কালো রং বোরকা ব্যাতিত অন্য রং বোরকা পরিধানের বিধান
কালো রংয়ের সাদা সিধে ঢিলেঢালা এমন বোরকা ও হিজাব নারীকে পরিধান করতে হবে যার দ্বারা তার সম্পুর্ন শরীর ঢেকে থাকে।
পর্দার পোশাক অর্থাৎ হিজাবের অন্তর্ভুক্ত পোশাকগুলো কালো রঙের হওয়া জরুরী নয়। বরং যেকোনো কালারের পোষাক মহিলারা পড়তে পারবে। তবে শর্ত হল, আকর্ষণীয় হতে পারবে না, বরং সাধাসিধে হতে হবে। উত্তম এটাই যে, কালো বা এমন কোনো রঙের বোরখা হওয়া,যা আকর্ষণীয় নয়।
আকর্ষনীয় হয় যা ফিতনাকে সম্ভাবনাময় করে তুলে, এমন পোষাক বা বোরখাকে পরিত্যাগ করাই শ্রেয়। যদি পুরপুরুষের সামনে যাওয়ার প্রয়োজন হয়, তাহলে এমন ফিতনা সম্ভলিত পোষাক পরিধান করে মহিলা যেতে পারবে না।
মোটকথাঃ
আকর্ষণীয় পোষাক দ্বারা পর্দা রক্ষা হবে না।
পর্দার অর্থ হল, এমন ঢিলেঢালা কাপড় পরিধান করা যাতেকরে শরীরের গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ অঙ্গ সমূহ জনসম্মুখে প্রকাশিত না হয়।
সব কিছু এক কালার হোক বা না হোক এতে কোনো সমস্যা নেই। বোরকা ঢিলেঢালা হলে তাতে কারুকার্য থাকতেও কোন বাধা নেই।
আজকাল সৌন্দর্য প্রকাশের জন্য অনেকে টাইটফিট আঠালো বোরকা পরিধান করেন।
যা দ্বারা বোরকার ফরযিয়্যাত আদায় হয় না।
পর পুরুষ বা জনসম্মুখে সৌন্দর্য ঢেকে রাখতেই ঢিলেঢালা পোষাকের বিধান শরীয়ত দিয়েছে।
তাই শরীয়তের উদ্দেশ্যর প্রতি সংহতি রেখেই পর্দাপুশিদা করা উচিৎ।
মহিলাদের জন্য সকল রংয়ের পোষাক পড়া জায়েয আছে। পুরুষের জন্য খালিছ লাল এবং হলুদ রংয়ের পোষাক নিয়ে মতপার্থক্য বিদ্যমান রয়েছে। তবে বিশুদ্ধ মতানুযায়ী পুরুষদের জন্যও অনুমতি রয়েছে।তবে শর্ত হলো,মহিলাদের সাদৃশ্য না হওয়া।
(কিতাবুন-নাওয়াযিল-১৫/৩৩০, ইমদাদুল ফাতাওয়া-৪/১২৫, ফাতাওয়ায়ে রাশিদিয়্যাহ-৫৮৫)
আল্লাহ তায়ালা আমাদের মা বোনদের খাস পর্দা করার তাওফিক দান করুন আমিন।