যাদুর ক্রিয়া যদি সত্য হয়ে থাকে, তাহলে আইম্মাতুল কুফর তথা কাফির নেতাদের কালো যাদু করে মেরে ফেললেই তো হয়, যুদ্ধ করার কী প্রয়োজন?
সে যুগের আবু জাহল আবু লাহব, এ যুগের বুশ, ব্লেয়ার, ম্যাক্রো, মোদি, পুতিন বাইডেনকে যাদু করে শেষ করে দেয়া যায় না কেন?
এ প্রশ্ন একসময় আমারও ছিল। পরে কতক আলেমদের সাথে আলোচনা করে ও ব্যক্তিগত চিন্তাভাবনা থেকে যা উপলব্ধি করেছি, তা মোটামোটি এরূপ :
Table of Contents
এক
যাদুটোনা করে শত্রু হত্যা চরম ভীরুতা ও কাপুরষতার কাজ। সম্মুখসমরে ব্যর্থ লোকেরাই এ কাপুরষোচিত কাজ করে, যেমনটি করেছিল ইয়াহুদিরা নবীজির বিরুদ্ধে।
উপরন্তু এর দ্বারা ঈমান চলে যাওয়ার পূর্ণ ঝুঁকি থাকে। এজন্য শত্রু নিধনে কোনো কালেই মুসলমানেরা এ গোপন পথ ব্যবহার করেনি। ইসলামও এটা অনুমোদন করেনি।
দুই
যদি কখনো কেউ উদ্যোগ নেয়, সেটা সফলকাম হয় না। কারণ, কুফরী মন্ত্রগুলো মূলত শয়তানের মধ্যমে কাজ করে। একেকটি মন্ত্রের সাথে অগণিত জিন শয়তান রয়েছে, যারা নিজেরাই কাফির। যেহেতু জিন শয়তান ও মানুষ শয়তান ভাই ভাই, সেহেতু তারা তাদের কাফির লিডারদের বিরুদ্ধে কাজ করে না। বরং উল্টো গোমর ফাঁস করে দেয় এবং তাকে রক্ষার জন্য তারা তৎপর হয়ে ওঠে।
তথাপি জিনদের কোনো গ্রুপ যদি কাজ করতে তৈরিও হয়ে যায়, তবুও তারা বিপক্ষ শক্তির সাথে কুলিয়ে উঠতে পারে না। বরং পরস্পর লড়াইয়ে তারা মারা পড়ে।
তিন
কখনো কখনো মুসলিম জিন দিয়েও নাকি চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু কাফির জিনদের চাইতে এরা সংখ্যায় অকল্পনীয় হারে কম হওয়ায় তারা কুলিয়ে উঠতে পারে না। অধিকন্তু শক্তিশালী লড়াকু আমিলের যথেষ্ট অভাব রয়েছে, যারা লড়াইয়ের শেষ পর্যন্ত টিকে থাকে। কারণ এতে জান মাল সন্তানের বহুমুখি ঝুকি রয়েছে এবং কাজ শেষ করা পর্যন্ত অনেক সময়ের প্রয়োজন রয়েছে। এটা অনেকের পক্ষে সম্ভব হয় না।
চার
যাদুটোনা করার জন্য ভিকটিমের কতক বিশেষ জিনিসের প্রয়োজন হয়। যেমন চুল, নখ, দাঁত, কাপড় ইত্যাদি। ভিআইপি লোকদের এগুলো মানুষের মাধ্যমে সংগ্রহ সম্ভব হয় না। জিনদের মাধ্যমেও উপরিউক্ত কারণে সম্ভব হয় না।
মোটকথা, আইম্মাতুল কুফর তথা কা]ফিরদের যারা লিডার, তাদের রক্ষা করার জন্য কোটি কোটি জিন শয়তান সর্বক্ষণ পাহারায় থাকে। যাদের মধ্যে অসংখ্য অগণিত সৈন্যও রয়েছে। এ বেষ্টনী কেটে তাদের বিরুদ্ধে যাদুটোনা বা লেলিয়ে দেওয়া জিন তেমন কাজ করতে পারে না।
এজন্যও ওদের বিরুদ্ধে বাহ্যিক লড়াই মুমিনদের শেষ ভরসা, যাতে মুসলমানেরাই সাধারণত বিজয় লাভ করে।
আল্লাহু আ’লাম।