মক্কার কাজীর কার্যালয় বিচারকার্য চলছে। একটি চুক্তি সংক্রান্ত বিষয়ে ফাতিমা নামক এক মহিলার সাক্ষ্য প্রয়োজনের দেখা দিলো। কাজী তাকে তাৎক্ষণিক ডেকে পাঠালেন।
চুক্তি সংঘটিত হবার সময় উপস্থিত অপর সাক্ষী মহিলাকে নিয়ে হাজির হলেন ফাতিমা। কাজী উভয়ের বক্তব্য শুনবার পর আলাদাভাবে দুইজনের সাক্ষ্য শুনতে চাইলেন। বাধ সাধলেন ফাতিমা..
কাজীকে জানালেন যে তিনি এরূপ করতে পারেন না। তা শুনে কাজী আশ্চর্য হলেন। বলে কি এই নারী! সাহসিকতার সাথে ফাতিমা বললেন, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতা’আলা সূরা বাকারার ২৮২ নং আয়াতে বলেছেনঃ
“তারপর নিজেদের পুরুষদের মধ্য থেকে দুই ব্যক্তিকে তার স্বাক্ষী রাখো। আর যদি দু’জন পুরুষ না পাওয়া যায় তাহলে একজন পুরুষ ও দু’জন মহিলা সাক্ষী হবে, যাতে একজন ভুলে গেলে অন্যজন তাকে স্মরণ করিয়ে দেবে।”
অর্থাৎ, আল্লাহ স্বয়ং বলে দিয়েছেন যে সাক্ষ্য দেবার ক্ষেত্রে দুইজন মহিলার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে এজন্য যে, যেনো তারা একে অপরকে ভুলে যাওয়া বর্ণনা স্মরণ করিয়ে দিতে পারে। তাই আপনি আমাদেরকে পৃথক রেখে সাক্ষ্য নিতে পারবেন না।
ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী উপরোক্ত ঘটনাটি বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, সংশ্লিষ্ট আয়াতের অর্থের এই মাত্রার বোধগম্যতা সত্যিই দুর্লভ। নিঃসন্দেহে ফাতিমা ছিলেন অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন একজন মহিলা!
মাথায় কি প্রশ্ন আসে না যে, “কে এই মহিলা?” যিনি এতো দূরদৃষ্টিসম্পন্ন, তাঁর সন্তানের বুদ্ধিমত্তা নিশ্চয়ই অতুলনীয় হবার কথা। এবং তাইই হয়েছিলো। তাঁর গর্ভেই জন্মগ্রহণ করেছিলেন পরবর্তীকালের মুহাদ্দিস ও ফকীহ “ইমাম আশ-শাফে’ঈ” (রাহিমাহুল্লাহ)।
মৃত্যু বড় সুনিশ্চিত। কখন কে বিদায় হবেন নেই কোনো ঠিক ঠিকানা। হিজরী ১৫০ সনে মৃত্যুর কাতারে নাম লিখিয়ে “ইমাম আবু হানিফা” (রাহিমাহুল্লাহ) দুনিয়া থেকে বিদায় নেন।
ঠিক একই বছরে, মতান্তরে; (রাবি’আ ইবন আবু সুলাইমানের মতে), ইমাম আবু হানিফা যেইদিন ওফাত লাভ করেন, ঠিক সেইদিনই ইমাম “আশ- শাফে’ঈ” (রাহিমাহুল্লাহ) দুনিয়ার আলো দেখেন। তাঁর পিতৃপুরুষেরা মক্কা থেকে আগত হলেও তিনি জন্মগ্রহণ করেছিলেন ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়।
জন্মেছিলেন উচ্চবংশে। বংশমর্যাদার দিক দিয়ে ছিলেন মুহাম্মদ (সাঃ) এর বংশধর (কুরাইশ)।
তাঁর পূর্ণ নাম “মুহাম্মদ ইবনু ইদরিস ইবনুল আব্বাস ইবনে উসমান ইবনে শাফে’ঈ ইবনু উবায়েদ ইবন আবু ইয়াযিদ ইবন হাশেম ইবন আবদুল মুত্তালিব ইবন আবদে মানাফ।”
আশ শানকী’তি রহিমাহুল্লাহ বলেন, “বংশসূত্রের দিক দিয়ে ইমামগণের মধ্যে তিনি ছিলেন অগ্রগামী। তাঁর বংশসূত্র অষ্টম পুরুষে গিয়ে নবীজি (সাঃ) পর্যন্ত পোঁছেছে।”
