মসজিদ ও ঈদগাহে মহিলাদের জামাআতে অংশগ্রহণ

নারী ও পুরুষ মানব সমাজের দু’টি অপরিহার্য অঙ্গ। কোনোটিকে বাদ দিয়ে মানবসমাজ গঠিত হতে পারে না। উভয় অঙ্গ একে অপরের সহযোগী ও পরিপূরক। এক আত্মা থেকেই উভয়ের সূচনা ও সৃষ্টি এবং উভয়ের সৃষ্টির উদ্দেশ্য এক ও অভিন্ন। যেমন আল্লাহ তা’আলা ইরশাদ করেন-

وَمَا خَلَقْتُ الْجِنَّ وَالْإِنسَ إِلَّا لِيَعْبُدُونِ
"শুধু আমার ইবাদত করার জন্য আমি মানব ও জিন জাতি সৃষ্টি করেছি।"1

মানবসমাজ নারী-পুরুষ উভয় দ্বারা গঠিত। সুতরাং এ আয়াত দ্বারা একথা সুস্পষ্টভাবে প্রতীয়মান হয় যে, নারী-পুরুষ উভয়কে শুধুমাত্র তাঁর ইবাদতের জন্য সৃষ্টি করা হয়েছে। আর ইবাদতের মধ্যে নামায হলো অন্যতম ইবাদত। তা পুরুষদের জন্য মসজিদে গিয়ে জামা’আতের সাথে আদায় করতে হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে হুকুমটির মধ্যে কিছুটা পার্থক্য রয়েছে। তাই মহিলাদের নিজ এলাকার মসজিদ কিংবা ঈদগাহের জামা’আতে উপস্থিত হয়ে নামায পড়ার ব্যাপারে শরী’আতের বিধান সম্পর্কে এখানে বিশেষভাবে আলোচনা করা হবে। ইন্‌শাআল্লাহ।

পুরুষদের জন্য জামা’আতে উপস্থিত হওয়া শরী’আতের একটি গুরুত্বপূর্ণ হুকুম। রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ পুরুষদের জামা’আতে উপস্থিত হওয়ার ব্যাপারে খুবই তাকীদ দিয়েছেন। কখনো জামা’আতে উপস্থিত হওয়ার সরাসরি নির্দেশ দিয়েছেন, কখনো জামা’আতে অনুপস্থিতির ব্যাপারে বিভিন্ন ধমকি দিয়েছেন। অনেক হাদীসে তা বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে তা থেকে কিছু হাদীস উল্লেখ করা হলো-

হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বর্ণনা করেন-

أن رسول الله ﷺ قال: والذي نفسي بيده لقد هممت أن أمر بحطب فيحطب، ثم أمر بالصلاة فيؤذن
لها، ثم أمر رجلا فيوم الناس، ثم أخالف إلى رجال فأحرق عليهم بيوتهم.
“রাসূল বলেন, ঐ সত্তার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, আমার ইচ্ছে হয় যে কাউকে লাকড়ি জমা করার নির্দেশ দেই এবং তা জমা করা হবে। অতঃপর নামাযের জন্য আযান দেয়ার আদেশ করি। এরপর কাউকে ইমাম বানিয়ে নামায পড়ানোর হুকুম করি। আর আমি যারা জামা’আতে উপস্থিত হয়নি তাদের নিকট গিয়ে লাকড়ি দ্বারা তাদেরকে তাদের ঘর বাড়িসহ জ্বালিয়ে দেই।”2

হাদীস থেকে বোঝা যায়, পুরুষদের জন্য জামা’আতে উপস্থিত হওয়া আবশ্যক। পক্ষান্তরে মহিলাদের ক্ষেত্রে রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ পাঁচ ওয়াক্তে মসজিদের জামা’আতে উপস্থিত হওয়ার সরাসরি নির্দেশ দেননি। বরং তাদেরকে ঘরে নামায পড়ার প্রতি উৎসাহ দিয়েছেন। যেমন হযরত উম্মে হুমাইদ (রা.) থেকে বর্ণিত-

أنها جائت إلى النبي ﷺ فقالت: يا رسول الله ! إني أحب الصلاة معك فقال: قد علمت أنك تحبين الصلاة معي، وصلاتك في بيتك خير من صلاتك في حجرتك، وصلاتك في حجرتك خير من صلاتك في دارك وصلاتك في دارك خير من صلاتك في مسجد قومك وصلاتك، في مسجد قومك خير من صلاتك في مسجدي، قال: فأمرت فبني المسجد في أقصى شيء 3من بيتها وأظلمها وكانت تصلي فيه، حتى لقي الله عز وجل ..

