কুড়িয়ে পাওয়া
বিভিন্ন অবসর সময়ে গুনগুন করে গাওয়া গানের পংক্তিগলো সাধারনত মানুষের সবচেয়ে প্রিয় গানগুলোর অংশই হয়ে থাকে। যেই গান সে বারবার বহুবার শুনে ফেলেছে। নিজের গানের গলা যেমনই হোক, অপরের কাছে ভাল নাই লাগুক, নিজের কাছে এভাবে গাইতে বিরক্ত নাগে না কখনই।
কুরআনের কোন আয়াত বা আয়াতের অংশ কি কখনও এভাবে তিলাওয়াত হয়েছে আমাদের?
বিপদে পড়ে বা শুকরিয়া জানানোর জন্য নিয়মতান্ত্রিক তিলাওয়াত নয়, নিজেকে শান্ত করার জন্য করা হয় যে তিলাওয়াত?
এই সুযোগ আমাদের এ জন্য হয় না, কেননা সেটার জন্য আমাদের কুরআনের বিভিন্ন জায়গায় মুখস্ত থাকতে হবে। সুরা ফালাক নাস ইখলাস দিয়েই সারাজীবন যদি নামাজ পড়া হয়, এই সৌভাগ্য আমাদের হবে না কখনোই। দৈনিক ৫/৬ আয়াত করেও যদি কেউ মুখস্থ করে, তার ৩০তম পারা মুখস্থ হতে বেশিদিন লাগবে না। এই পারার আয়াতগুলো ছন্দ মেলানো, মুখস্থও হয়ে যায় তাড়াতাড়ি। এরপর ধীরে ধীরে মুখস্থ শক্তিও বাড়ে, হিফয হয়ে যায় বড় বড় আয়াতের সুরাগুলোও।
“আল্লাহ! কুরআনকে আমার হৃদয়ের বসন্ত বানিয়ে দিন।
মিশিয়ে দিন কুরআনকে আমার রক্তে মাংশে, আমার দৃষ্টিতে আমার শ্রবনে। আল্লাহ কুরআনকে আমার নি:সঙ্গতায় সাথী বানিয়ে দিন” – রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেখানো অদ্ভুত সুন্দর এ দুআগুলোর প্রতিফলন নিজের জীবনে আসার জন্য কিছুটা পরিশ্রম হয়তো করতে হবে। কিন্তু এরপরের সেই শান্তি সত্যিই ভোলার মত নয়।
গানের সেই পংক্তিগুলোর স্থান যেদিন কুরআন নিবে, যেদিন কেউ অনুভব করবে এর মিষ্টতা, শপথ করে বলছি, খুশিতে সেদিন তার চোখে পানি চলে আসতে বাধ্য।