প্রাণনাশ কিংবা শারীরিক নির্যাতন অথবা বড়ো ধরনের ক্ষতির আশঙ্কা থাকলে নিজের পরিচয়, এমনকি ঈমান গোপন করার অনুমতিও রয়েছে, রুখসত রয়েছে।
এ অবস্থায় একান্ত বাধ্য করা হলে, প্রচণ্ড জোর প্রয়োগ করা হলে বাঁচার জন্য স্পষ্ট কুফরী বাক্যও উচ্চারণ করা কিংবা হারাম কোনো কাজে লিপ্ত হওয়াও বৈধ, তবে শর্ত হলো অন্তরে ভরপুর ঈমান থাকবে।
مَنْ كَفَرَ بِاللَّهِ مِنْ بَعْدِ إِيمَانِهِ إِلَّا مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيمَانِ {النحل: 106}.
‘‘নিজের দীন গোপন করা একটা বিষয়,
আর ভ্রান্ত চিন্তা/মতাদর্শ প্রকাশ করা অপর একটা বিষয়।
আল্লাহ তা‘আলা সাধারণত কখনোই ভ্রান্ত কোনো চিন্তা বা মতাদর্শ প্রকাশ করা বৈধ করেননি,
তবে কাউকে যদি একান্ত বাধ্য করা হয়, প্রচণ্ড জোরজবরদস্তি করা হয়, তার কথা ভিন্ন।
এ অবস্থায় তার জন্য কুফরী কথা উচ্চারণ করাও বৈধ।
আল্লাহ তা‘আলা মুনাফিক ও মুকরাহ (যাকে বাধ্য করা হয়)-এর মধ্যে পার্থক্য করেছেন; দুজনের বিষয় আলাদা।”
(মিনহাজুস সুন্নাহ, খ. ৬, পৃ. ৪২৪)