ইমাম আশ- শাফে’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) অল্প বয়সেই পিতৃহারা হন। তাঁর মা, ফাতিমা শংকিত বোধ করেন, পুত্র হয়তো নিজ বংশের আত্মমর্যাদা লাভ থেকে বঞ্চিত হবে। তাই শিশুপুত্র মুহাম্মদকে নিয়ে তিনি যাত্রা করেন মক্কার উদ্দেশ্যে।
ফাতিমা ছিলেন আল্লাহভীরু, সতী একজন মহিলা। নিজ পুত্রকে ইলম সন্ধানী বানাবার জন্য তিনি তাঁর গোটা জীবন ব্যায় করেছিলেন। তাঁর এই পরিশ্রম, সাধনা বিন্দুমাত্র ও ব্যর্থ হয়নি। পুত্র হয়ে উঠেছিলেন শতাব্দী সেরা মুজাদ্দিদ।
শিশুপুত্রকে মা বললেন, “ ইয়া মুহাম্মদ! আমরা দরিদ্র, অসহায় মানুষ। আমি আমার জীবনের সমস্ত শখ আহ্লাদ তোমার জন্য বিসর্জন দিলাম। আমি চাই তুমি একজন আলেম হয়ে মুসলিম উম্মাহর খেদমত করো।” মায়ের এ ইচ্ছে শিশু মনে দাগ কাটলো।
সংকল্পবদ্ধ হলেন তিনি যে, ইলমের সন্ধান চালিয়ে যাবেন আমরণ। এবং তিনি তাইই করেছিলেন। তাঁর ৫৪ বছরের জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত তিনি ইলমের অন্বেষণ করে কাটিয়েছেন। ক্ষণস্থায়ী এ সময়টুকুতেই পরিচিত হয়ে উঠেছিলেন তার শাণিত বুদ্ধি, প্রখর মেধা এবং অভাবনীয় স্মরণশক্তির দ্বারা।
মুহাম্মদ ইবনে ইদরিস আলেমদের কাছে যাওয়া শুরু করলেন। পুরনো, ধূলিমলিন কাপড়ে সজ্জিত থাকায় তাকে শিক্ষক তেমন একটা খেয়াল করতেন না। ছোট্ট মনে এ অবহেলা তার সহ্য হলো না। মায়ের কাছে এ কথা জানালেন। মা বুদ্ধি করে তাঁকে উত্তমরূপে নসীহাহ দিলেন, “বাবা! তোমার কাজ জ্ঞান অর্জন করা। তুমি শুধু শুনবে তোমার উস্তাদ কী বলেন! কেউ খেয়াল না দিলেও তোমার তাতে কিই বা আসে যায়!” এবার খুশিমনে হালাক্বায় ফিরে গেলেন মুহাম্মদ।
মায়ের কথামতো শিক্ষক কী পড়াচ্ছেন শুধু সেদিকে মনোযোগ দিলেন তিনি। অল্প সময়েই শিক্ষকের পড়ানো বিষয় গুলো তার মুখস্থ হয়ে যেতো। বাকি সময় টুকুতে তিনি যারা পড়া বুঝতো না তাদের বুঝিয়ে দিতেন ও তাদেরকে পড়াতে শুরু করলেন। কোন কারণে শিক্ষক অনুপস্থিত থাকলে তিনি তার সহপাঠীদের ক্লাস নিতেন।
বিস্ময়কর প্রতিভা! ব্যাপারটি শিক্ষকের নজরে এলে তিনি আশ শাফে’ঈকে (রহিমাহুল্লাহ) নিজস্ব সহকারী হিসেবে নিযুক্ত করেন। ইলমজগতের অন্যতম এ ধ্রুবতারা এভাবে অল্প বয়স থেকেই তার যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখতে শুরু করেন।
বয়স যখন সাত বছর, সম্পূর্ণ পবিত্র কোরআন হিফজ সম্পন্ন করেন মুহাম্মদ ইবন ইদরিস রহিমাহুল্লাহ। পূর্বের সেসময়ে কোরআন মূখস্তকরণ ছিলো প্রতিটি শিশুর আবশ্যকীয় পাঠদানের অন্তর্ভুক্ত। সে রীতি অনুযায়ী তিনি অল্প বয়সেই তা মুখস্ত করে ফেলেন। কন্ঠের মাধুর্য লোকেদের বিমোহিত করতো। বাড়িতে এসে তারা ভীড় জমাতো তিলাওয়াত শুনবে বলে।
দিকে দিকে ‘মুয়াত্তা’ গ্রন্থের তখন জয়জয়কার। ইমাম মালিক রচিত এ বিশুদ্ধ গ্রন্থের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিলো চারিপাশে। আশ-শাফে’ঈ (রহিমাহুল্লাহ) ভাবলেন, কেনো আমি এ হাদীস গ্রন্থের পাঠ থেকে নিজেকে বিরত রাখছি! যেই ভাবা, সেই কাজ!