“তিনি রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ এর দরবারে এসে বললেন, হে আল্লাহর রাসূল, আমি আপনার সাথে জামা’আতে নামায পড়তে পছন্দ করি। রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ বলেন, আমি জানি তুমি আমার সাথে নামায পড়তে পছন্দ কর। কিন্তু তোমার কামরায় নামায পড়া বারান্দায় নামায পড়া থেকে উত্তম। বারান্দায় নামায পড়া আঙ্গিনায় পড়ার চেয়ে উত্তম। আঙ্গিনায় নামায পড়া এলাকার মসজিদে পড়া থেকে উত্তম। এলাকার মসজিদে নামায পড়া আমার মসজিদে নামায পড়া থেকে উত্তম। বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তার নির্দেশে ঘরের সর্বাধিক গোপন অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রকোষ্ঠে একটি মসজিদ নির্মাণ করা হয়। আর তিনি মৃত্যু পর্যন্ত সেখানেই নামায আদায় করেছেন।”4

ইমাম ইবনে খুযাইমা রাহ.5‘ তাঁর ‘আস সহীহ’ গ্রন্থে “মহিলাদের ঘরে নামায পড়া উত্তম” অধ্যায়ে এ হাদীসটি বর্ণনা করেছেন, যা দ্বারা বোঝা যায়, ইবনে খুযায়মার নিকটেও মহিলাদের ঘরে নামায পড়াই উত্তম। হযরত ইবনে ওমর রাযি. বর্ণনা করেন-

لا تمنعوا نساءكم المساجد وبيوتهن خير لهن.
“তোমরা তোমাদের স্ত্রীদেরকে মসজিদে যাওয়া থেকে বাধা দিয়ো না। আর ঘরে নামায পড়া তাদের জন্য উত্তম।”6

উক্ত হাদীসদ্বয় দ্বারা, প্রয়াণিত হয় যে, মহিলাদের জন্য তাদের ঘরের সর্বাধিক সংকীর্ণ ও অন্ধকারাচ্ছন্ন প্রকোষ্ঠে নামায আদায় করা মসজিদে নববীতে রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ এর পিছনে জামা’আতের সাথে নামায আদায় করার চেয়ে বহুগুণ উত্তম। তাদের বাড়িতে নামায আদায় করার গুরুত্ব প্রমাণের জন্য এ হাদীসটিই যথেষ্ট। কারণ মসজিদে নববীতে এক ওয়াক্ত নামায আদায় করা (মসজিদে হারাম ব্যতীত) অন্যান্য মসজিদে ৫০,০০০ ওয়াক্ত নামায আদায় করার সমতুল্য হওয়ার কথা রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ নিজেই ঘোষণা করেছেন। তা সত্ত্বেও মহিলাদের ঘরে নামায পড়াকে উত্তম বলেছেন।

তাছাড়া ঘরে মহিলাদের নিরাপত্তা সংযম যেভাবে নিশ্চিত করা যায় তা বাহিরে নিশ্চিত করা সম্ভব নয়। পরবর্তী যামানায় ফেতনা বেড়ে যাওয়ায় মহিলাদের নিরাপদে মসজিদে আসা আরো কঠিন হয়ে পড়ে। তাই অনেক সাহাবীই পরবর্তী সময়ে মহিলাদের মসজিদে নামায আদায় করতে বারণ করেছেন।

হযরত আয়েশা রাযি. বর্ণনা করেন-
لو أدرك رسول الله ﷺ ما أحدث النساء لمنعهن كما منعت نساء بني إسرائيل .
“যদি রাসূলুল্লাহ মহিলাদের পরবর্তীতে আবিষ্কৃত বিষয়গুলি দেখতেন, তাহলে তাদেরকে মসজিদে উপস্থিত হতে নিষেধ করতেন। যেমনটি বনী ইসরাঈলের মহিলাদেরকে নিষেধ করা হয়েছে।”7

বনী ইসরাঈলের মহিলারা কী করেছিলো তার বিবরণ হযরত আয়েশা রাযি. বর্ণনা করেন-

كان نساء بني إسرائيل يتخذن أرجلا من خشب يتشرفن للرجال في المساجد، فحرم الله عليهن المساجد، وسلطت عليهن 8الحيضة
“বনী ইসরাঈলের মহিলারা কাঠের পা তৈরী করে যেগুলোতে চড়ে মসজিদে পুরুষদের দিকে উঁকি মেরে দেখত। ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের জন্য মসজিদে আসাকে হারাম করে দেন এবং তাদের উপর হায়েয চাপিয়ে দেন (পূর্বের তুলনায় বাড়িয়ে দেন)। “9

হযরত ইবনে মাসউদ রাযি. ১১ বর্ণনা করেন-

كان الرجال والنساء في بني إسرائيل يصلون جميعا ، فكانت المرأة لها الخليل ، تلبس القالبين تطول بهما لخليلها ، فألقي عليهن الحيض، فكان ابن مسعود يقول : أخروهن حيث أخرهن الله فقلنا لأبي بكر : ما القالبين ؟ قال : رفيصين من خشب 10دد

“বনী ইসরাঈলে পুরুষ মহিলা এক সাথে (মসজিদে) নামায আদায় করত। অতঃপর (তাদের মাঝে এ ফেতনা দেখা দিলো যে) কোনো মহিলার অন্তরঙ্গ পুরুষ বন্ধু থাকত, সে তার বন্ধুর জন্য উঁচু পাদুকা পরিধান করে লম্বা হতো (যাতে বন্ধু তাকে চিনে নিতে পারে) ফলে আল্লাহ তা’আলা তাদের উপর ঋতুস্রাব চাপিয়ে দিয়েছেন। এ কারণেই ইবনে মাসউদ রাযি. বলতেন, তাদেরকে পিছিয়ে দাও যেমন আল্লাহ তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছেন। আমরা আবু বকর রাযি.কে জিজ্ঞাসা করলাম, কালেবাইন কী? তিনি বলেন, কাঠের উঁচু পাদুকা। “11

