কমন মিস্টেকস ইন রামাদান – প্রকৃত প্রয়োজনে রোজা ভঙ্গ করুন
ইসলামের শরীয়াহ কিছু কিছু কারণে আমাদের রোজা ভাঙ্গার অনুমতি দিয়েছে। কিন্তু আজ আমি যেই ভুলটির প্রতি আলোকপাত করতে চাই তা হল অনেকেই কোন অজুহাত ছাড়াই রোজা ভেঙে ফেলে। গর্ভবতী মহিলা, এবং মায়েরা যারা বাচ্চাদের বুকে দুধ পান করাচ্ছেন, তাদের জন্য বিশেষ প্রয়োজনে রোজা ভাঙ্গার অনুমতি রয়েছে।
স্তন্যপান করানোর ফলে মায়ের যদি বুকের দুধ কমে যাওয়ার আশঙ্কা না থাকে, এবং স্বাস্থ্যের কোন ক্ষতি না হয়, সে ক্ষেত্রে কিন্তু তাকে রোজা রাখতে হবে। এই ক্ষেত্রে তিনি কিন্তু বলতে পারবেন না যে আমি বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াচ্ছি, তাই আমি রোজা রাখব না। ঠিক একইভাবে গর্ভাবস্থায় মা যদি সম্পূর্ণ সুস্থ থাকেন তবে তার রোজা ভাঙ্গার কোনো কারণ থাকতে পারে না।
তবে ভ্রমণ কিন্তু প্রয়োজনের সাথে সংযুক্ত নয়, আপনি যখন ভ্রমণ করেন তখন আপনার প্রয়োজন না থাকলেও আপনাকে উপবাস ভাঙ্গার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো মানুষ অনেক সময় লেখাপড়া, পরীক্ষা, এবং খেলাধুলার অজুহাতে রোজা ভাঙ্গে। ক্রীড়াবিদ, যারা খেলাধুলা করেন তারা অনেক সময় অজুহাত দেখিয়ে থাকেন তাদের প্রশিক্ষণে যেতে হয়, গরমের মধ্যে শারীরিক পরিশ্রম করে তারা ক্লান্ত এবং তৃষ্ণার্ত থাকেন। আপনার কাজের প্রকৃতি যাই হোক না কেন – লেখাপড়া, খেলাধুলা, অপারেশন রুমে অপারেশন করা, এমনকি রাস্তার নির্মাণ কাজও যদি হয়, সে ক্ষেত্রে আপনার কিন্তু বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া রোজা ভাঙ্গার কোন অনুমতি নেই।
রোজা ভাঙ্গার জন্য বিশেষ প্রয়োজন থাকতে হবে। আপনি যখন খুবই অসুস্থ এবং ক্লান্ত বোধ করবেন, অথবা ধরুন আপনার মনে হচ্ছে অতিরিক্ত পরিশ্রমের ফলে আপনি ডিহাইড্রেট হয়ে যাচ্ছেন, অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত অবস্থা হচ্ছে, সেক্ষেত্রে কেবল রোজা ভাঙ্গার অনুমতি রয়েছে।
কাজেই বুঝতে পারছেন কাজের প্রকৃতি নয়, বরং অতিরিক্ত অসুস্থতা এবং ক্লান্তির কারণে রোজা ভাঙ্গা যেতে পারে। এমন নয় যে পরীক্ষা দিতে গেলে, বা কাইক পরিশ্রম করতে গেলেই আপনাকে অবধারিতভাবে রোজা ভাঙতে হবে। এক্ষেত্রে আপনার রোজা বাতিল হয়ে যেতে পারে। আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তা’য়ালা যেন আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক বুঝ দান করেন এবং রমজানের এই বরকতময় মাসে রোজা রাখা আমাদের জন্য সহজ করে দেন।
প্রকৃত প্রয়োজনে উপবাস ভঙ্গ করুন
পর্ব: ১৩
মূল: শাইখ ইয়াহিয়া ইব্ররাহিম