কদরের রাতে কি কি আমল করব

লাইলাতুল কদরের জন্য গুরুত্বপূর্ণ সহজ আমলগুলো একসাথে দেওয়া হলো। আশা করি, এই আমলগুলো করলে আমরা দারুণ সৌভাগ্য হাসিল করতে পারবো, ইনশাআল্লাহ।
যেহেতু কুরআনের ভাষায় ‘‘কদরের রাতটি হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ’’ তাই এই রাতে একটি নেক আমল করা মানে হাজার মাস যাবত এই নেক আমলটি করা। রামাদানের শেষ দশ দিনে নবিজি কদর তালাশ করতে বলেছেন। তাই, আমরা শেষ দশ দিন নিচের এই আমলগুলো করতে পারি।

তাহাজ্জুদের নামাজ আদায় করা

লাইলাতুল কদরের প্রধান আমল হলো, কিয়াম তথা নামাজে দণ্ডায়মান হওয়া। রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে, সওয়াবের আশায় কদরের রাতে (ইবাদতের জন্য) দণ্ডায়মান হবে, তার পূর্বের গুনাহগুলো ক্ষমা করে দেওয়া হবে।’’
[ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ২০১৪]

সম্ভব হলে ৮/১০ রাকাত তাহাজ্জুদ পড়বো। এরপর আন্তরিকতার সাথে দু‘আ করবো। সাধারণ নফলের মতো ২ রাকাত করে পড়তে থাকবো। বিশেষ কোনো নিয়ম নেই।

কুরআন পড়া

যত বেশি সম্ভব কুরআন পাঠ করা।

আমরা শেষ দশকের প্রতিটি রাতে ২০/৩০ বার বা আরও বেশি সুরা ইখলাস পড়তে পারি।
নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘সেই সত্তার শপথ, যাঁর হাতে আমার প্রাণ! নিঃসন্দেহে এটি (সুরা ইখলাস) কুরআনের এক-তৃতীয়াংশের সমান।’’
[ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৫০১৩]

এছাড়াও আমরা যা পড়বো: আয়াতুল কুরসি, সুরা বাকারার শেষ দুই আয়াত, সুরা মুলক ও বাকি তিন কুল (সুরা কাফিরুন, সুরা ফালাক ও সুরা নাস)।

যারা আরও বেশি সময় তিলাওয়াত করবো, তারা সুরা যুমার, সুরা সাজদাহ ও মুসাব্বিহাত (সুরা হাদিদ, হাশর, সফ, জুমু‘আ, তাগাবুন) সুরাগুলো পড়তে পারি, যেহেতু এগুলো সারা বছর রাতের বেলা পড়ার ব্যাপারে হাদিস আছে। অথবা চাইলে কুরআন থেকে অন্যান্য সুরাও পড়তে পারি।

দুআ পড়া

কদরের রাতের দু‘আটি বেশি বেশি পড়বো। বিশেষত রামাদানের শেষ দশকের প্রতিটি রাতে প্রচুর পরিমাণে পড়তে চেষ্টা করবো।

আয়িশা (রা.) বলেন, আমি বললাম, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি জানতে পারি, কোনটি কদরের রাত, তাহলে ওই রাতে কী বলবো?’ নবিজি বলেন, তুমি বলো—

اَللّٰهُمَّ إِنَّكَ عَفُوٌّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُ عَنِّيْ
আল্লা-হুম্মা ইন্নাকা ‘আফুউ-উন, তু‘হিব্বুল ‘আফওয়া ফা’ফু ‘আন্নি
হে আল্লাহ্! আপনি ক্ষমাশীল, আপনি ক্ষমা করতে পছন্দ করেন। অতএব, আপনি আমাকে ক্ষমা করুন।1

এই রাতে দু‘আ কবুল হওয়ার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। দু‘আ কোনো সাধারণ বিষয় নয়। হাদিসে এসেছে, ‘‘দু‘আ হলো ইবাদত।’’2

দু‘আর আদব ও নিয়মগুলো অনুসরণ করে দু‘আ করলেই যথেষ্ট হবে, ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা‘আলা বলেন,
‘‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেবো।’’
[সুরা মুমিন: ৬০]

ব্যাপক অর্থবোধক দু‘আ বারবার পড়া: উদাহরণস্বরূপ এই দু‘আটি লক্ষ করুন।

​​​​​​​اَللّٰهُمَّ إِنِّيْ أَسْأَلُكَ الْعَافِيَةَ فِي الدُّنْيَا وَالْآخِرَةِ
আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকাল ‘আ-ফিয়াতা ফিদ্দুনইয়া ওয়াল আ-খিরাহ
হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট দুনিয়া ও আখিরাতের আফিয়াত (নিরাপত্তা, সুস্থতা) প্রার্থনা করছি।3

