কোন মেয়ের যদি লেখাপড়া অথবা বিশেষ প্রয়োজনে পরিবার থেকে দূরে কোথাও একাকী থাকা জরুরি হয় তাহলে তা জায়েজ আছে কতিপয় শর্ত সাপেক্ষে। যেমন:
১. বাড়ি থেকে যেখানে থাকা হবে তার দূরত্ব যদি সফরের দূরত্ব (কমপক্ষে প্রায় ৮০ কি.মি.) হয় তাহলে যাতায়াতের পথে সঙ্গে স্বামী অথবা বাবা, ছেলে, ভাই, দাদা ইত্যাদি একজন মাহরাম পুরুষ (যাদের সাথে স্থায়ীভাবে বিয়ে বন্ধন হারাম) থাকা আবশ্যক। কারণ হাদিসে মহিলাদেরকে স্বামী বা মাহরাম পুরুষ ছাড়া সফর করতে নিষেধ করা হয়েছে।
২. যেখানে থাকা হবে সেখানে সার্বিক নিরাপত্তা থাকা।
৩. থাকার স্থানে পরপুরুষের আনাগোনা ও ফেতনা মুক্ত পরিবেশ থাকা। যদি অন্যান্য সৎ, বিশ্বস্ত ও দ্বীনদার মহিলাদের সাথে থাকা হয় তাহলে নি:সন্দেহে তা উত্তম।
৪. বাইরে বের হওয়ার সময় পূর্ণ হিজাব সহকারে বের হওয়া এবং নিজেকে ফেতনা থেকে নিরাপদ দূরত্বে রাখা।
৫. বাইরে যাওয়ার সময় আতর-সুগন্ধি ব্যবহার না করা..ইত্যাদি।
তবে মনের রাখা কর্তব্য যে, বর্তমানে আমাদের সমাজে যেভাবে ফিতনা-ফ্যাসাদের সয়লাব চলছে তাতে একান্ত জরুরি প্রয়োজন ছাড়া কোনো নারীর পরিবার থেকে দূরে থাকা মোটেও উচিৎ নয়।
আল্লামা আব্দুল্লাহ বিন বায রহ. বলেন:
يجوز لها السكن وحدها سواء كانت أرملة أو مطلقة لا بأس أن تسكن وحدها إذا كانت في محل آمن لا خطر عليها، أما إذا كان المحل ليس بآمن فإنها لا تسكن وحدها بل تسكن مع غيرها من أهلها أو من النساء الثقات اللاتي لا خطر في السكنى معهن، وهذا معروف من قواعد الشرع المطهر.
“মহিলার জন্য একাকী থাকা জায়েজ আছে-চাই সে বিধবা হোক বা তালাক প্রাপ্তা হোক। থাকার জায়গাটা যদি নিরাপদ হয়-যা তার জন্য বিপদ জনক নয়-তাহলে একাকী থাকায় কোনো অসুবিধা নেই। তবে যদি থাকার জায়গাটা অনিরাপদ হয় তাহলে একাকী থাকবে না বরং তার পরিবারের অন্য কারো সাথে অথবা অন্যান্য বিশ্বস্ত মহিলা-যাদের সাথে থাকলে কোনো বিপদ হওয়ার সম্ভাবনা নাই- তাদের সাথে থাকবে।
এটি পবিত্র ইসলামি শরিয়তের একটি স্বতঃসিদ্ধ মূলনীতি।”
[উৎস: binbaz.org.sa]
আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সকল খারাপি থেকে হেফাজত করুন।
আমিন।