১। খুবাইব ইবনে আদি রাদিয়াল্লাহু আনহুকে মক্কার কাফিররা বন্দি করে নিয়ে যায়। তাঁকে প্রায় ৪ মাস বন্দি রাখে। এইসময় খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তারা জিজ্ঞেস করলো তিনি কী খাবেন। খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু কাফিরদেরকে জানালেন তিনি ‘হালাল মাংস’ খাবেন। অর্থাৎ, দেব-দেবীর নামে জবাইকৃত মাংস খাবেন না।
তাঁকে পাহারার দায়িত্বে যিনি ছিলেন, তিনি এসে দেখেন খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহু আঙ্গুর খাচ্ছেন। মক্কায় তখন আঙ্গুর ফল পাওয়া যেতো না। আর খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহুর সাথে বাইরের কেউ দেখা করার সুযোগ ছিলো না। তারওপর আঙ্গুরগুলো একেকটির সাইজ ছিলো মানুষের মাথার মতো!
এরকম আঙ্গুর কেউ কখনো দেখেনি। খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন,
“আমার আল্লাহ এগুলোর ব্যবস্থা করেছেন।”
২। সাহাবীদের মধ্যে খুবাইব ইবনে আদিকে সর্বপ্রথম ক্রুশবিদ্ধ করা হয়। হত্যার পূর্বে কাফিররা তাঁর মুখটি কিবলার দিকে ফেরাতে চায়নি। হাত-পা বাধা খুবাইব রাদিয়াল্লাহু আনহুকে তারা যেদিকেই ফেরায় না কেনো, আপনাআপনি তাঁর মুখ কিবলার দিকে ফিরে যেতো!
৩। তাঁকে হত্যার পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম সাহাবীদের এক বাহিনী প্রেরণ করেন। শূলী থেকে তাঁর লাশটি ফেলে দিলে মুহূর্তের মধ্যে মাটিতে গর্ত হয়ে ঢুকে পড়ে। আমর ইবনে উমাইয়্যা বলেন, “মনে হলো মাটি যেন তাঁর লাশটি খেয়ে ফেললো!”
অনেক খুঁজাখুঁজি করেও তাঁর লাশটি আর পাওয়া গেলো না!
রাদিয়াল্লাহু আনহু।