উক্ত হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে আসার কারণে ফেতনার আশঙ্কা থাকায় সাহাবাগণও ঘরে নামায পড়ার প্রতি তাকীদ দিয়েছেন। যেমন আবু আমর শাইবানী রাযি. থেকে বর্ণিত-

أنه رأى عبد الله يخرج النساء من المسجد يوم الجمعة ويقول: اخرجن إلى بيوتكن خير لكن قد
“তিনি ইবনে মাসউদ রাযি.কে জুম’আর দিনে মহিলাদেরকে মসজিদ থেকে এ কথা বলে বের করে দিতে দেখেছেন, তোমরা ঘরে ফিরে যাও, এটাই তোমাদের জন্য উত্তম হবে। “12

হযরত ইবনে মাসউদ রাযি. এর আমল আরো বর্ণিত হয়েছে-

كان ابن مسعود الله يحصب النساء يخرجهن من المسجد يوم الجمعة
“ইবনে মাসউদ রাযি. জুম’আর দিন মহিলাদেরকে কংকর নিক্ষেপ করতেন এবং তাদেরকে মসজিদ থেকে বের করে দিতেন। “13

এছাড়া আরো অনেক দলীল রয়েছে, যেগুলোর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, সাহাবা রাযি. মহিলাদেরকে ঈদগাহসহ সব ধরনের জামা’আতে অংশগ্রহণ করাকে অপছন্দ করতেন।

এখানে আরেকটি বিষয় লক্ষণীয় যে, কিছু হাদীস দ্বারা মহিলাদের মসজিদে জামা’আতে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি বুঝা যায়। কিন্তু সেখানেও লক্ষণীয় যে, রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ মহিলাদেরকে সম্বোধন করে জামা’আতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেননি। বরং পুরুষদেরকে বলেছেন, যদি মহিলারা উপস্থিত হওয়ার অনুমতি চায়, তাহলে তোমরা তাদেরকে বাধা দিয়ো না।

যেমন আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাযি. বলেন-
سمعت رسول الله ﷺ يقول لا تمنعوا نسالكم المساجد اذا استأذنكم اليها.
“আমি রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ-কে বলতে শুনেছি যে, যখন তোমাদের স্ত্রীগণ মসজিদে যাওয়ার অনুমতি চায়, তখন তোমরা তাদেরকে বাধা দিয়ো না। “14

কিছু হাদীসে অনুমতি চাওয়ার বিষয়টি উল্লেখিত না হলেও উক্ত হাদীস দ্বারা ঐ হাদীসগুলোর ব্যাখ্যা করা হবে।

মোটকথা, জামা’আতে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ে পুরুষ ও মহিলা এক নয়। একদিকে পুরুষদেরকে মসজিদে নামায পড়ার জোর তাকীদ দেয়া হয়েছে, অন্যদিকে মহিলাদেরকে ঘরে নামায পড়ার উৎসাহ দেয়া হয়েছে। যেহেতু মহিলারা প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ন্ত্রিত জাতি যাদের সংযমিত চলা-ফেরা নিজেদের জন্য নিরাপদ, পুরুষদের জন্যও শৃঙ্খলার কারণ। কারণে একাধিক হাদীসে রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ মহিলাদেরকে চলা-ফেরার ক্ষেত্রে সংযমী হওয়ার তাকীদ দিয়েছেন। এমনকি তারা ঘরের বাইরে এলে বিভিন্ন ফেতনা হওয়ার আশঙ্কারও ইঙ্গিত করেছেন। তাই মহিলাদের ঘরে ইবাদত করা নিরাপদ ও উত্তম। যেমন ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন-

إنما النساء عورة، وإن المرأة لتخرج من بيتها، وما بها من بأس، فيستشرفها الشيطان، فيقول: إنك لا تمرين بأحد إلا أعجبته، وإن المرأة لتلبس ثيابها فيقال: أين تريدين؟ فتقول: أعود مريضا أو أشهد جنازة، أو أصلي في مسجد، وما عبدت امرأة ربها بمثل أن تعبده في بيتها