তিনি সিদ্ধান্ত নিলেন, মুয়াত্তা পড়বেন। কিন্তু এতো বিশাল গ্রন্থ খরিদ করবার সামর্থ্য যে তার নেই! চিন্তার অবসান ঘটিয়ে, এক বন্ধুর থেকে কিছুদিনের জন্য ধার নিলেন। বন্ধুকে নয়দিন পর বইটি ফেরত দিলেন। ইতোমধ্যে হৃদয়ের কালিতে লিপিবদ্ধ হয়ে গেছে সম্পূর্ণ গ্রন্থ! মাত্র নয় বছর বয়সী একটি ছেলে নয়দিনে মুয়াত্তার মতো গ্রন্থ মুখস্থ করে ফেলেছে, যেখানে ১৮৫০টির মতো বর্ণনা উল্লেখিত রয়েছে!
এ কথা সত্যিই মনে বিস্ময় জাগায়। এমনই প্রখর স্মৃতিশক্তি ছিলো তাঁর। একপ্রকার ফটোগ্রাফিক মেমোরির অধিকারী ছিলেন ইমাম আশ-শাফে’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ)। বই পড়বার সময় অপর পাশের পৃষ্ঠা হাত দিয়ে ঢেকে রাখতেন, যেনো সেখানে চোখ না পড়ে যায়। নাহলে তো মুখস্থ করবার সময় গুলিয়ে ফেলবেন।
শিশুকাল থেকেই জ্ঞানার্জনের প্রতি ছিলেন প্রবল উৎসাহী। রাসূলুল্লাহর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সুন্নাহ এবং তাঁর হাদীসের প্রতি ছিলো তার অগাধ ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা। একসময় তার প্রাথমিক পড়াশোনা শেষ হলো। ফাতিমার ইচ্ছে হলো ছেলেকে বিশুদ্ধ আরবী ভাষা শেখাবেন। সেই উদ্দেশ্যে পাঠালেন হুদাইল গোত্রে।
ইমাম আশ-শাফে’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর জীবনের ১৭ বছর ব্যয় করেন তাদের সাথে। একটানা কেবল এখানেই সময় দেন নি বরং ছুটে চলেছেন জ্ঞানের খোঁজে। পাশাপাশি অর্জন করেন স্কিলগুলো। প্রাঞ্জল শ্রুতিমধুর আরবী ভাষা আয়ত্তকরণ, কাব্যিক প্রতিভার বিকাশ, তীরচালনা, আরবী সাহিত্য – এ সকল গুণাবলি পূর্ণতা লাভ করে এ সময়।
মাত্র ১৫ বছর বয়সে ইমাম মুহাম্মদ ইবন ইদরিস রহিমাহুল্লাহ তাঁর উস্তাদ, মক্কার হারাম শরীফের তৎকালীন মুফতি মুসলিম ইবনে খালিদ আল-জাঞ্জীর (রহিমাহুল্লাহ) থেকে তিনি ফতোয়া দেবার জন্য অনুমতিপ্রাপ্ত হন।
সাবালক হওয়ার আগেই তিনি ফতোয়া দেয়ার পার্মিশন পেয়ে যান।
একদা তিনি হারাম শরীফের পাশে সমবেত লোকেদের ফিক্বহুস সিয়াম শিখাচ্ছিলেন। সময়টা ছিলো রমজান মাস। কথা বলতে বলতে একপর্যায়ে তিনি পাশে থাকা পানির পাত্র খুলে পানি পান করলেন! সবাই বিস্ময়ে হতবাক! এ কী করলেন ইমাম! আমাদেরকে সিয়াম সংক্রান্ত মাস’আলা শিখাচ্ছেন, আর তিনি নিজেই রোজা ভঙ্গ করে ফেললেন।
তাদের এ হতবিহ্বল অবস্থা দেখে আশ-শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) ব্যাখ্যা করলেন, “আসলে আমি এখনো বালেগ হইনি। তাই আমার উপর রোজা ফরজ নয়। যেহেতু বাহিরে প্রখর রোদ, আপনাদেরকে পাঠদান করাতে আমার বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। তাই পানি পান করে নিলাম।” তাঁর জ্ঞানের বহর ছিলো এরকম ই সুবিশাল।
