জান্নাত ৮ টি। প্রত্যেকটি জান্নাতের নির্ধারিত প্রবেশদ্বার রয়েছে। মু’মিন জীবনের একমাত্র লক্ষ্য জান্নাত লাভ করার মশৃণ পদ্ধতির সন্ধান দিয়েছেন বিশ্বনেতা মুহাম্মদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)। নির্ধারিত এই আ’মলের বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন হয়না। মাত্র ২/৩ মিনিট।
রাসুলে কারীম (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) ইরশাদ করেছেন- :
“যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অযু করার পর ‘আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসুলুহু’ বলবে তার জন্য জান্নাতের আটটি দরজাই খুলে দেওয়া হবে। সে যে দরজা দিয়ে ইচ্ছা প্রবেশ করতে পারবে।
[সহীহ মুসলিমঃ১-১২২]
অন্য এক বর্ণনায় কালেমায়ে শাহাদাত পড়ার সময় আকাশের দিকে তাকানোর কথাও আছে। তাই সম্ভব হলে এর উপর আমল করাও ভালো। না করলে গোনাহ হবেনা। বিজ্ঞজনদের মতে— আকাশের দিক মানে উপরের দিক। সুতরাং, উপরের তাকিয়ে পড়লেই হবে। এক্ষেত্রে আকাশ দেখা জরুরি নয়।
[সুনানে আবু দাউদ ১/২৩]
অপর হাদিস অনুযায়ী ওজুর পর কালিমাহ শাহাদাত পাঠ করে নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করার কথা উল্লেখ আছে।
দোয়া-
’اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَوَّابِينَ ، واجْعَلْني مِنَ المُتَطَهِّرِينَ‘
অর্থাৎ, হে আল্লাহ! আমাকে তাওবাকারীদের ও পবিত্রতা অর্জনকারীদের অন্তর্ভুক্ত করুন।
[তিরমিজী শরিফ: ৫৫]
দুটি হাদিসের সমন্বয়ে আমরা একইসাথে পাঠ করতে পারি—
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَٰهَ إِلَّا ٱللَّٰهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ وأَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ. اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَوَّابِينَ ، واجْعَلْني مِنَ المُتَطَهِّرِينَ
উচ্চারণঃ- “আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়ারাসূলুহু। আল্লাহুম্মাজ আ’লনি মিনাত্তাওয়াবিনা ওয়াজ’আলনি মিনাল মুতাত্বাহহিরিন। ”
ফুটনোটঃ- ‘আরবি প্রতিলিপির বাংলা উচ্চারণ না করে সরাসরি আরবি পাঠ করার চেষ্টা করুন৷ একান্ত না পারলে অন্য কথা৷…’
শায়েখ আলবানি (রাহিমাহুল্লাহ) আকাশের দিকে তাকিয়ে দো’য়া পাঠের হাদিসটি জয়িফ বলেছেন।