“নিশ্চয় নারী জাতি আবরণীয়। আর যদি মহিলারা শরী’আত পরিপন্থী কোনো উপায়-উপকরণ অবলম্বন না করে (অর্থাৎ সুগন্ধি, সাজ-সজ্জা ইত্যাদি) স্বীয় ঘর থেকে বের হয় তবুও শয়তান তার দিকে চোখ তুলে তাকায় এবং তাকে লক্ষ্য করে বলতে থাকে, নিশ্চয় তুমি যার পাশ দিয়ে অতিক্রম কর না কেন সে তোমাকে পছন্দ করবে। আর কোনো মহিলা যখন (বাড়ি থেকে বের হওয়ার জন্য) পোষাক পরিধান করে তখন তাকে কেউ জিজ্ঞাসা করলো যে, তুমি কোথায় যাচ্ছ? সে বলে, আমি অসুস্থ ব্যক্তির সেবা-শুশ্রুষার জন্য যাচ্ছি। অথবা বলে, জানাযার নামাযে শরীক হতে যাচ্ছি। কিংবা বলে, কোনো মসজিদে নামায পড়তে যাচ্ছি (অর্থাৎ সে বিভিন্ন প্রকার নেক কাজের উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হয়) অথচ মহিলারা ঘরের প্রকোষ্ঠে অবস্থান করে যেরূপ আপন প্রভুর ইবাদত করতে পারে তদ্রূপ উত্তম ইবাদত আর কোনো স্থানে করতে পারে না। “15

কয়েকটি হাদীসে মহিলাদের ঈদের জামাতে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ রয়েছে। কিন্তু ঈদের নামাযে উপস্থিত হওয়ার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তা অনেকটাই নামায শিক্ষা, দ্বীনী আলোচনা ও দু’আয় শরিক হওয়ার জন্য। এ কারণেই হায়েযা মহিলা যার উপর নামায ওয়াজিব নয় তাকেও ঈদগাহে উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

উল্লিখিত আলোচনা থেকে স্পষ্ট হয় যে, মহিলাদের মসজিদে উপস্থিত হওয়া আবশ্যকীয় নয়। এ বিষয়ে প্রসিদ্ধ চার ইমামের দ্বিমত নেই। তবে তাঁরা এ বিষয়েও একমত যে, মহিলাদের ঘরে নামায পড়া উত্তম। হ্যাঁ, যদি এরপরও কোনো মহিলা মসজিদে আসতে চায়, তাহলে আসতে পারবে কী না এক্ষেত্রে ইমামদের মাঝে কিছুটা দ্বিমত রয়েছে, যার সারসংক্ষেপ নিম্নে আলোচনা করা হলো-

ইমামগণের বক্তব্য

হানাফী মাযহাব: ইমাম আলী আল মারগীনানী রাহ. বলেন-

ويكره لهن حضور الجماعات يعنى الشواب منهن لما فيه من خوف الفتنة. ولا بأس للعجوز أن تخرج في الفجر والمغرب والعشاء، وهذا عند أبي حنيفة رحمه الله تعالى.
وقالا: يخرجن في الصلوات كلها، لأنه لا فتنة لقلة الرغبة فلا يكره. كما في العيد، وله أن فرط الشيق حامل، فتقع الفتنة غير أن الفساق انتشارهم في الظهر والعصر الجمعة، أما في الفجر والعشاء هم نائمون، وفي المغرب بالطعام مشغولون والجبانة متسعة فيمكنها الاعتزال عن الرجال فلا يكره

“হানাফী মাযহাবের সকল ইমামগণের মতে যুবতিদের জামা’আতে উপস্থিত হওয়া মাকরূহে তাহরীমী ফেতনার আশংকা থাকার কারণে। আর বৃদ্ধাদের ব্যাপারে মতবিরোধ রয়েছে। ইমাম আবু হানিফা রাহ. বৃদ্ধাদের ফজর, মাগরিব ও ইশার জামা’আতে হাজির হওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। আর ইমাম আবু ইউসুফ ও মুহাম্মদ রাহ, সকল নামাজের ক্ষেত্রে অনুমতি দিয়েছেন। তবে বৃদ্ধাদেরকে সকলেই ঈদগাহে আসার অনুমতি প্রদান করেছেন ফেতনার আশংকা না থাকার কারণে।”16

কিন্তু বর্তমানে ফেতনা, বেঁড়ে যাওয়ায় ফুকাহায়ে কেরাম ব্যাপকভাবে নিষেধ করে থাকেন।

যেমন ইমাম ইবনুল হুমাম রাহ. বলেন-

عمم المتأخرون المنع للعجائز والشواب في الصلوات كلها لغلبة الفساد في سائر الأوقات
“পরবর্তী মাশায়েখগণ নিষেধটি ব্যাপক করে দিয়েছেন বৃদ্ধা ও যুবতিদের জন্য সকল নামাযের ক্ষেত্রে সর্বদা ফাসাদের আধিক্যের কারণে।17

ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে উল্লেখ আছে-
والفتوى اليوم على الكراهة في كل الصلوات، لظهور الفساد، كذا في الكافي وهو المختار كلا في التبيين
“বর্তমানে ফাতওয়া হলো, (মহিলাদের জামা’আতে শরীক হওয়া ব্যাপারে সকল নামাযের ক্ষেত্রেই তা মাকরুহ, ফেতনা-ফাসাদ প্রকাশ পাওয়ার কারণে। আর এটাই গ্রহণযোগ্য মত।18

মালেকী মাযহাব

মালেকী মাযহাব: মহিলাদের জামা’আতের উদ্দেশ্যে ঈদগাহে কিংবা মসজিদে আসার ব্যাপারে মালেকী মাযহাবের প্রসিদ্ধ কিতাব আশ শারহুল কাবীর গ্রন্থে ইমাম মালেক রাহ. এর মতামত এভাবে উল্লেখ করা হয়েছে-

وجاز خروج متجالة لا إرب للرجال فيها غالبا لعيد و استسقاء، فالفرض أولى، وجاز خروج شابة الصلاة الجماعة بشرط عدم الطيب والزينة، وأن لا تكون مخشية الفتنة…. وإلا حرم، قال الدسوقي: قوله: جاز خروج متجالة أي جوازا مرجوعا بمعنى أنه خلاف الأولى. وقوله: شابة أي غير فارهة في الشباب . والنجابة، وأما الفارهة فلا تخرج أصلا. وقوله: لصلاة الجماعة أي غير الجمعة والعيد والاستسقاء لأنها مظنة الازدحام.