ফতোয়া দেবার অনুমতি পেয়ে গেলেন ইমাম শাফি’ঈ! সাধারণ কেউ হলে এ প্রাপ্তি তাঁকে পরিতুষ্ট করতো হয়তো। কিন্তু তিনি থেমে থাকলেন না। জ্ঞানের জন্য তার প্রবল পিপাসা ছিলো। তাই তিনি আমৃত্যু ছুটে চলেছেন জ্ঞানের অন্বেষণে। সেসময় ইমাম মালিকের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিলো দিগবিদিক। পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে লোকেরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে তার সোহবত লাভ করতেন। কেননা তিনি ছিলেন জ্ঞান ও হাদীসের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ উৎস।
তেইশ বছর বয়সে ইমাম আশ-শাফেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) মদীনায় যাবার ইচ্ছে পোষণ করেন। মক্কার গভর্নর তাকে সুপারিশপত্র লিখে দেন। সুপারিশপত্র দেখে ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) বেশ বিরক্ত হলেন।
কিন্তু অন্তর্দৃষ্টিসম্পন্ন হওয়ায় তিনি যুবক ইমাম আশ-শাফে’ঈর (রাহিমাহুল্লাহ) অন্তর্নিহিত প্রতিভা সম্বন্ধে বুঝতে পারলেন। তিনি বললেন,
‘হে মুহাম্মদ! আল্লাহকে ভয় করো। আল্লাহর অবাধ্য হয়ো না। আল্লাহ তোমার মর্যাদাকে বাড়িয়ে দিবেন। আল্লাহ তোমার অন্তরে যে নূর দিয়েছেন আল্লাহর অবাধ্য হয়ে সেটাকে নিভিয়ে দিও না। আর আজকে চলে যাও। কাল এসে আমাকে শুনাবে যে তুমি কি জানো।’
আশ শাফে’ঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ‘পরবর্তী দিন আমি তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে ‘মুয়াত্তা’ থেকে পড়া শুরু করলাম। যখনই তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে আমি পড়া বন্ধ করতে চাইতাম, তিনি আমাকে পড়া চালিয়ে নিতে বলতেন। এভাবেই কয়েকদিনে সম্পূর্ণ মুয়াত্তা শেষ হবার পূর্ব পর্যন্ত আমি পড়ে যেতে থাকলাম।’
ইমাম আশ শাফে’ঈর পাঠভংগি, সুরেলা কন্ঠ, সাবলীল উচ্চারণ সবকিছু মিলিয়ে শ্রুতিমধুর পরিবেশ সৃষ্টি হতো। তাই ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) তাঁর এ পড়া তন্ময় হয়ে শুনছিলেন।
পাঠদান শুরু হলো। এ প্রক্রিয়া বহাল ছিলো ১৭৯ হিজরীতে মালিক ইবন আনাসের (রাহিমাহুল্লাহ) মৃত্যু পর্যন্ত। ইতোমধ্যে ইমাম শাফে’ঈ তাঁর কাছ থেকে ফিক্বহ এর জটিল বিষয় গুলো সম্বন্ধে বিস্তর জ্ঞান লাভ করেন। কিন্তু তিনি কেবল ইমাম মালিকের কাছে জ্ঞানার্জন সীমাবদ্ধ রাখেন নি বরং জ্ঞানান্বেষণের উদ্দেশ্যে ভ্রমণ করেছেন দেশে দেশে। ভ্রমণের এ নেশা তাকে বিভিন্ন সংস্কৃতির সাথে করেছে পরিচিত, অভিজ্ঞতার ঝুলিকে করেছে সমৃদ্ধ।
ইমাম মালিক (রাহিমাহুল্লাহ) দুনিয়া ছেড়ে চলে গেলেন। ততোদিনে ইমাম আশ শাফে’ঈর (রহিমাহুল্লাহ) জ্ঞানের পরিধি অনেকটা বিস্তৃত হয়েছে। ভাবলেন, এবার কিছু রোজগারের কথা চিন্তা করা উচিত। উল্লেখ্য, তখনো তিনি নিতান্তই দরিদ্র।
কিন্তু কোন উপায়ে উপার্জন করবেন! এ ভাবনার অবসান ঘটালেন ইয়েমেনের গভর্নর। মক্কায় এসে তিনি বিশ্বস্ত কারো খোঁজ করছিলেন। এক ব্যক্তি তাকে ইমাম শাফে’ঈর (রাহিমাহুল্লাহ) সন্ধান দেয়। তাঁর বুদ্ধিমত্তা, জ্ঞান, উচ্চবংশ প্রভৃতি কারণে তিনি ছিলেন সবার কাছে পরিচিত। তাকে ইয়েমেনের নাজরান প্রদেশে ক্বাজীর পদে অধিষ্ঠিত করা হলো।