হাদীস শরীফে এসেছে যে ইসমে আজম পড়ে দোয়া করলে আল্লাহ তায়ালা সেই দোয়া কবুল করেন
সুতরাং ইসমে আজম পড়ার পর যেকোনো বৈধ দোয়া করলেই আশা করা যায় যে সেটা আল্লাহ তায়ালা কবুল করবেন।
চাই তাহা একাধিক দোয়া হোকনা কেনো।
ইসমে আজম কোনটি,এই ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।
ইসমে আজম কিছু উলামায়ে কেরামগন لا الہ الا ھو الحی القیوم বলেছেন।
কিছু উলামায়ে কেরাম یا حی یا قیوم বলেছেন।
কিছু উলামায়ে কেরাম “رب رب” কিছু উলামায়ে কেরাম اللہ বলেছেন।
কিছু উলামায়ে কেরাম لا الہ الا انت سبحانک انی کنت من الظالمین” বলেছেন।
অবশ্য ইসমে আজমের ব্যাপারে মুহাক্কিকদের কথা হলো এই ব্যাপারে নির্দিষ্ট৷ আকারে বলা মুশকিল।
(ফাতাওয়ায়ে উসমানী ১/১৮১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ-
عَنْ أَنَسٍ قَالَ: كُنْتُ جَالِسًا مَعَ النَّبِيِّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فِي الْمَسْجِدِ وَرَجُلٌ يُصَلِّي فَقَالَ: اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ بِأَنَّ لَكَ الْحَمْدَ لَا إِلَهَ إِلَّا أَنْتَ الْحَنَّانُ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ يَا ذَا الْجَلَالِ وَالْإِكْرَامِ يَا حَيُّ يَا قَيُّومُ أَسْأَلُكَ فَقَالَ النَّبِيُّ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «دَعَا اللَّهَ بِاسْمِهِ الْأَعْظَمِ الَّذِي إِذَا دُعِيَ بِهِ أَجَابَ وَإِذَا سُئِلَ بِهِ أَعْطَى»
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদিন আমি নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে মসজিদে নাবাবীতে বসে ছিলাম। তখন জনৈক ব্যক্তি সালাত আদায় করছিল এবং সালাতের পর বলছিল, হে আল্লাহ! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করছি। কারণ তোমারই জন্য সব প্রশংসা। তুমি ছাড়া প্রকৃতপক্ষে কোন মা‘বূদ নেই। তুমিই সবচেয়ে বড় দয়ালু, বড়দাতা। তুমিই আসমান জমিনের স্রষ্টা। হে মর্যাদা ও দান করার মালিক! হে চিরঞ্জীব, হে প্রতিষ্ঠাতা! আমি তোমার কাছে প্রার্থনা করি। তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যে আল্লাহকে ইস্মে আ‘যম-এর সাথে ডাকে তিনি তাতে সাড়া দেন এবং যখন তাঁর কাছে প্রার্থনা করা হয় তখন তিনি তা দান করেন।
(সহীহ : আবূ দাঊদ ১৪৯৫, তিরমিযী ৩৪৭৫, নাসায়ী ১৩০০, আহমাদ ১২২০৫, ইবনু আবী শায়বাহ্ ২৯৩৬১, ইবনু মাজাহ ৩৮৫৮, ইবনু হিব্বান ৮৯৩, সহীহ আত্ তারগীব ১৬৪১,মিশকাত ২২৯০।)
হজরত আনাস (রা.) সূত্রে বর্ণিত : একবার রাসুল (সা.) মসজিদে প্রবেশ করেছেন। এমতাবস্থায় এক লোক নামাজ শেষে এ দোয়া করছিলেন,
اللھم انی اسئلک بان لک الحمد لا الہ الا انت الحنان المنان بدیع السموت و الارض یا ذا الجلا و الاکرام یا حی یا قیوم اسألک،
তখন রাসুল (সা.) তাঁকে বললেন, ”তুমি জানো, তুমি কি দিয়ে দোয়া করেছ? তুমি দোয়া করেছ ‘ইসমে আজম’ দিয়ে, যা দ্বারা দোয়া করলে আল্লাহ কবুল করেন এবং তা দ্বারা কিছু চাইলে আল্লাহ তা প্রদান করেন।” (সুনানে তিরমিজি : ৩৫৪৪)
اللَّهُمَّ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ الْمَنَّانُ بَدِيعُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ ذَا الْجَلاَلِ وَالإِكْرَامِ
و فیہ ایضاً ۱/۲۰۰: عن اسماء بنت یزید ان النبی ﷺ قال اسم اللہ الاعظم فی ھاتین الآیتین الھکم الہ واحد لا الہ الا ھو الرحمن الرحیم وفاتحۃ ال عمران الم اللہ لا الہ الا ھو الحی القیوم۔ رواہ الترمذی و ابو داؤد و ابن ماجہ و الدارمی۔
হজরত আসমা বিন ইয়াজিদ (রা.) সূত্রে বর্ণিত, রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, ‘ইসমে আজম এই দুটি আয়াতের মধ্যে নিহিত। সুরা বাকারার ১৬৩ নম্বর আয়াত এবং সুরা আল ইমরানের ১ নম্বর আয়াত।’ (সুনানে আবি দাউদ : ১৪৯৬)
মিরকাত গ্রন্থে আছেঃ
و فی المرقاۃ وقال ابو جعفر الطبرانیؒ اختلفت الآثار فی تعیین الاسم الاعظم و عندی ان الاقوال کلھا صحیحۃ اذ لم یرد فی خبر منھا انہ الاسم الاعظم ص۱۰۲ ج۵۔
যার সারমর্ম হলো ইসমে আজম নির্দিষ্ট করার ব্যাপারে উলামায়ে কেরামদের মাঝে মতবিরোধ রয়েছে।,,,
(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)