ভাগে কুরবানির পশু জবেহ সময় অংশীদারদের নাম পড়া কি জরুরি
ভাগে কুরবানির ক্ষেত্রে পশু জবেহ করার সময় অংশীদারদের নাম পড়া কি জরুরি?
ভাগে কুরবানি দেয়ার ক্ষেত্রে জবেহ করার সময় অংশীদারদের নাম পড়তে এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ যারা যারা কুরবানির নিয়তে টাকা জমা দিয়েছে আল্লাহ তাআলা তাদের নামেই তা কবুল করবেন ইনশাআল্লাহ।
অন্যের কুরবানী যবাই করার সময় তাঁদের নাম লেখা ও তা কুরবানীর পশু যবাই করার পূর্বে পড়া জরুরি মনে করা একটি প্রচলিত ভুল। যেমন, বলা যে এই গরুতে ৭ জনের নাম দেন। তারপর জবাই করার পূর্বে তাদের নামের লিস্ট পড়া হয়।
মনে রাখা উচিৎ, যে বা যারা কুরবানীর উদ্দেশ্যে পশুটি ক্রয় করেছে এবং যত ভাগ কুরবানী দেয়ার নিয়ত করেছে, তার সেই নিয়ত অনুযায়ী সে বদলা পাবে এবং তার নিয়ত আল্লাহ অবশ্যই জানেন। এখন অন্য কোনো ব্যক্তি যদি তাদের কুরবানীটা যবাই করে দেয়, তাহলে সে শুধু কুরবানীদাতার পক্ষ থেকে যবাই করার কাজের প্রতিনিধি মাত্র। বিদায় হজ্জে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এই রকম ষাটাধিক সাহাবীর কুরবানী করেছিলেন, তাতে তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের নাম জিজ্ঞেস করেন নি যে, এটা কার কার পক্ষ থেকে, এই উটে তোমরা কতজন শরীক রয়েছো, নাম উল্লেখ কর, ইত্যাদি। বরং তিনি সাধারণ ভাবে যবাই করে গেছেন।
তবে এটাও প্রমাণিত যে, তিনি অনেক ক্ষেত্রে যবাই করার পর বলতেনঃ “এটা আমার পক্ষ থেকে এবং আমার উম্মতের মধ্যে তাদের পক্ষ থেকে যারা কুরবানী দেয় নি”। [আহমদ, আবু দাঊদ, তিরমিযী] তাই যার কুরবানী অন্য যবাই করছে, সে যবাই দেয়ার সময় বিসমিল্লাহ আল্লাহু আকবারের পর তার নাম বলতে পারে যে এটা অমুক বা অমুক অমুকের পক্ষ থেকে। কিন্তু যবাই করার পূর্বে তা বলার নিয়ম নেই।
একই পরিবারে একটি কুরবানি যথেষ্ট-চাই একটি স্বতন্ত্র কুরবানি হোক অথবা গরু বা উটে এক ভাগ হোক।
সুতরাং পরিবারের অভিভাবক কুরবানি করার সময় তার নিজের এবং তার পরিবারের জীবিত ও মৃত সকল ব্যক্তিকে নিয়তে শরীক করবে তাহলে আশা করা যায়, দয়াময় আল্লাহ সকলকে সওয়াব দান করবেন ইনশাআল্লাহ। একই পরিবারে সদস্যদের মধ্য থেকে আলাদা আলাদা কারো নাম দেয়া সঠিক পদ্ধতি নয়।