জীবিত ও মৃত সকল ঈমানদারের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং ভালো দু‘আ করা:
নবি ইবরাহিম (আ.)-এর দু‘আটি দ্বারা সবার জন্য ইস্তিগফার কামনা করা যায়।

رَبَّنَا اغْفِرْ لِيْ وَلِوَالِدَيَّ وَلِلْمُؤْمِنِيْنَ يَوْمَ يَقُوْمُ الْحِسَابُ
হে আমাদের রর! যেদিন হিসাব কায়েম হবে, সেদিন আপনি আমাকে, আমার পিতামাতাকে ও মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দিয়েন।4

হাদিসে এসেছে, কেউ অনুপস্থিত ব্যক্তির জন্য দু‘আ করলে, ফেরেশতারা বলেন, ‘‘তোমার জন্যও অনুরূপ হোক!’’ [ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৮২০]

দ্বীনের উপর অটল থাকার দু‘আ করা: উম্মু সালামাহ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে দু‘আটি সবচেয়ে বেশি পড়তেন, তা হলো–

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوبِ ثَبِّتْ قَلْبِي عَلٰي دِيْنِكَ
ইয়া মুক্বাল্লিবাল ক্বুলু-ব, সাব্বিত ক্বলবি ‘আলা দি-নিকা
হে অন্তরসমূহের পরিবর্তনকারী, আপনি আমার অন্তরকে আপনার দ্বীনের (ইসলামের) উপর অটল রাখুন।5

দান-সাদাকা করা

সাধ্যানুসারে কিছু দান-সাদাকাহ করা। নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন,
“প্রত্যেক ব্যক্তি (হাশরের মাঠে) তার সাদাকার ছায়াতলে থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত লোকদের মাঝে ফয়সালা শেষ না হবে।” [ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ১৭৩৩৩; শায়খ আলবানি, সহিহুত তারগিব: ৮৭২; হাদিসটি সহিহ]

যদি সম্ভব হয়, তবে রাতেই সাদাকাহ করুন। এটিই নিয়ম। এক টাকা দান করলে হাজার মাস (৮৩ বছর) ধরে এক টাকা দান করার নেকি পাবেন। এই রাতের প্রতিটি আমল এভাবেই বৃদ্ধি পাবে। কারণ আল্লাহ্ তা‘আলা বলেন,
‘‘কদরের রাতটি (মর্যাদার দিক থেকে) হাজার মাসের চেয়েও শ্রেষ্ঠ।’’
[সুরা ক্বাদর, আয়াত: ০৩]

যদি রাতে দিতে না পারেন, তবে রাতেই কিছু টাকা সাদাকাহ করার জন্য আলাদা করে রেখে দিন। এগুলো দিনের বেলা গরিবদের দিয়ে দিন। আল্লাহ চাইলে এটিকে কদরের রাতের দান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন।

তাওবাহ-ইস্তিগফার করা

তাওবাহ-ইস্তিগফারে লেগে থাকা:

ইস্তিগফার—০১

ইবনু মাস‘উদ (রা.) বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি এটি পড়বে, তার গুনাহ্ ক্ষমা করে দেওয়া হবে—যদিও সে জিহাদের ময়দান থেকে পলায়নকারী হয়।’’

ﺃَﺳْﺘَﻐْﻔِﺮُ ﺍﻟﻠّٰﻪَ ﺍﻟَّﺬِﻱْ ﻻَ ﺇِﻟٰﻪَ ﺇِﻻَّ ﻫُﻮَ ﺍﻟْﺤَﻰُّ ﺍﻟْﻘَﻴُّﻮْﻡُ ﻭَﺃَﺗُﻮْﺏُ ﺇِﻟَﻴْﻪِ
আস্তাগফিরুল্লা-হাল্লাযি লা ইলা-হা ইল্লা হুওয়াল ‘হাইয়ুল ক্বাইয়ু-মু ওয়া আতু-বু ইলাইহি
আমি আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি, যিনি ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই—তিনি চিরঞ্জীব, চিরস্থায়ী—এবং আমি তাঁর নিকট তাওবাহ করছি।6

ইস্তিগফার—০২

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মৃত্যুর আগে এই ইস্তিগফারটি খুব বেশি পড়তেন—

