কচ্ছপ খাওয়া কি হালাল
সব সময় শুনে এসেছি হিন্দুরা কচ্ছপ খায় কিন্তু মুসলিমদের কচ্ছপ খাওয়া নিষেধ। কিন্তু কেন?
হাদিসে কি এর জন্য কোনও নিষেধাজ্ঞা এসেছে, ইসলামের দৃষ্টিতে কচ্ছপ খাওয়া হারাম নয় বরং স্থলচর ও জলজ উভয় প্রকার কচ্ছপ খাওয়া জায়েজ। তবে কারও রুচি না হলে সে খাবে না।
জলজ কচ্ছপ:
হীহ বুখারিতে ‘জবাই ও শিকার করা প্রাণী’ অনুচ্ছেদে বর্ণিত হয়েছে: আল্লাহ তাআলা বলেন:
أُحِلَّ لَكُمْ صَيْدُ الْبَحْرِ وَطَعَامُهُ
“তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে।” (সূরা মায়িদাহ: ৯৬)
তারপর ইমাম বুখারি বলেন, “হাসান রহ. কচ্ছপ খাওয়াকে দোষের বলে মনে করতেন না।”
রসূল সা. বলেন:
هو الطهور ماؤه، الحل ميتته”
“সমুদ্রের পানি এবং তাতে অবস্থানকারী প্রাণী মৃত হলেও তা পবিত্র।”
(সুনান গ্রন্থ)
স্থলচর কচ্ছপ:
আল্লাহ বলেন:
يَا أَيُّهَا النَّاسُ كُلُوا مِمَّا فِي الْأَرْضِ حَلَالًا طَيِّبًا
“হে মানব মণ্ডলী, পৃথিবীর হালাল ও পবিত্র বস্তু-সামগ্রী ভক্ষণ কর।”
(সূরা বাকারা: ১৬৮)
তিনি আরও বলেন:
وَقَدْ فَصَّلَ لَكُم مَّا حَرَّمَ عَلَيْكُمْ
“আল্লাহ ঐ সব জন্তুর বিশদ বিবরণ দিয়েছেন, যে গুলোকে তোমাদের জন্যে হারাম করেছেন।”
(সূরা আনআম: ১১৯)
কুরআন-সুন্নাহয় এমন কোন দলিল পাওয়া যায় না যেখানে কচ্ছপকে হারাম বলা হয়েছে। সুতরাং দলিল ছাড়া কোন কিছুকে হারাম বলার সুযোগ নাই।
তা ছাড়া ইসলামে পশু-পাখী খাওয়া হালাল-হারামের যে সব শর্তাবলী ও মূলনীতি দেয়া আছে (যেমন, বিষাক্ত, ক্ষতিকর, দন্ত-নখর বিশিষ্ট হওয়া ইত্যাদি) সে সব মূলনীতির আলোকে কচ্ছপ হারাম প্রাণীর মধ্যে পড়ে না।
যদিও একদল আলেম বলেন, সাগরের কচ্ছপ খাওয়া জায়েজ কিন্তু স্থলের কচ্ছপ নাজায়েজ। কেউ কেউ সকল প্রকার কচ্ছপকে নাজায়েজ বলেছেন। তবে তাদের বক্তব্য বিশুদ্ধ দলীল সমৃদ্ধ নয়।
আল্লাহু আলাম।