মহিলা মহিলাদের কে ঝারফুক দিতে পারবে।
আর এই ঝারফুকের বিনিময়ে টাকা গ্ৰহন করা জায়েজ আছে।
আবূ সাঈদ আল-খুদরী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর একদল সাহাবী একটি স্থানের দিকে সফরে বের হলেন। পথে আরব বেদুঈনের একজন জনপদে তারা যাত্রা বিরতি করলে তাদের কেউ এসে বললো, আমাদের নেতাকে বিষাক্ত প্রাণী দংশন করেছে। তোমাদের কারো এমন কিছু জানা আছে কি যাতে তার উপকার হয়? সফরকারী দলের একজন বললেন, হ্যাঁ, আল্লাহর কসম! নিশ্চয়ই আমি ঝাড়ফুঁক করি। কিন্তু আমরা তোমাদের নিকট আতিথেয়তা চেয়েছিলাম, তোমরা তা অস্বীকার করেছো। কাজেই তোমরা আমার জন্য বিনিময় নির্ধারণ না করলে আমি ঝাড়ফুঁক করবো না। সুতরাং তারা এক পাল বকরী দেয়ার চুক্তি করলো। তিনি রোগীর নিকট এসে সূরা ফাতিহা পাঠ করে থুথু ছিটিয়ে দিলেন। সে সুস্থ হয়ে উঠলো, মনে হলো যেন সে বন্দী শিকল থেকে মুক্তি পেয়েছে।
বর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর তারা চুক্তি মোতাবেক সব বিনিময় প্রদান করলো। দলের কয়েকজন বললো, এগুলো বণ্টন করে দাও। কিন্তু ঝাড়ফুঁককারী বললো, না, আমরা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট গিয়ে এ ব্যাপারে তাঁর পরামর্শ না নেয়া পর্যন্ত এরূপ করবো না। অতঃপর তারা সকলে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে ঘটনাটি জানালো। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ এ সূরা দ্বারা যে ঝাড়ফুঁক করা যায় তা তোমরা কিভাবে জানলে? তোমরা ভালই করেছো। এগুলো বণ্টন করে নাও এবং তোমাদের সঙ্গে আমাকেও একটি অংশ দিও।
[সুনানে আবূ দাউদ-২/৫৪৪, হাদীস নং-৩৯০০,সহীহ বুখারী-২/৮৫৪, হাদীস নং-২২৭৬, সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-২২০১, সুনানে তিরমিজী, হাদীস নং-২০৬৪]