سُبْحَانَ اللّٰهِ وَبِحَمْدِهِ أَسْتَغْفِرُ اللّٰهَ وَأَتُوبُ إِلَيْهِ
সুব‘হা-নাল্লা-হি ওয়া বি‘হামদিহি, আস্তাগফিরুল্লা-হা ওয়া আতু-বু ইলাইহি
আমি আল্লাহর প্রশংসাসহ পবিত্রতা ঘোষণা করছি। আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করছি এবং তাঁর নিকট তাওবাহ করছি।7

ইস্তিগফার—০৩

সায়্যিদুল ইস্তিগফার
বেশি বেশি পড়া উচিত। হাদিসের ভাষায় এটি হলো শ্রেষ্ঠ ইস্তিগফার, ইস্তিগফারের নেতা।
[ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৬৩০৬]

এর পাশাপাশি তাওবাহর শর্তগুলো পূরণ করে অবশ্যই নিজের সমস্ত গুনাহ থেকে তাওবাহ্ করা উচিত। তাওবাহর তিনটি শর্ত হলো: কৃত গুনাহ স্বীকার করে সেসব আগে ছেড়ে দেওয়া, নিজ অপরাধের জন্য অনুতপ্ত ও লজ্জিত হওয়া এবং ভবিষ্যতে এসব গুনাহ আর না করার ব্যাপারে দৃঢ় সংকল্প ব্যক্ত করা।
[ইমাম নববি, রিয়াদুস সলিহিন]

যিকর ও তাসবিহ পড়া

কিছু যিকর ও তাসবিহ পাঠ করা।

সুবহানাল্লাহ্, আলহামদুলিল্লাহ, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ্ এবং আল্লাহু আকবার—প্রতিটি ১০০ বার করে মোট ৪০০ বার পড়া।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উম্মু হানি (রা.)-কে বলেন—

একটি ফজিলতপূর্ণ তাসবিহ কমপক্ষে ১০০ বার পড়ার চেষ্টা করবো।

لاَ إِلٰهَ إِلاَّ اللّٰهُ وَحْدَهُ لاَ شَرِيْكَ لَهُ لَهُ الْمُلْكُ وَلَهُ الْحَمْدُ وَهُوَ عَلَى كُلِّ شَىْءٍ قَدِيْرٌ
লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়া‘হদাহু লা শারি-কা লাহু লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল ‘হামদু ওয়া হুওয়া ‘আলা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদি-র
আল্লাহ্ ব্যতীত কোনো সত্য উপাস্য নেই। তিনি এক; তাঁর কোনো অংশীদার নেই। রাজত্ব এবং প্রশংসা কেবল তাঁরই; তিনি সকল বিষয়ে সর্বশক্তিমান।

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি দৈনিক ১০০ বার এটি পড়বে—

অন্য হাদিসে এসেছে,
‘‘যে ব্যক্তি এগুলোর প্রত্যেকটি ১০ বার করে বলবে, সে ইসমাঈল (আ.)-এর বংশের চারজন ক্রীতদাস মুক্ত করে দেওয়ার নেকি পাবে।’’
[ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৬৭৩৭]

জান্নাতের রত্নভাণ্ডার যে যিকর।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, “ওহে আব্দুল্লাহ ইবন কায়েস! আমি কি জান্নাতের এক রত্নভাণ্ডার সম্পর্কে তোমাকে অবহিত করবো না?” আমি বললাম, নিশ্চয়ই হে আল্লাহর রাসুল! তিনি বলেন, “তুমি বলো—

لَا ﺣَﻮْﻝَ ﻭَﻻَ ﻗُﻮَّﺓَ ﺇِﻻَّ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ
লা ‘হাউলা ওয়ালা ক্বুও-ওয়াতা ইল্লা বিল্লা-হ
আল্লাহ ব্যতীত কোনো উপায় নেই এবং কোনো শক্তি নেই।10

ফজিলতপূর্ণ একটি বাক্য ১০০ বার পড়বো।
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, দুটি বাক্য এমন রয়েছে, যা উচ্চারণে সহজ, আমলের পাল্লায় অনেক ভারী এবং আল্লাহর কাছে অতি প্রিয়। তা হলো—

سُبْحَانَ اللّٰهِ وبِحَمْدِهِ سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيمِ
সুব‘হা-নাল্লা-হি ওয়া বি‘হামদিহি সুব‘হা-নাল্লা-হিল ‘আযি-ম
আল্লাহ পবিত্র, প্রশংসা কেবল তাঁরই; মহান আল্লাহ ত্রুটিমুক্ত।11

আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ যিকর: (১০০ বার)
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি—

سُبْحَانَ اللّٰهِ الْعَظِيْمِ وبِحَمْدِهِ
সুব‘হা-নাল্লাহিল আযি-মি ওয়া বি‘হামদিহি
মহান আল্লাহ ত্রুটিমুক্ত; প্রশংসা কেবল তাঁরই

পাঠ করে, তার জন্য জান্নাতে একটি খেজুর গাছ রোপণ করা হয়।’’
[ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৪৬৪; হাদিসটি সহিহ]

নবিজির উপর দরুদ পাঠ করা।

নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
‘‘যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তার প্রতি ১০ বার রহমত বর্ষণ করবেন, ১০ টি গুনাহ মোচন করবেন এবং তার জন্য ১০ টি (মর্যাদার) স্তর উন্নীত করবেন।’’
[ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ১২৯৭; ইমাম ইবনু হিব্বান, আস-সহিহ: ৯০৪; হাদিসটি সহিহ]

সহজ দরুদ হিসেবে নিচের দরুদটি ১০০ বার পড়া যায়। দরুদে ইবরাহিমি বা নামাজের শেষ বৈঠকে পঠিত দরুদটি পড়তে পারলে আরও ভালো। কারণ এটিই সর্বশ্রেষ্ঠ দরুদ।

اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدٍ، وَعَلٰى آلِ مُحَمَّدٍ
আল্লা-হুম্মা সল্লি ‘আলা মু‘হাম্মাদ, ওয়া ‘আলা আ-লি মু‘হাম্মাদ
হে আল্লাহ! আপনি মুহাম্মাদ এবং মুহাম্মাদের পরিবারের উপর রহমত বর্ষণ করুন।12

বেশি আমল করতে গিয়ে কোয়ালিটির প্রতি উদাসীন হওয়া যাবে না। আল্লাহর কাছে আন্তরিকতাপূর্ণ আমলের মূল্য অনেক বেশি।

উপরে উল্লিখিত আমলগুলোর মাঝে একটি বাদে কোনোটিকেই ‘‘শবে কদরের আমল’’ হিসেবে নির্দিষ্ট করা হয়নি কুরআন-হাদিসে। বরং এগুলো সবসময়ের আমল। লাইলাতুল কদরের জন্য নির্ধারিত বা নির্দিষ্ট বিশেষ পদ্ধতির কোনো নামাজ বা ইবাদতের কথা সহিহ বর্ণনা থেকে জানা যায় না, কেবল আয়িশা (রা.)-কে শেখানো দু‘আটি ব্যতীত, যা উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। তাই, সব ধরনের নেক আমলই সাধ্যানুযায়ী কদরের রাতে করা উচিত, যেহেতু রাতটি মর্যাদাপূর্ণ।

আল্লাহ্ তা‘আলা আমাদের আমল করার তাওফিক দান করুন। আমিন।

  1. [ইমাম ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩৮৫০; হাদিসটি সহিহ] ↩︎
  2. ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৪৭৯; হাদিসটি সহিহ ↩︎
  3. ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৫০৭৪; হাদিসটি সহিহ ↩︎
  4. সুরা ইবরাহিম, আয়াত: ৪১ ↩︎
  5. ইমাম তিরমিযি, আস-সুনান: ৩৫২২; হাদিসটি সহিহ ↩︎
  6. ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ১৫১৭; হাদিসটি সহিহ ↩︎
  7. ইমাম মুসলিম, আস-সহিহ: ৯৭৫ ↩︎
  8. ইমাম আহমাদ, আল-মুসনাদ: ২৬৯১১; শায়খ আলবানি, সহিহুত তারগিব: ১৫৫৩; হাদিসটি হাসান ↩︎
  9. ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৩২৯৩; ইমাম আবু দাউদ, আস-সুনান: ৫০৭৭ ↩︎
  10. ইমাম বুখারি আস-সহিহ: ৬৩৮৪ ↩︎
  11. ইমাম বুখারি, আস-সহিহ: ৬৬৮২ ↩︎
  12. ইমাম নাসায়ি, আস-সুনান: ১২৯১; হাদিসটি সহিহ ↩︎

লিখেছেন

নুসুস টিম

কুরআন ও হাদিসের মূল পাঠকে নুসুস (text) বলা হয়। নুসুসের উপর ভিত্তি করেই আমরা লেখালেখি করি।

লেখকের অন্যান্য সকল পোষ্ট পেতে ঘুরে আসুন
Exit mobile version