“এমন বৃদ্ধা যার প্রতি পুরুষদের জৈবিক চাহিদা অবশিষ্ট নেই তার জন্য ঈদ ও ইসতেসকার নামাযে উপস্থিত হওয়া বৈধ। সুতরাং ফরয নামাযের জামা’আতে উপস্থিত হওয়া তো তার জন্য আরো সাধারণ বিষয়। যুবতী মেয়ের জন্য জামা’আতে শরিক হওয়ার উদ্দেশ্যে মসজিদে যাওয়া কিছু শর্ত সাপেক্ষে বৈধ। যেমন, কোনো ধরনের সুগন্ধি ও সাজ-সজ্জা গ্রহণ করতে পারবে না। তার উপর ফেতনার আশঙ্কা থাকতে পারবে না ইত্যাদি। উপরোক্ত শর্তগুলো পাওয়া না গেলে তাদের জন্য মসজিদে গমন করা হারাম। ইমাম দুসুকী রাহ. বলেন, বৃদ্ধাদের জন্য মসজিদ ও ঈদগাহে যাওয়া বৈধ হলেও তা অনুত্তম। আর যুবতী মেয়ে বলতে যে মেয়ে সুন্দর ও সম্ভ্রান্ত নয়। কেননা রূপবতী সম্ভ্রান্ত যুবতীর জন্য কোনো জামা’আতে উপস্থিত হওয়া জায়েয নেই। আর জামা’আত জুমু’আ, ঈদ ও ইসতেসকা ব্যতীত পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জামা’আত উদ্দেশ্যে। কেননা তাতে (ঈদ, জুম’আ ও ইসতেসকা) ভিড় থাকার সম্ভাবনা বেশি। “19

শাফে’য়ী মাযহাব

শাফে’য়ী মাযহাব: শাফে’য়ী মাযহাবের প্রসিদ্ধ ফকীহ ও মুহাদ্দিস ইমাম নববী রাহ.20 বলেন-
وإن أرادت المرأة حضور المسجد للصلاة قال أصحابنا: إن كانت شابة أو كبيرة تشتهي كره لها وكره
لزوجها ووليها تمكينها منه ، وإن كانت عجوزا لا تشتهي لم يكره
“যদি কোনো মহিলা মসজিদে নামাযের জন্য আসতে চায়, তাহলে আমাদের ফকিহগণ বলেন, যদি সে যুবতি কিংবা এমন বৃদ্ধা হয় যে, তার প্রতি কামভাব সৃষ্টি হয়, তাহলে তার জন্য মসজিদে আসা মাকরূহ এবং তার স্বামী অথবা অভিভাবকের জন্য তাকে সুযোগ দেয়াও মাকরূহ হবে। আর যদি সে এমন বৃদ্ধা হয়, যে তার প্রতি কামভাব সৃষ্টি হয় না, তাহলে তার জন্য তা বৈধ হবে।21

হাম্বলী মাযহাব

হাম্বলী মাযহাব: মহিলাদের মসজিদে এসে জামা’আতে নামায আদায় করা সম্পর্কে ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রাহ.22 এর মত বর্ণনা করতে গিয়ে ইবনে কুদামা রাহ. বলেন-
ويباح لهم حضور الجماعة مع الرجال؛ لأن النساء كن يصلين مع رسول الله … وصلاتها في بيتها خير لها وأفضل
“মহিলাদের জামা’আতে উপস্থিত হওয়া বৈধ। তবে ঘরে নামায পড়া তাদের জন্য উত্তম।”23

আর মহিলাদের ঈদগাহে এসে ঈদের নামায আদায় করার ব্যাপারে তাঁর মতামত ব্যক্ত করতে গিয়ে তার ছেলে আবুল ফজল সালেহ রাহ. বলেন-
سمعت أبي مثل عن النساء يخرجن إلى العيدين؟ قال: لا يعجبني في زماننا هذا؛ لأنه فتنة
“আমার পিতাকে প্রশ্ন করা হলো যে, মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়ার ব্যাপারে আপনার মতামত কী? উত্তরে তিনি বলেন, এ যুগে মহিলাদের ঈদগাহে যাওয়া আমার নিকট পছন্দনীয় নয়।24

মহিলাদের মসজিদে গমনের শর্তসমূহ

মহানবী صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ মহিলাদেরকে পুরুষদের ন্যায় কোনো শর্ত ছাড়াই স্বাধীনভাবে মসজিদে আসার অনুমতি দেননি। বরং সুনির্ধারিত ও সুপ্রতিষ্ঠিত কিছু শর্ত সাপেক্ষে তাদের মসজিদে আসার অনুমতি দেন। নিম্নে তা আলোচনা করা হলো।

