মদীনার সবুজ গম্বুজ কবে থেকে হলো

মদীনার অন্যতম সিম্বোলিজম হলো সবুজ মিনার। সবুজ মিনার দেখলেই মনে পড়ে মসজিদে নববীর কথা। কিন্তু, এই মিনারের কালার সবুজ করা হয় আজ থেকে ১৮৭ বছর আগে (অর্থাৎ ১৮৩৭ সালে )।
১৪৮১ সালে মদীনায় মসজিদে নববীতে আগুন লাগে। এটা ছিলো মদীনায় আগুন লাগার দ্বিতীয় ঘটনা। এর আগে ১২৫৬ সালে বাতি জ্বালাতে গিয়ে তেল পড়ে যায়। পুরো মসজিদে নববী আগুনে পুড়ে যায়। সুলতান রোকন উদ্দিন বাইবার্স মসজিদে নববী সংস্কার করেন।

১৪৮১ সালে বজ্রপাতে মিনারটি ভেঙ্গে যায়। আগুন লেগে যায় পুরো মসজিদে। সেদিন মদীনার অধিবাসীরা ছুটে আসে মসজিদে নববীর আগুন নেভাতে।

এবার মসজিদে নববীর সংস্কারে এগিয়ে আসেন মামলুক সুলতান কাইত বে।
কাইত বে ১৬ টি যুদ্ধ পরিচালনা করেন। কিন্তু, তিনি পরিচিত ছিলেন স্থাপত্যের জন্য। তাঁর শাসনামলে মক্কা, মদীনা, জেরুজালেম, মিশরে অনেকগুলো মিনার, স্থাপনা নির্মাণ করা হয়।

সুলতান কাইত বে মসজিদে নববীর সংস্কার কাজের উদ্যোগের পাশাপাশি মিনার পুনঃস্থাপন করেন। তখন এই মিনারটি ছিলো সাদা রঙের। পরবর্তীতে এটা হয় নীল রঙের।

পরবর্তীতে উসমানি সুলতান মাহমুদ (দ্বিতীয়) ১৮৩৭ সালে এই মিনারটিতে সবুজ রঙ করেন। এরপর থেকে মদীনার গম্বুজ/মিনারটি সবুজ রঙে দেখেই আমরা অভ্যস্ত।

সবুজ মিনার নিয়ে অনেক গজল লেখা হয়েছে। মদীনার কথা মনে হলেই আমাদের কল্পনায় ভেসে ওঠে সবুজ মিনার। টাইম ট্রাভেল করে আমরা যদি চলে যেতে পারতাম ২০০ বছর আগে, দেখতে পেতাম নীল বা সাদা রঙের এক গম্বুজ।

লিখেছেন

আরিফুল ইসলাম (আরিফ)

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন

পড়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। তার কলম তাকে উজ্জীবিত করেছে স্বীয় বিশ্বাসের প্রাণশক্তি থেকে।
অনলাইন এক্টিভিস্ট, ভালোবাসেন সত্য উন্মোচন করতে এবং উন্মোচিত সত্যকে মানুষের কাছে তুলে ধরতে।

Exit mobile version