যে ব্যক্তির উপর জুমআর নামায ওয়াজিব তার উপর ঈদের নামাজও ওয়াজিব। ঈদের নামাযের পর খুতবা দেয়া সুন্নত। ঈদের নামাযের পূর্বে খুতবা পড়ে নিলে মাকরূহের সাথে নামায আদায় হবে। (বাবাদায়েউস সানায়ে২/২৩৭,২৪০,২৪১ আলমগীরী ৩/৬৩,কিতাবুল ফিকহ ১/৫৪৮)
বর্তমান সময়ে ফিতনার আশঙ্কা প্রবল হওয়ার কারণে ফুকাহায়ে কেরাম নারীদের ঈদগাহে ও মসজিদে গিয়ে নামায পড়তে নিষেধ করেন। তাই তাদের জন্য ঈদগাহে বা মসজিদে গিয়ে জামাতে নামায পড়া মাকরূহ। তবে নামায পড়লে তা আদায় হয়ে যাবে।তাছাড়া নারীদের আসল স্থান হল তাদের বসবাসের ঘর। নারীদের মসজিদে এসে নামায পড়া রাসূল সা. পছন্দ করতেন না। তবে যেহেতু রাসূল (সাঃ) সবার নবী।
আর রাসূল সা. এর কাছে ওহী নাজিল হতো। তাই নারীরা রাসূল সা. এর জমানায় ওহীর বানী শুনার জন্য মসজিদে আসতো। এটি ছিল শুধুই প্রয়োজনের তাগিদে। যে প্রয়োজন রাসূল (সাঃ) ইন্তেকালের দ্বারা বন্ধ হয়ে গেছে।
(সহীহ ইবনে খুজাইমা, হাদীস নং-১৬৮৯,ইলাউস সুনান-৩/২৬,কিতাবুল ফাতাওয়া ৩/৮৮)