১. খুশবু জাতীয় কোনো দ্রব্য ব্যবহার করতে পারবে না। এ সম্পর্কে যয়নব রাযি. বর্ণনা করেন-
إذا شهدت إحداكن المسجد فلا تمن طيبا
“তোমাদের কেউ যখন মসজিদে আসার ইচ্ছা করবে, তখন সে খুশবু ব্যবহার করবে না।”25

উল্লেখ্য, পূর্বে ব্যবহারকৃত খুশবুর ঘ্রাণ বিদ্যমান থাকলে তা নিয়েও মসজিদে আসা যাবে না।

২. কোনো প্রকার সাজ-সজ্জা গ্রহণ করা যাবে না। হযরত আবু হুরায়রা রাযি. বর্ণনা করেন-
أن رسول الله ﷺ قال: لا تمنعوا إماء الله مساجد الله ولكن ليخرجن ومن نفلات
“তোমরা আল্লাহর বাঁদীদেরকে আল্লাহর ঘরে যেতে বাধা দিয়ো না। যদি সাজ-সজ্জা ও খুশবু ছাড়া বের হয়।”26

৩. পুরুষদের সাথে মেলামেশা না হতে হবে। মহিলারা পুরুষদের পিছনে থাকবে। ইবনে মাসউদ রাযি. বলেন,
أخروهن حيث أخرهن الله
“তোমরা তাদেরকে পিছিয়ে দাও, যেভাবে আল্লাহ তাদেরকে পিছিয়ে দিয়েছেন। “27

৪. কোনো ধরনের ফেতনার আশঙ্কা না থাকতে হবে।
রাসূল ইরশাদ করেছেন-
والموت خير للمؤمن من الفتنة
“মুমিনের জন্য ফেতনায় পড়া থেকে মৃত্যুবরণ করাই উত্তম। “28

এগুলো হলো মৌলিক শর্ত, তাই এগুলোর কোনো একটি ছুটে গেলে মহিলাদের জন্য মসজিদে আসা বৈধ হবে না।
আর বর্তমানে অধিকাংশ মহিলার শর্তগুলোর প্রতি ভ্রুক্ষেপ করে না। কেননা তারা বাহিরে যাওয়ার সময় খুশবু ও অতিরিক্ত সাজ-সজ্জা করে; যা ঘরে করে না। আবার যামানার ফেতনার কথা তো বলারও অপেক্ষা রাখে না। তাই ব্যাপকভাবে তাদের নিষেধ করা হয়েছে। এখানে মনে রাখতে হবে যে, মহিলাদের ফেতনার কারণে মসজিদে উপস্থিত হওয়া নিষেধ।

এর অর্থ এই নয় যে, মহিলারা কখনই মসজিদে প্রবেশ করতে পারবে না। অনেক সময় সফর অবস্থায় মহিলাদের নামায পড়ার ভিন্ন কোনো জায়গা থাকে না। কিন্তু এই অজুহাতে নামায বাদ দেয়ারও সুযোগ নেই। তাই এ পরিস্থিতিতে মসজিদে গিয়ে এক কোণায় নামায আদায় করবে।

মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী হাফিযাহুল্লাহ29 বলেন-

فائدہ: مگر اس مسئلہ سے کہ عورتوں کو مسجد نہیں جانا چاہئے ذہن غلط بن گیا ہے، عورتیں بازار میں ، اسٹیشن پر یا پبلک مقامات میں ہوتی ہیں اور نماز کا وقت آجاتا ہے اور نماز پڑھنے کے لئے کوئی جگہ میسر نہیں ہوتی چنانچہ وہ نماز قضا کر دیتی ہیں، مگر مسجد میں جا کر نماز نہیں پڑھتیں، کیونکہ ذہن یہ بن گیا ہے کہ عورتوں کو مسجد میں نہیں جانا چاہئے، حالانکہ مسجدیں مردوں کی جاگیر نہیں ہیں، ایسی مجبوری میں عورتوں کو مسجد میں جا کر کسی علاحدہ جگہ میں نماز پڑھنی چاہئے۔ اور اتفاقا جماعت ہو رہی ہو تو وہ جماعت میں شرکت بھی کر سکتی ہیں ، ان کو نماز قضا نہیں کرنی چاہئے۔

“মহিলাদের মসজিদে জামা’আতে হাজির হওয়া মাকরূহ। এ মাসআলা থেকে একটি ভুল মনোভাব সৃষ্টি হয়ে গেছে। মহিলারা বাজারে, স্টেশনে ও যাত্রি ছাউনিতে থাকা অবস্থায় নামাযের সময় হয়ে গেলে এবং নামায পড়ার কোনো জায়গা পাওয়া না গেলে তখন তারা নামায কাযা করে। মসজিদে এসে নামায আদায় করে না। কেননা সবার মন-মানসিকতা এমন হয়ে গেছে যে, মহিলাদের মসজিদে যাওয়া উচিত নয়। অথচ মসজিদ পুরুষদের জায়গীর নয়। এ পরিস্থিতিতে তাদের মসজিদে এসে আলাদা জায়গায় নামায পড়ে নেওয়া জরুরী। আর ঘটনাক্রমে যদি মসজিদে জামাত চলতে থাকে তাহলে তারা জামা’আতেও শরীক হতে পারবে। মোটকথা, নামায কোনো অবস্থায় কাযা করবে না।30

