আল্লাহ কত সত্য কথাই না বলেছেন! আমরা মানুষ সত্যকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য কত কুটতর্কের আশ্রয় নিয়ে থাকি! হক দেখেও না দেখার ভান করি। শুনেও না শুনার ভান করি। আল্লাহর বাণীর সামনে যুক্তি পেশ করি এবং নানা কুটতর্কে জড়িয়ে পড়ি।
দিন, রাত, চাঁদ, সুরুজ, আলো, আঁধার আর আর প্রকৃতির অগণিত বৈচিত্র্য ও বিবর্তন স্বচক্ষে দেখেও বলতে দ্বিধা করি না, আল্লাহ বলতে কিছু নাই!
মাথার উপর দিগন্ত বিস্তৃত নীল আসমান, আসমান জুড়ে মেঘের পাহাড়, সেখান থেকে অঝর ধারায় বৃষ্টির বর্ষণ, বর্ষণের প্রভাবে আদিগন্ত ফসলের মাঠ, রঙ্গ-বেরঙ্গের ফুলের মেলা, গাছে গাছে থরে থরে সাজানো হরেক রকম সুস্বাদু ফল। এ সব কিছু দেখেও মাজারে গিয়ে মাথা ঠেকাই ন্যাংটা বাবার চরণ তলে!
নিজের শরীরের প্রতিটি অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ, বেঁচে থাকার জন্য সুপেয় পানি, বায়ু, মাটি সব কিছু পেয়েও তার দাসত্ব স্বীকার করতে আমাদের কত আপত্তি!!
তাই তো আল্লাহ তাআলা যথার্থই বলেছেন,
وَلَقَدْ صَرَّفْنَا فِي هَٰذَا الْقُرْآنِ لِلنَّاسِ مِنْ كُلِّ مَثَلٍ ۚ وَكَانَ الْإِنْسَانُ أَكْثَرَ شَيْءٍ جَدَلًا
“নিশ্চয় আমি এ কুরআনে মানুষকে নানাভাবে বিভিন্ন উপমার দ্বারা আমার বাণী বুঝিয়েছি। প্রকৃতপক্ষে মানুষ অত্যন্ত তর্কপ্রিয়।”
[সুরা কাহফ: ৫৪]
তিনি আরও বলেছেন,
خَلَقَ الْإِنسَانَ مِن نُّطْفَةٍ فَإِذَا هُوَ خَصِيمٌ مُّبِينٌ
“তিনি মানুষকে এক ফোঁটা বীর্য থেকে সৃষ্টি করেছেন। এতদসত্বেও সে প্রকাশ্য বিতণ্ডাকারী হয়ে গেছে।”
[সূরা নাহল: ৪]
হে আল্লাহ, আমরা সত্যিই অপরাধী। আমরা সত্যিই বিতণ্ডা প্রিয়। অকৃতজ্ঞ। নাফরমান। তুমি আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও। আমাদেরকে হেদায়েত দাও। হেফাজত কর তোমার আজাব ও গজব হতে। কারণ তুমিই একমাত্র করুণার আধার ও পরম ক্ষমাশীল।
আমিন।