরিমাণ হয় এবং তার উপর এক বছর অতিবাহিত হয়।
দোকানের মালামালে যাকাত বের করার পদ্ধতি হল, বছর শেষে দোকান ভাড়া, বিদ্যুৎ বিল, শ্রমিকের মজুরী ও সংশ্লিষ্ট সকল খরচ বাদ দিতে হবে, কারো কাছে ঋণ নিয়ে থাকলে সেটাও বাদ দিতে হবে। তারপর দোকানে যে সকল মালামাল আছে সেগুলোর বর্তমান বাজার মূল্য, নগদ অর্থ (মূল ধন ও লাভ), অন্যের নিকট পাওনা টাকা ইত্যাদি হিসেব করে যদি যাকাতের নিসাব পরিমাণ (সর্বনিম্ন ৮৫ গ্রাম স্বর্ণ বা ৫৯৫ গ্রাম রৌপ্যের মূল্য সমপরিমাণ) হয় তাহলে সেখানে থেকে ২.৫% (শতকরা আড়াই টাকা) হারে যাকাত দিতে হবে।