পরিশেষে মূল বক্তব্য হলো, মহিলাদের জামা’আতে এসে নামায পড়া নবী যুগে একটি অনুত্তম বৈধ কাজ ছিল। কেননা, রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ মহিলাদেকে এ ব্যাপারে নির্দেশ দেয়ার পরিবর্তে ঘরে নামায পড়াকে উত্তম বলেছেন। এক হাদীসে এসেছে,
“মহিলাদের জন্য বারান্দা অপেক্ষা অন্দর-মহলের নামায উত্তম তদুপরী খাস কুঠরীর নামায সর্বোত্তম। “31

এছাড়াও মহিলাদের মসজিদে ও ঈদগাহে জামা’আতে আসার বিষয়টি অনেক শর্তে শর্তযুক্ত, যা ইতিপূর্বে আলোচনা করা হয়েছে। আর এ শর্তগুলো সাহাবীদের যামানা থেকেই বিলীন হতে শুরু করেছে। ফলে, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা, ওমর, ইবনে ওমর ও ইবনে মাসউদ রাযি. প্রমুখ বড় বড় সাহাবায়ে কেরাম মহিলাদেরকে যে কোনো জামা’আতে উপস্থিত হতে বাঁধা দিতে শুরু করলেন। ফলে সকল ইমামের ইজমা ও ঐক্যমত হলো, কিশোরী যুবতিদেরকে কোনো ক্রমেই ঈদ, জুম’আ, জামাত ইত্যাদিতে শরীক হতে দেয়া যাবে না।

অতঃপর পরবর্তী ফুকাহা ও মাশায়েখগণ যামানার ফেতনা পূর্বের সকল রেকর্ডকে ভঙ্গ করে সীমা অতিক্রম করার কারণে বৃদ্ধাদের উপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন। আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, হাদীসে উম্মে হুমাইদ সহ আরো অনেক হাদীস দ্বারা বুঝা যায় যে, রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ এর মানশা ও সন্তুষ্টিও ছিল তাই। সুতরাং আসুন আমরা মহিলাদেরকে ঘরের কোণে নামায পড়তে উৎসাহিত করি। রাসূল صَلَّى ٱللَّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ এর আদর্শে জীবন গড়ি।

