ইসলামি শরিয়াহ অনুযায়ী মসজিদে দানকৃত অর্থ মসজিদের উন্নয়ন ছাড়া অন্য কোথাও দান বা ব্যয় করা যাবে না। এটা নাজায়েজ।
বিশ্ববিখ্যাত ফতোয়া বিভাগ-দারুল উলূম দেওবন্দকে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল যে মসজিদের তহবিল থেকে অর্থ অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে কিনা- জবাবে তারা বলেছিল-
মসজিদ ফান্ডের অর্থ মুতাওয়াল্লী ও কমিটি মসজিদের প্রয়োজন ও উন্নয়নে ব্যবহার করতে হবে।
মসজিদের তহবিলের টাকা থেকে অভাবী, ঋণগ্রস্ত বা অসুস্থ ব্যক্তিকে দান করা জায়েয হবে না।
হ্যাঁ তবে- মসজিদের ফান্ডে যদি মসজিদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি টাকা থাকে এবং অদূর ভবিষ্যতে মসজিদের প্রয়োজনে অর্থের প্রয়োজন না হয় তবে স্থানীয় আলিমদের এবং সৎ মুরুব্বিগনের সাথে পরামর্শ করে অন্য গরীব মসজিদে ব্যয় করা যেতে পারে। অর্থাৎ মসজিদের উদ্বৃত্ত অর্থ অন্য অভাবী মসজিদে ব্যয় করতে হবে। (দারুল উলুম দেওবন্দ ওয়েবসাইট ফতোয়া নং 604239)
তাই কিশোরগঞ্জ পাগলা মসজিদের টাকা বা অন্য কোন মসজিদের অর্থ দেশের দরিদ্র এলাকার মসজিদে ব্যয় করা যেতে পারে। আমাদের দেশে শত শত মসজিদ পাওয়া যাবে যেগুলো টিনের তৈরি- বৃষ্টি হলে পানি পড়ে। এই অর্থ ওই মসজিদগুলো পুনর্নির্মাণে ব্যবহার করা যেতে পারে।
অন্য কোন উদ্দেশ্যে ব্যয় বৈধ হবে না। সরকার হোক বা মসজিদ কমিটি করুক।