সংগৃহীত
মাওলানা মুহাম্মাদ জোবায়ের আহসানল্লাহ
দরসুল ফিকহ ১ম খন্ড

  1. সূরা যারিয়াত: ৫৬ ↩︎
  2. সহীহ বুখারী: ১/১৮৯, হাদীস নং ৬৪৪ ↩︎
  3. رواه الإمام أحمد في مسندمه (۲۷۰۹۰) وابن حبان في صحيحه (۲۲۱۷)، وحسنه الحافظ في فتح البارية (باب النظار الناس قيام الإمام العالم) ↩︎
  4. সহীহ ইবনে খুযায়মা: ৩/৯৫ হাদীস নং ১৬৮৯, আল মাকতাবুল ইসলামী, তাহকীক: ড. মুহাম্মদ মুস্তফা আ’জমী ↩︎
  5. আবু বকর মুহাম্মদ ইবনে ইসহাক ইবনে খুযাইমা ইবনে মুগিরা নিশাপুরী শাফে’য়ী রাহ। ইবনে খুযাইমা নামে প্রসিদ্ধ। ৩২৩ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন। ইবনে হিবক্ষান রাহ. এর শায়েখ ছিলেন। ৩১১ হিজরীর যিলকদে ইন্তেকাল করেন। তিনি মুহাদ্দিসীনের মাঝে ‘ইমামুল আইম্মা’ নামে পরিচিত ছিলেন। তাযকিরাতুল হুফফাযে হাকেম থেকে বর্ণিত, তাঁর রচনার সংখ্যা ১৪০টিরও বেশি। -হাদিয়াতুল আরেফীন: ২/২৯। আর রিসালাতুল মুসতাতরাফা: ২০ ↩︎
  6. সুনানে আবু দাউদ: ১/৮৪ হাদীস নং ৫৬৭, সহীহ ইবনে খুযায়মা: হাদীস নং ১৬৮৪। মুসনাদে আহমদ: হাদীস নং ৫৪৬৩৮ ↩︎
  7. সহীহ বুখারী: হাদীস নং ৮৬৯: সহীহ মুসলিম: হদীস নং ৪৪৫ ↩︎
  8. قال الحافظ ابن حجر رحمه الله في تفتح الباري (٣٥٠/٢) دار المعرفة، بيروت، ط. ۱۳۷۹) باب خروج النساء إلى المساجد بالليل والعلس: أخرجه عبد الرزاق بإسناد صحيح ↩︎
  9. ২০ মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৩/১৪৯ হাদীস নং ৫১১৪, মাজলিসে ইলমী, করাচী ↩︎
  10. قال الحافظ ابن حجر رحمه الله في ففتح البارية (٣٥٠/٢) باب خروج النساء إلى المساجد بالقيل والغلس روى عبد الرزاق بإسناد صحيح. ↩︎
  11. মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৩/১৪৯ হাদীস নং ৫১১৫ মাজলিসে ইলমী, করাচী ↩︎
  12. মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৩/১৭৩, মাজলিসে ইলমী, করাচী ↩︎
  13. মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা: ৫/২০২, হাদীস নং ৭৬৯৯ ↩︎
  14. সহীহ মুসলিম: ১/১৮৩ ↩︎
  15. আল মু’জামুল কাবীর, তবারানী। হাদীস নং ৯৩৬৭, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত, লেবানন। আল্লামা হাইছামী রাহ এই হাদীসের রাবীদেরকে নির্ভরযোগ্য বলেছেন। ↩︎
  16. হেদায়া: ১/১২৬, মাকতাবায়ে আশরাফিয়া, দেওবন্দ ↩︎
  17. ফাতহুল কাদীর: ১/৩৭৬, দারুল কুতুবিল ইলমিয়্যা, বৈরুত, লেবানন। মাকতাবায়ে যাকারিয়া, দেওবন্দ ↩︎
  18. ফাতাওয়ায়ে আলমগীরী: ১/৮৯, মাকতাবায়ে যাকারিয়া, দেওবন্দ ↩︎
  19. আওজাযুল মাসালেক: ৪/১০৬, দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন ↩︎
  20. ইমাম মহিউদ্দীন আবু যাকারিয়া ইয়াহইয়া ইবনে শরফ আন নববী আশ শাফে’য়ী রাহ। তিনি ইমাম নববী নামে প্রসিদ্ধ। ৬৩১ হিজরীতে জন্যগ্রহণ করেন। ৬৭৬ হিজরীতে ইন্তেকাল করেন। ফিকহ ও হাদীস শাস্ত্রে অনেক বড় ইমাম ছিলেন। তাঁর রচিত ‘রিয়াদুস সালেহীন’ সর্বাধিক পঠিত কিতাবসমূহের অন্তর্ভুক্ত। হাদিয়াতুল আরেফীন। ২/৫২৪ ↩︎
  21. আল মাজমু শরহুল মুহায্যাব: ৪/১৯৮, দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন ↩︎
  22. ইমাম আবু আব্দিল্লাহ আহমাদ ইবনে মুহাম্মদ ইবনে হাম্বল আশ শাইবানী আল মারওয়াযী আল বাগদাদী রাহ। আহমদ ইবনে হাম্বল নামে প্রসিদ্ধ। ১৬৪ হিজরীতে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২৪১ হিজরী সনে বাগদাদে ইঞ্জেকাল করেন। হাম্বলী মাযহাবের সম্বদ্ধ তাঁর দিকেই করা হয়। তাঁর রচিত ‘মুসনাদ’ হাদীস শাস্ত্রের বিশাল ভান্ডার।-আর রিসালাতুল মুসতাতরাফা: ১৮ ↩︎
  23. আল মুগনী: ২/৩৬, দারুল ফিকর, বৈরুত, লেবানন ↩︎
  24. মাসায়েলে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল। ১/১২৮ ↩︎
  25. সহীহ মুসলিম: ১/১৮৩, হদীস নং ৪৪৩ ↩︎
  26. সুনানে আবু দাউদ: ১/৮৪, হাদীস নং ৫৬৫ ↩︎
  27. ‘মুসান্নাফে আব্দুর রাযযাক: ৩/১৪৯, হাদীস নং ৫১১৫ ↩︎
  28. মুসনাদে আহমদ: ৩৯/৩৬, হাদীস নং ২৩৬২৫, হাদীসটি সহীহ। ↩︎
  29. মুফতী সাঈদ আহমদ পালনপুরী হাফিযাহুল্লাহ। গুজরাটের পালনপুর এলাকায় ১৯৪০ ঈসায়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। সাইয়িদ আখতার হুসাইন দেওবন্দী, শাইখ আব্দুল জলীল কিরানভী ও ইবরাহীম বেরলভী তাঁর হাদীসের বিশিষ্ট উস্তায ছিলেন। রহমাতুল্লাহিল ওয়াসিআ, ফয়জুল মুনঈম, জামে তিরমিযী ও সহীহ বুখারীর ব্যাখ্যা গ্রন্থসহ বহু কিতাব তিনি রচনা করেছেন। বর্তমানে তিনি দারুল উলূম দেওবন্দে শাইখুল হাদীস পদে আছেন।-আল কালামুল মুফীদ ফী তাহরীরিল আসানীদ: ৫২৭-৫২৯ ↩︎
  30. তুহফাতুল কারী: ২/১২৪, মাকতাবায়ে হেজায, দেওবন্দ ↩︎
  31. সুনানে আবু দাউদ: ১/৮৪ হাদীস নং-৫৭০। ↩︎
Exit mobile version